এ সময় ভ্রমণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পোশাকের ফেব্রিক নির্বাচনে মনোযোগী হওয়া। গরমে আরামদায়ক ফেব্রিক না পরলে বাধতে পারে নানা সমস্যা। সুতি, লিলেন, ভিসকস বা খাদি কাপড়ের ঢিলেঢালা শার্ট, টি-শার্ট, কুর্তি, ফতুয়া যা–ই হোক না কেন, ফেব্রিক হতে হবে আরাম ও স্বস্তিদায়ক।
ফ্যাশনে লেয়ারিং স্টাইল এখন বেশ ট্রেন্ডি। অনেকে ভাবতেই পারেন, এই গরমে লেয়ারিং! শীতকালের তুলনায় গরমে লেয়ারিংটা করতে হয় অনেক কিছু বিবেচনা করে। এর জন্য আরামদায়ক ফেব্রিক বেছে নিতে হবে। টি–শার্ট, ট্যাংক টপ বা ক্রপ টপের ওপর সুতি শ্রাগ, কোটি বা শার্ট সঙ্গে রাখলে নানা ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে ভ্রমণে। কেউ যদি বিমানে ভ্রমণ করেন, তাহলে ঠান্ডায় লেয়ারিং বেশ আরাম দেবে। আবার ফ্লাইট থেকে নেমে হঠাৎ একটু বেশি গরম অনুভব করলে ওপরের লেয়ারটা খুলে রাখারও সুবিধা থাকে। একই সঙ্গে লেয়ার পোশাক পরলে এ সময় সানট্যান থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। শুধু স্টাইল ঠিকঠাক রাখতে কালার কম্বিনেশন, প্যাটার্ন আর মিক্স অ্যান্ড ম্যাচের সময় কিসের সঙ্গে কী মানানসই, তা খেয়াল রাখতে হবে।
ভ্রমণের পোশাক বাছাই করার সময় জগার বা জ্যাকেট যেটাই হোক না কেন, সঙ্গে পকেট থাকলে ভালো। এতে ভ্রমণের সময় ছোটখাটো প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গও পকেটে রাখতে পারবেন, দেখতেও লাগবে স্টাইলিস্ট। আজকাল ঢিলেঢালা সুতি হারেম প্যান্টের কদর অনেক। এগুলোতেও পকেটের সুবিধা রয়েছে। ইউনিসেক্স, তাই ছেলে–মেয়ে উভয়ই পরতে পারবেন আর ভ্রমণে বেশ স্বস্তিও দেবে। এমনকি দর্জিকে ফরমায়েশ দিয়ে কুর্তি, পালাজ্জোর মতো পোশাকেও পকেট বানিয়ে নেওয়া যাবে।
অনেক সময় হুটহাট ভ্রমণে বের হয়ে যেতে হয়। কিন্তু তখন একেবারেই সময় থাকে না এটা দেখার যে কোন টপের সঙ্গে কোন বটম জুতসই হবে। তবে হাল সময়ে দুনিয়া মাতানো কো-অর্ড স্টাইলে এসবের বালাই নেই। এই পোশাকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, টপ আর বটমে একই কাপড়, রং, প্রিন্ট বা এমবেলিশমেন্ট থাকায় আলাদা করে পোশাক বাছাইয়ের ঝক্কি থাকে না। তাই ভ্রমণে ঝটপট ও সহজ সমাধান হতে পারে আরামদায়ক কো-অর্ড সেট। যেকোনো পরিস্থিতিতে পরার জন্য এই যুগল পোশাকের রয়েছে বহুমুখিতা। শুধু আবহাওয়া আর পরিবেশ বুঝে বেছে নিতে হবে।
ছবি: হাল ফ্যাশন, বিজেন্স ও ইনস্টাগ্রাম