মন আর শরীরকে কিছুদিনের জন্য স্বঘোষিত ছুটি দিতে এখন অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন ব্যাকপ্যাক নিয়ে। উদ্দেশ্য, ঘুরে বেড়ানো। আনন্দ আর স্বস্তির খোঁজে। তবু কিছু ব্যাপার মেনে চলতে হবে এ সময়। বেড়াতে গিয়ে সবকিছু ভুলে ঘুরে বেড়ালেই হবে না, ভ্রমণও হওয়া উচিত স্বাস্থ্যসম্মত। এটা শুনতে যেমনই লাগুক, ভ্রমণে স্বাস্থ্যের বিষয়কে উপেক্ষা করা উচিত হবে না।
ছুটিতে গেলে বেশির ভাগ মানুষই প্রতিদিনের খাবারের রুটিন থেকে সরে যান। ঘুরতে যাওয়ার চক্করে খাওয়ার কথা মাথায় থাকে না। একেবারে না খেয়ে ঘোরাঘুরি কিংবা উল্টাপাল্টা খাবার বেশি খেয়ে ফেলা, কোনোটাই উচিত নয়। যেমন ভ্রমণে চা, কফি, পানীয়, কেক, পেস্ট্রি বা কুকির মতো ‘চিনিযুক্ত খাবার’ এড়িয়ে চলা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। কারণ, এতে অতিরিক্ত ক্যালরি বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভ্রমণে অতিরিক্ত খাওয়া আপনার শরীরের অনেক উপায়ে ক্ষতির কারণ হতে পারে। এতে আলসার, অ্যাসিডিটি, চর্বি জমে যাওয়া ও ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া উচিত নয়।
ভ্রমণে নানা ধরনের বাদাম সঙ্গে রাখলে ভালো। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বাদাম খাবেন না এমন নয়। ভ্রমণে ব্যাগে বাদাম রাখলে যেকোনো সময় খাওয়ার সুবিধা আছে। খিদে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া যাবে আর তাৎক্ষণিক এনার্জিও পাওয়া যাবে।
একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ভ্রমণে কোনো ডায়েট অনুসরণ করা যাবে না। মনের ওপর জোর খাটানো যাবে না। তাহলে এর ফল হবে মারাত্মক। এতে বেড়ে যাবে বেশি খাওয়ার প্রবণতা। তাই, এত কিছু না ভেবে শুধু সচেতন থাকতে হবে। যখন যেটাই খাওয়া হোক, সেটা উপভোগ করে খেতে হবে। আর অবশ্যই ভ্রমণে ইতিবাচক থাকতে হবে। কারণ, মন ও শরীর একে অপরের সঙ্গী।