ঘরের কোণে যেভাবে বানাবেন প্রশান্তিদায়ক মেডিটেশন কর্নার
শেয়ার করুন
ফলো করুন

মেডিটেশন করতে সব সময়ই দূরে নির্জন কোনো স্থানে যেতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। বিশেষায়িত মেডিটেশন সেন্টারে যাওয়ারও দরকার নেই। মনকে শীতল অনুভূতি দিতে নিজের ঘরেই মনের মতো একটি কোণ খুঁজে নিয়ে সাজিয়ে নেওয়া যেতে পারে, যেন সেখানে একটুখানি চুপচাপ সময় কাটানো যায় একেবারে নিজের মতো করে। মেডিটেশন করতে খুব বেশি কিছু লাগে না আসলে।

নীরব কর্নার খুঁজে পেতে বেশি ঝামেলা হলে নয়েজ ক্যানসেলিং ইয়ারফোন ব্যবহার করা যায়, যেটা কানে দিলে যা আর যতটুকু পাওয়া যায়, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার আর সদিচ্ছাই যথেষ্ট যেকোনো বিষয়ে।ঘরে মেডিটেশন কর্নার তৈরি করতে বাঁধাধরা নিয়মই মানতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আর এর জন্য একগাদা জিনিস কেনারও প্রয়োজন নেই। এমন একটি নিজস্ব পছন্দের জায়গা তৈরির জন্য প্রথমেই ভেবে বের করতে হবে, কোন কোন ব্যাপার আপনাকে প্রশান্তি দেয়। আর তা একেকজনের জন্য একেক রকম হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। আর বাড়ির এমন একটি স্থান খুঁজে বের করতে হবে যা কিছুটা হলেও ঝামেলামুক্ত আর নীরব। হতে পারে তা শোবার ঘর, স্টাডিরুম বা বারান্দার এক কোণ। তারপর কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে অনায়াসে নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে ডিজাইন করে ফেলতে পারেন একেবারে একান্ত নিজস্ব একটি মেডিটেশন কর্নার।

বিজ্ঞাপন

চোখে আরাম দেয় এমন রং বেছে নিতে হবে।

লাল, কমলা, উজ্জ্বল হলুদের মতো উষ্ণ রং এক্ষেত্রে খুব উপযোগী নয়। নীল, সবুজের বিভিন্ন শেড এমনিতেই চক্ষু শীতলকারী। আর প্রকৃতির কালার প্যালেট থেকে নেওয়া মাটি, বালি, পাথর ইত্যাদির রং যেমন বাদামি, ধুসর, বেইজ এমনকি সাদাও ব্যবহার করা যায়। দেওয়ালে অতিরিক্ত রংচঙয়ে কিছু ঝুলানো যাবে না। নরম শেডের রংই বেশি ভালো তবে নীল আর সবুজের ক্ষেত্রে শেড নিয়ে খেলা করার অবকাশ আছে। তবে অনেকে আবার কালো, খয়েরি, ধুসর আর গাঢ় সব রঙের মাঝে নিজেকে ঘিরে রাখলে প্রশান্তি বোধ করেন। সেক্ষেত্রে সেটাই করতে হবে৷

উপযোগী আসবাব ও অনুষংগ রাখতে হবে

আরাম আরাম অনুভূতি দেয় এমন নরম ফার্নিশিং থাকলেই ভালো লাগবে এই কর্নারে। বড়-ছোট কুশন, শতরঞ্জি, লোমশ বা তুলতুলে ফিনিশের থ্রো বা ম্যাট- ইত্যাদি রাখা যায়। সবসময় এগুলো ছড়িয়ে বা বিছিয়ে রাখা সম্ভব না হলে বড় ঝুড়িতে তুলে রাখা যায়। যখন সময়-সুযোগ মেলে ঝটপট তৈরি করে নেওয়া যাবে মেডিটেশন কর্নার।

বিজ্ঞাপন

নরম আলোর আবহ তৈরি

দেহ ও মনকে রিল্যাক্সড অনুভূতি দিতে নরম আলোর সজ্জা খুবই কার্যকর। প্রথমেই চিন্তা করতে হবে, কোন ধরনের আলো আপনাকে প্রশান্তি দেয়, মন ভালো করে। মেডিটেশনের ক্ষেত্রে আলোর উৎসের দিকে তাকিয়ে ফোকাস করার বিষয় থাকে। তাই সেটাও ভাবতে হবে। ভোর বা শেষ বিকেলের নরম আলো তো চমৎকার। এছাড়া নীল বা নরম হলুদ আলো ভালো লাগবে। কিন্তু তা খুব উজ্জ্বল হলে চলবেনা। মোমের আলোও দারুণ কার্যকর মেডিটেশন কর্নারের জন্য।

সুবাসিত থাকুক প্রশান্তিদায়ক কোণটি

বেলিফুল ভর্তি গাছের টবটি রাখা যায় এক কোণে। অথবা ফুলদানিতে যেকোন সুগন্ধি ফুল। এসেনশিয়াল অয়েল বা নির্যাসিত তেল ব্যবহার করা যায়। সুগন্ধযুক্ত ধুপকাঠিও চলতে পারে। সুবাসিত মোমবাতি জ্বালাতে পারেন ইচ্ছা করলে।

আশেপাশ ঘেরা থাক গাছে

মেডিটেশন কর্নারে গাছ ছাড়া অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। বাতাসে তাজা ভাব আনার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ অনুভব করতে সাহায্য করবে গাছ। রাখা যায় পথোজ, স্নেক প্ল্যান্ট, লাকিব্যাম্বু বা যেকোন পাতাবাহার গাছ। পাথরকুচি, অন্যান্য সাকিউল্যান্ট বা ক্যকটাস, অর্কিডও রাখা যায়।

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ০০
বিজ্ঞাপন