এদিনে রোগ তাড়াতে আনারস
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এখন বাজারে তো বটেই, রাস্তার ধারে সব জায়গায় ফেরিওয়ালার ভ্যানগাড়িতে আনারস পাওয়া যাচ্ছে। রাস্তার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খোলা অবস্থায় রাখা আনারস খেলে যে কেউ অসুস্থ হতেই পারে। সাধারণভাবে রোগ প্রতিরোধে এই ফলের রয়েছে কার্যকর ভূমিকা।

আনারসে আছে প্রচুর উপকারী পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, হজমে সহায়ক এনজাইম—এ সবই ভরপুর মিলবে আনারস খেলে। সুমিষ্ট রসাল আনারস এমনিতেই অত্যন্ত মুখরোচক ও রুচিবর্ধক। চলতে পারে আনারস-মাখা, আনারসের জুস এমনকি আইসক্রিমও। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে, ক্যানসারের সম্ভাবনা কমাতে আর যেকোনো রোগ বা সার্জারির পর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে আনারস খুবই কার্যকর হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

শুধু গুণে নয়, স্বাদেও আনারসের জুড়ি নেই। রসাল আর সুমিষ্ট এই ফলটির ফ্লেভার অতুলনীয়। চূড়ায় এক গুচ্ছ পাতার ঝুঁটিবাঁধা এই রূপসী ফলটি গ্রীষ্মপ্রধান দেশেই হয় বেশি। আমাদের দেশে এখন ঘোড়াশালের বড় সবুজ ক্যালেন্ডার আনারস আর মিষ্টি রসে ভরপুর জলডুগির পাশাপাশি পার্বত্য এলাকায় জন্মানো হানি কুইন বা ছোট চেরি আনারস মিলছে সর্বত্র।

রোগ তাড়াতে আনারস কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে এর পুষ্টি উপাদানগুলোর কল্যাণে।

পুষ্টিগুণে ভরপুর আনারস

অত্যন্ত কম ক্যালরির বিনিময়ে প্রচুর পুষ্টি জোগায় আনারস। এক কাপ টুকরা করা আনারসে মিলবে ৮৩ ক্যালরি, যার মধ্যে শর্করা ২১.৬ গ্রাম। ২.৩ গ্রাম খাদ্য আঁশ আর ১ গ্রাম প্রোটিনও আছে এতে। দিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সির ৮৮ শতাংশ ছাড়াও ১০৯ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ২০ শতাংশ কপার আর ৭ শতাংশ ফোলেট পাওয়া যাবে এই এক কাপ আনারসে। পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর থিয়ামিনসহ আরও সব ভিটামিন ও মিনারেলস আছে আনারসে।

বিজ্ঞাপন

প্রদাহ আর সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে আনারস

প্রচুর ভিটামিন সি আর ম্যাঙ্গানিজ আছে বলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ, প্রয়োজনীয় আয়রন শোষণ করা আর দেহের বৃদ্ধি ও বিকাশে আনারসের ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। শরীরে অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা নিশ্চিত করে আর মেটাবলিজম ভারসাম্য রাখে আনারসের ম্যাঙ্গানিজ। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট অক্সিডেশনজনিত স্ট্রেস আর প্রদাহ কমিয়ে ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

বিভিন্ন মৌসুমি রোগবালাইয়ের সঙ্গে লড়াই করতে কার্যকর আনারস। আনারসে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। এ কারণেই রোগ তাড়াতে আনারসের জুড়ি নেই। যেকোনো ধরনের প্রদাহ ও সংক্রমণও ঠেকাতে পারে আনারস। ফ্ল্যাভেনয়েড আর ফেনোলিক যৌগ ধরনের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় আনারসে। যৌগ আকারে থাকা এ সব উপাদান লম্বা সময় ধরে কাজ করে বলে জানা যায়।

হজমে সহায়ক আনারস

মিট টেন্ডারাইজার বা মাংস নরম করার অনুঘটক হিসেবে আনারস ব্যবহার করা হয় প্রায়ই। এতে হজমি এনজাইম আছে বেশ কয়েক ধরনের। ব্রোমেলেইন গোত্রের এসব এনজাইম প্রোটিন হজম করতে সহায়ক। এটি প্রোটিনের অণু ভেঙে পেপটাইড আর অ্যামিনো অ্যাসিড তৈরি করে।

এভাবে সরলীকরণ করা প্রোটিন হজম করা সহজ। আনারসের আঁশও পরিপাকের জন্য ভালো।

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১১: ২৪
বিজ্ঞাপন