ধ্যান হোক প্রকৃতির সঙ্গে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অনেকেই ভাবতে পারেন ‘ধ্যান’ আসলে কী? যোগের ভাষায়, ধ্যানকে বলা হয়ে থাকে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে নিজের মনকে বশে রাখা। একই সঙ্গে প্রকৃতির সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে মন ও দেহের শক্তি বাড়ানোর প্রক্রিয়া।

তবে শুধু বসার ভঙ্গি, হাতের মুদ্রা ও মনকে শান্ত রাখলেই হবে না। মেডিটেশন করার জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। যেগুলো সঠিকভাবে না হলে আপনি মেডিটেশন থেকে তেমন উপকারিতা পাবেন না। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ‘স্থান’। আপনি কোথায় বসে মেডিটেশন করছেন, তার ওপর নির্ভর করবে সেই মেডিটেশন থেকে আপনি কী পেলেন।

বিজ্ঞাপন

আমরা সবাই জানি, এখন আমাদের শহরের বাতাস কতটা দূষিত। আর যেহেতু ধ্যানের পুরো প্রক্রিয়াটাই শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে জড়িত, তাই আপনার ধ্যানের সময় এমন জায়গায় বসতে হবে, যেখানে বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে পারবেন। সহজ ভাষায় বললে, ধ্যানের সময় মিশে যেতে হবে প্রকৃতির সঙ্গে বা প্রকৃতির মধ্যেই।

প্রকৃতির যে শক্তি বা এনার্জি আছে, সেটা পৃথিবীর অন্য কোনো কিছুতেই পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য থাকবে প্রকৃতির সেই শক্তিকে নিজের মধ্যে নিয়ে আসা। নিজেকে প্রকৃতির মতোই সুন্দর, নির্মল, ধৈর্যশীল ও শক্তিশালী করা। আর এর জন্য ধ্যানের সময় থাকতে হবে প্রকৃতির মধ্যেই।

বিজ্ঞাপন

তাই ধ্যান করার আগে যে জায়গা নির্বাচন করবেন, সেটা কোনো বন বা বাগান হলে ভালো হয়। নাহলে আপনার বাসার আশপাশে কোনো পার্কে গিয়ে আপনি ধ্যান করতে পারেন। যদি সেটা সম্ভব না হয়, তাহলে আপনার বাসার ছাদে যদি গাছ থাকে, আপনি সেখানেও যেতে পারেন। সেটা সম্ভব না হলে আপনার বারান্দায় কিছু উপকারী গাছ লাগিয়ে সেখানেই ধ্যান বা মেডিটেশনের পরিবেশ তৈরি করে নিন।

মনে রাখতে হবে, আপনি ধ্যান করবেন আপনার মানসিক শক্তি বাড়ানোর জন্য। তাই এই শক্তি বাড়াতে যেসব প্রক্রিয়া আছে, তা আপনি সঠিকভাবে পালন করলেই উপকারিতা পাবেন।

মডেল: এলিজা চৌধুরী, ছবি: সাইফুল ইসলাম

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন