যে ৭টি বিষয় কখনো গুগল সার্চ করবেন না
শেয়ার করুন
ফলো করুন

গায়ে র‍্যাশ উঠেছে, মাথাটা কেমন করছে, দেখি গুগলে কী বলে। এবার সম্ভাব্য ক্যানসারের ভয়ে নির্ঘুম রাতযাপন। কী? খুব চেনা মনে হচ্ছে গল্পটা? এমন ঘটনা আমাদের সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটেছে কখনো না কখনো। আবার এমন কিছু সার্চ করে ফেললাম, যে এআইয়ের পরবর্তী সাজেশনমূলক ‘রেকমেন্ডেড ফর ইউ’ লেখা ব্যাপার-স্যাপার নিয়ে একেবারে নাক কাটা গেল। এদিকে কৌতূহলবশত আইনবহির্ভূত কিছু সার্চ করলে তা ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে।

সব মিলিয়ে ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা কিছু কিছু বিষয়ে সরাসরি গুগল সার্চ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। কারণ, একদিকে যেমন এতে ভুল তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি আর জীবনে বাড়তি স্ট্রেস এসে মগজের বারোটা বাজবে শুধু শুধু। এবার এমন বিষয়গুলো একে একে দেখে নেওয়া যাক।

বিজ্ঞাপন

যে পণ্যের বিজ্ঞাপনে ডুবে যেতে চান না: কোনো একটি স্কিনকেয়ার পণ্য বা বিখ্যাত কোনো ব্র্যান্ডের জুতার খোঁজ করলেই হলো। এরপর ত্বকের যত্নে পৃথিবীর যেখানে যে যত পণ্য বিকিকিনি করছে, সেগুলো তিরের বেগে আসতে থাকবে আপনার দিকে। এদিকে সেই পণ্যের বৃষ্টি চলবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ফিডে বা গুগল খুললেই আসবে তার বিজ্ঞাপন। এই অবস্থা এড়াতে ঢালাওভাবে কিছু খুঁজতে গুগল সার্চ না দেওয়াই ভালো। এমনিতে অ্যাড ব্লকার ব্যবহার অবশ্য এ থেকে পরিত্রাণ মেলে কিছুটা।

বিব্রতকর সার্চ ইতিহাস সামনে আনতে পারে যা: গুগল সার্চের ইতিহাস মুছে ফেললেও বিভিন্ন অসিলায় আপনার বিব্রতকর সার্চ তালিকা সামনে চলে আসতে পারে। ইন্টারনেটে সার্ভিলিয়েন্স বা নজরদারি এখন অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের হতে পারে। তাই ভাবনাচিন্তা না করে অনৈতিক বা পর্নোগ্রাফি ধরনের কিছু সার্চ করলে তার ওপর ভিত্তি করে পরে ব্রাউজার খুললেই যদি সাজেশন আসে, তবে তা খুব অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

আইনের চোখে অপরাধ এমন কিছু: কৌতূহলবশত আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক ধরনের বস্তু গুগল সার্চ করলে তা পরবর্তী সময়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে। একই কথা মাদক বা নিষিদ্ধ যেকোনো জিনিসের বেলায় প্রযোজ্য।

বিজ্ঞাপন

ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা: চেহারায় র‍্যাশ উঠল বা তিল উঠেছে কোথাও, ব্যাস দিলাম গুগল সার্চ। কিন্তু প্রায় সময়েই ভুল তথ্য উঠে আসে এমন অনুসন্ধানে। ভয়ংকর সব ত্বকের সমস্যার বৃত্তান্ত পড়তে পড়তে নিজের অজান্তেই চুলকানি বা জ্বলুনি অনুভব হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর সে অনুযায়ী ত্বকের চিকিৎসা শুরু করে দিলে উল্টো ক্ষতি হতে পারে।

কোনো একটি পণ্য ব্যবহারের জন্য নিরাপদ কি না, সে তথ্য: একেকটি সৌন্দর্যপণ্য, ওষুধ বা যেকোনো ধরনের জিনিস একেকজনের ওপর একেক রকম প্রভাব ফেলে। তাই গুগলের তথ্য অনুযায়ী কোনো পণ্য ব্যবহার করা যাবে না৷ অন্তত সঠিক উৎস থেকে নিশ্চিত না হয়ে তো নয়ই৷ ঝুঁকি থাকলে বরং এড়িয়ে যাওয়া উচিত এমন কিছু।

রোগের লক্ষণ সার্চ না দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে: পেটব্যথা, মাথাব্যথা বা সাধারণ ক্লান্তির লক্ষণগুলো সার্চ করি আমরা গুগলে মাঝেমধ্যে। অনেকে আবার এক কাঠি ওপরে গিয়ে জটিল রোগের নির্ণয়পদ্ধতি আর চিকিৎসা নিয়ে গুগল করা তথ্যসহ চিকিৎসকদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। আর এদিকে তিলকে তাল করা গুগল সার্চের ফলাফল দেখে ঘুম হারাম হয়ে যায় অনেকের। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সব লক্ষণকে ঢালাওভাবে ক্যানসারের পূর্বাভাস বলে উল্লেখ করা হয় ইন্টারনেটের অনেক কনটেন্টে, যার সঙ্গে বাস্তবতার মিল খুবই কম।

হুবহু গুগল অনুবাদ করলে কাজ হবে না: গুগল ট্রান্সলেটর আমরা সবাই ব্যবহার করি। তবে সেই অনুবাদ করা লেখা হুবহু ব্যবহার করতে গেলে ঠেকতে হবে পদে পদে। অনেক সময় অর্থই বদলে যায় গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে হুবহু অনুবাদ করলে। সে ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে গুগল অনুবাদ করে ভাবার্থ ঠিক আছে কি না বা অনুবাদটি খাপছাড়া লাগছে কি না, তা দেখতে হবে।

ছবি: পেকজেলস

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৩, ০৪: ০০
বিজ্ঞাপন