প্রাণখোলা হাসি যেভাবে হতে পারে সুস্থতার চাবিকাঠি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

কথায় আছে, যেকোনো রোগের সবচেয়ে ভালো আর বিনা মূল্যের ওষুধ ‘হাসি’। যেকোনো সমস্যায় প্রাণখোলা হাসির চেয়ে ভালো ও কার্যকর কিছু আর দ্বিতীয়টি নেই। তবে এটা শুধু কথার কথাই নয়, বরং যথেষ্ট বিজ্ঞানসম্মত। আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় হাসি-কৌতুক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। শুধু শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যেই নয়, সামাজিক ক্ষেত্রেও হাসির সুফল রয়েছে।

সব সমস্যার সমাধান হাসি। এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ‘লাফটার ইয়োগা’ বা ‘হাস্যযোগ’। হাস্যযোগে সাধারণত সমবেতভাবে দীর্ঘক্ষণ ধরে হাসা হয়। তবে স্বতঃস্ফূর্ত হাসি অত্যন্ত কার্যকরভাবে শারীরবৃত্তীয় ও মানসিক উপকার করে। তাই হাসি-খুশি থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে আমাদের। হাসি কিন্তু বেশ সংক্রামক। পাশের মানুষটির উচ্ছল হাসি আমাদেরও হাসায়। কৌতুকে মেতে উঠে সবাই মিলে হাসিখুশি সময় কাটালে তা শরীর ও মনকে চনমনে করে তোলে। একা থাকলেও কোনো কমেডি মুভি বা বইকে সঙ্গে করে হাসা যায় প্রাণ খুলে।

বিজ্ঞাপন

হাসি আনন্দ ও সুস্থতার প্রতীক। একাধিক গবেষণায় এই কথা প্রমাণিত হয়েছে যে হাসি নানাভাবে আমাদের শরীর গঠনে সাহায্য করে। হাসি আমাদের নানা দিক থেকে সুস্থ রাখতে পারে। হাসির ফলে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায় এবং মানসিক চাপ হ্রাস পায়। এবার হাসির উপকারিতাগুলো দেখে নেওয়া যাক।

স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে

হাসির সময় আমাদের শরীরে এন্ডোরফিন নামে হরমোনের ক্ষরণ হয়, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত। এটি মানসিক চাপ উদ্রেককারী কর্টিসল হরমোনের কার্যক্ষমতাকে কমিয়ে ফেলে। ফলে হাসির জোয়ারে মানসিক চাপ যে কখন দূরে পালায়, তা বোঝাই যায় না।

জীবনীশক্তি ফিরিয়ে আনে

হাস্যযোগ শরীর ও মস্তিষ্কে দ্রুত অক্সিজেন প্রবাহে সাহায্য করে। হাসি শরীরের স্বাভাবিক পেইন কিলার তৈরি করে এবং পেইন-স্প্যাজম সাইকেল ভেঙে দেয়। এর ফলে দেহে উদ্যম ও জীবনীশক্তি ফিরে আসে।

বিজ্ঞাপন

ওজন কমাতে সাহায্য করে

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হাসার সময় আমাদের শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ক্যালোরি বিপুল পরিমাণ বার্ন হতে থাকে। শুধু তা-ই নয়, এই সময় পেটেও খুব চাপ পড়ে। ফলে সব দিক থেকে ওজন হ্রাসের পথ প্রশস্ত হয়।

ফুসফুস তরতাজা হয়ে ওঠে

নিয়মিত হাস্যযোগ অনুশীলনে ফুসফুস প্রসারিত হয় এবং ফুসফুসের প্রতিটি কোনায় বিশুদ্ধ অক্সিজেন প্রবাহিত হয়। এর ফলে নানাবিধ রোগের প্রকোপ হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

অ্যান্টিবডি তৈরি করে

অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা উদ্বেগ আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। কিন্তু কিছু পরীক্ষা পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, হাস্যরস শরীরে রোগ প্রতিরোধের জন্য দরকারি কোষ এবং অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪: ০০
বিজ্ঞাপন