কখন কফি পান করবেন, সকালে না বিকেলে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পানীয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কফি। বেশিরভাগ মানুষ দেখা যায় দিন শুরুই করেন কফি দিয়ে।। কেউ কেউ কাজের মাঝে কফি পান করেন। আবার এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা রাতেও কফি পান করেন। কফি পানে মিলে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। যেমন নিয়মিত ভালো মানের কফি পরিমিত পরিমাণে পান করলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি হ্রাস পায়। তবে কফির চুমুকে স্বাস্থ্য উপকারিতা মিললেও এর প্রভাব নির্ভর করে আপনি কখন তা পান করছেন তার ওপর। সব সময় একই ধরনের উপকার পাবেন না কফি থেকে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন সময়ে কফি পান করলে পাবেন সবচেয়ে বেশি উপকারিতা।

অনেকেই রোজ সকালে পান করেন কফি
অনেকেই রোজ সকালে পান করেন কফি
ছবি: পেকজেলস ডট কম

সকাল

যেহেতু ক্যাফেইন আমাদের এনার্জি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং ঘুম ঘুম ভাব কাটিয়ে শরীরকে করে তুলতে পারে চনমনে, তাই অনেকেই রোজ সকালে পান করেন কফি। তবে সকালে খালি পেটে কফি পান করলে এটি রক্তে শর্করা ও বিভিন্ন হরমোনের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তাই খালি পেটে কফি পান করা মোটেও ঠিক নয়। সেই সঙ্গে সকালে আমাদের শরীরের কর্টিসলের মাত্রা প্রাকৃতিক ভাবেই বেশি থাকে। কর্টিসল হলো এক ধরনের হরমোন যা মানসিক চাপ, বিপাক ও রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ঠিক রাখে। যেহেতু এই হরমোন মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রনে রেখে প্রাকৃতিক ভাবেই  আপনাকে চনমনে রাখে, তাই সকালে উঠেই কফি পান করে তেমন কোনো উপকার মিলবে না বললেই চলে। তবে রাতে ভালো ঘুম না হলে বা ক্লান্তি ভর করলে কফির চুমুকে চনমনে অনুভূতি খুঁজে পাবেন আপনি এ সময়।

বিজ্ঞাপন

দুপুর

দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের কারণে অনেক সময় অলসতা কাজ করে। তাই শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে প্রথমেই মনে পড়ে কফির কথা। এ সময়ে এনার্জি বুস্ট করতে কফি পান করা যেতে পারে। তবে ব্যক্তিভেদে এর প্রভাবে তারতম্য দেখা দিতে পারে। যাঁরা ক্যাফেইনের প্রতি সংবেদনশীল, তাঁরা কখন ঘুমোবেন সেই কথা চিন্তা করেই পান করা ভালো। দুপুর তিনটার আগে পরিমিত মাত্রায় পান করতে পারেন কফি।

শেষ বিকেলের দিকে কিংবা সন্ধ্যার কফি এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো
শেষ বিকেলের দিকে কিংবা সন্ধ্যার কফি এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো
ছবি: পেকজেলস ডট কম

সন্ধ্যা

শেষ বিকেলের দিকে কিংবা সন্ধ্যার কফি এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো। এটি আপনার ঘুমের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। যদিও সন্ধ্যার আড্ডা কফি ছাড়া ভাবাই যায় না। কিন্তু দিনের আলো কমতে থাকলে আমাদের শরীরে ক্যাফেইন সংবেদনশীলতা বাড়তে থাকে। তাই আপনি যদি ক্যাফেইন সংবেদনশীল নাও হয়ে থাকেন, তবুও এটি আপনার ঘুমের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই এই সময়ে কফি পান মোটেও উচিত নয়।

বিজ্ঞাপন

তাহলে কখন পান করবেন কফি

আপনি যদি ওয়ার্ক আউট করতে ভালোবাসেন তবে প্রি ওয়ার্ক আউট পানীয় হিসেবে কফির কোনো তুলনা নেই। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে ওয়ার্ক আউটের এক ঘণ্টা আগে পান করতে পারেন কফি।

সকালের শেষের দিকে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টা পর পান করতে পারেন কফি
সকালের শেষের দিকে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টা পর পান করতে পারেন কফি
ছবি: পেকজেলস ডট কম

এছাড়া সকালের শুরুতে যেহেতু কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকে। তাই সকালের আপনার কর্টিসলকে কাজ করতে দিন। সকালের শেষের দিকে কিংবা ঘুম থেকে ওঠার দুই ঘন্টা পর যখন কর্টিসলের মাত্রা কমতে থাকবে, তখন পান করতে পারেন কফি। তাহলে এটি আপনার কর্টিসলের কাজেও কোনো ব্যঘাত ঘটাবে না। পাশাপাশি সারাদিনের সব কাজে আপনাকে রাখবে চনমনে ও সতেজ।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬: ০৭
বিজ্ঞাপন