প্রতিদিন এই একটি যোগাসন করলেই আপনার মাঝে যে ৬টি পরিবর্তন আসবে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার মধে৵ই নিজেকে ভালো রাখার মূলমন্ত্র রয়েছে। আর প্রাণায়াম আমাদের শরীর–মনকে একাগ্র করে নিয়ন্ত্রণপ্রক্রিয়া সহজ করে। প্রাণায়ম আসলে কী? প্রাণায়ম একটি প্রাচীন যোগব্যায়াম। প্রাণের আয়াম অর্থাৎ প্রাণের দীর্ঘতাই প্রাণায়াম। সঠিক নিয়মে শ্বাস গ্রহণ, ধারণ ও ত্যাগের নিয়ন্ত্রণের ব্যায়ামই প্রাণায়াম। নিয়মিত প্রাণায়ম চর্চা করলে শরীর ও মন দুটিরই বেশকিছু উপকার পাওয়া যায়।

১. উপস্থিতির প্রভাব ও সচেতনতা বৃদ্ধি

কিছু মানুষ ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায়, সবার নজর তাঁর দিকে। বাহ্যিক সৌন্দর্য ছাড়াও সার্বিক শক্তিশালী উপস্থিতি এর বড় একটি কারণ। নিয়মিত প্রাণায়ামের ফলে শরীর ও মনের বিশেষ যোগ সাধন হয়। এতে মনোযোগ যেমন বাড়ে, তেমনি বাড়ে আত্মবিশ্বাসও। ব্রিদিং বা শ্বাসপ্রশ্বাসের এই ব্যায়াম আপনাকে সতর্ক এবং আপনার উপস্থিতিকে আরও আকর্ষণীয় করে৷ এতে সচেতনভাবে মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়। চারপাশের মানুষও আপনার উপস্থিতি তখন উপভোগ করেন বেশ।

২. মানসিক শক্তি ও স্বচ্ছতা

প্রাণায়ম অস্থির বা বিক্ষিপ্ত মনকে একাগ্র করে। প্রাণায়মকে মেডিটেশনের প্রথম দরজা বলা হয়। এই ব্যায়ামের সময় মনের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে থাকে পুরোপুরি। ফলে আমাদের ফোকাস করার ক্ষমতা বাড়ে। যেকোনো ব্যাপার স্বচ্ছতার সাথে মনের গভীর থেকে চিন্তা করার শক্তি বাড়ায়।

বিজ্ঞাপন

৩. মন শান্ত রাখে

যখন কিছুই ভালো লাগে না, অস্থির লাগে কিংবা আমরা দ্বিধান্বিত থাকি; তখন বলা হয়, জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে ধীরে ছাড়তে। এতে মন শান্ত হয়। যদি আপনি নিত্যদিনের কাজ নিয়ে অনেক চিন্তিত ও ক্লান্তবোধ করেন, প্রাণায়াম করুন। দেখবেন, নিজেকে খুব শান্ত মনে হচ্ছে। পুরো স্নায়ুতন্ত্রই স্থির হয় এতে। মনও পুনরুজ্জীবনের একটি অবস্থায় প্রবেশ করে।


৪. নিজেকে নিজের মধ্যে রাখে

প্রায়ই আমরা কাজের জন্য এত বেশি চাপে পড়ে যাই যে কোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই না। অনেক সময় সহজ সমস্যার বেড়াজাল থেকে বের হতে পারছি না মনে হয়। নতুন কোনো আইডিয়া আসে না এবং নিজের সৃজনশীল অনুপ্রেরণা একদম নিম্ন পর্যায়ে চলে যায়, তখন শ্বাসপ্রশ্বাসের এই ব্যায়াম বেশ কাজ করে। কোথাও ঠান্ডা হয়ে বসে কয়েকবার দীর্ঘ শ্বাসপ্রশ্বাসের এই ব্যায়াম করলে চিন্তাগুলো আর এলোমেলো লাগে না। প্রাণায়াম অবিলম্বে আপনাকে আপন শক্তিতে ফিরিয়ে আনে এবং সবকিছু যেমন আছে, তেমন করেই দেখতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

৫. ধৈর্য বাড়ায়, উদ্বেগ কমায়

প্রাণায়াম অনুশীলন আমাদের পালসের গতি ধীর করে। আপনাকে আপনার মনের সঙ্গে আবার যুক্ত করে। ফলে উদ্বেগ কমে যায়। যে কাজটি পারছি না বলে মনে হয়, সেটি করার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যায়। এ যোগাসন গুছিয়ে কাজ করতে সাহায্য করে। ফলে জীবনযাত্রার মান বাড়ে৷

৬. শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে
প্রাণায়ামের ফলে শরীর ভেতর থেকে ডিটক্স হয়।  ফুসফুসে কার্যকরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস প্রবাহ চলায় রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিবর্তনও দ্রুত হয়। এ কারণে হজমপ্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শরীরের বিপাক বাড়ে এবং দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

তথ্যসূত্র: ভেরি ওয়েল ফিট

ছবি: পেকজেলস ডট কম

হিরো ইমেজ: আনিকা রাব্বানির সৌজন্যে

প্রকাশ: ১৯ মে ২০২৪, ০২: ০৪
বিজ্ঞাপন