পারকিনসন্স ডিজিজ বা মস্তিষ্কের ক্ষয় রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্ব মানুষেরই এ রোগ হয়, পুরুষের ক্ষেত্রে পারকিনসন্সে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি। পৃথিবীর অন্তত ১০ মিলিয়ন মানুষ এই পারকিনসন্স রোগে ভুগছে।

পার্কিনসনের লক্ষণ:

৫০ বছরের পর থেকে এই নিম্নোক্ত লক্ষণ গুলি শরীরে দেখলেই সাবধান হন। এতে ঝুঁকি কমবে রোগের। প্রথমেই রোগ ধরা পড়লে কাটবে সমস্যা।

- হাত যদি কাজ না করে। অথবা একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর হাত কাঁপতে থাকে। তাহলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পার্কিনসনের কাঁপার প্রবণতা হাত, পা, পায়ের পাতা থেকে শুরু হয়।

- অঙ্গ গুলি হঠাৎ শক্ত হয়ে যাওয়াও।

পার্কিনসনের ভয়াবহ কিছু লক্ষণ:

- পার্কিনসনের ক্ষেত্রে অনেক সময় বয়স্কদের ভাবনা চিন্তায় সমস্যায় হয়। খুঁজে পান না শব্দ। সবার বিষয়ে সমান মানসিকতা রাখতে আরম্ভ করেন।

- অবসাদ পার্কিনসের একটি বড় দিক। স্নায়ুগতভাবে অনুভব করার শক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। গন্ধ বা দুর্গন্ধ সহজে নাকে যায় না। চোখে ‘ড্রাই আই’ সমস্যা দেখা যায়। খুব দুর্বল লাগে।

- পার্কিনসনের সমস্যা সহজেই হজমশক্তি কমিয়ে দেয়। ফলে হজমে কষ্ট হয়। শুরু হয় কোষ্ঠকাঠিন্য।

- এই রোগের জটিলতায় মাঝে মাঝেই ব্ল্যাক আউট, মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা যায়। ব্লাড প্রেশারেও সমস্যা থাকে।

- এই সমস্যার জেরে মানসিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা যায়। ফলে ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটতে থাকে।

- সঙ্গমের ইচ্ছা কমে যাওয়া। পার্কিনসন ঘুমের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি করে।

- বারবার মূত্রের প্রবণতা দেখা যায় পার্কিনসনে। ফলে সেদিক থেকেও থাকতে হবে সতর্ক।

- হাতের লেখা ছোট হতে হতে অনেক ক্ষেত্রে বিন্দুতে মিশে যায়।

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসা:

পারকিনসন্স রোগের কোনো প্রতিষেধক নেই। তবে এই রোগের লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু ওষুধ সেবন করতে হয়। লেভোডোপা ও কার্বিডোপা ওষুধ সেবনে লক্ষণগুলো অনেকাংশে কমে যায়। এখন পর্যন্ত পারকিনসন্স রোগের এটাই সবচেয়ে ওষুধ। এ ছাড়া এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ব্রোমোক্রিপটিন, সেলেজিলিন, এমানটিডিন, অ্যান্টিকলিনার্জিক ওষুধ ব্যবহার করা হয় এবং সার্জারি করা যায়। তবে আমাদের দেশে তা হয় না বললেই চলে।

এ রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয় না। তাই এই রোগে আক্রান্তদের ওষুধ সেবনের পাশাপাশি জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করা জরুরি। পারকিনসন্স রোগে আক্রান্তদের পুষ্টিকর সুষম খাবার খেতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে শাকসবজি, ফলমূল থাকতে হবে। রোগটি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়, তা নিয়ে অনেক গবেষণা হলেও ভালো ফল পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকেরা বলেছেন, কফিজাতীয় তরল পান করলে এ রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।

ছবি: পেকজেলসডটকম

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন