উন্নত দেশে প্রায় ১০-২০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর প্রায় ২৫ মিলিয়ন ব্যক্তির পিত্তথলিতে পাথর পাওয়া যায়, যার মোট ওজন হতে পারে প্রায় ২৫ থেকে ৫০ টন। ৮০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে এই রোগ তেমন কোনো জটিলতা বা সমস্যা সৃষ্টি করে না।
রোগটি কাদের বেশি হয় ?
স্থূল ও মোটা ব্যক্তিদের পিত্তথলিতে পাথর বেশি হতে দেখা যায়। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই প্রবণতা বেশি। এ ছাড়া চল্লিশোর্ধ্ব বয়স, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাবার অভ্যাস, অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি এই ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
কখন আপনি পিত্তথলির পাথরের জন্য একজন চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করবেন
আপনার যদি নিচের উপসর্গগুলোর মধ্যে কোনোটি থাকে, তাহলে দেরি না করে অবিলম্বে একজন সার্জিক্যাল গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট বা গ্যাস্ট্রো সার্জনের কাছে যেতে হবে।
১. পেটে তীব্র ব্যথা যদি ৫ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয়।
২. বমি বমি ভাব।
৩. জ্বর বা ঠান্ডা লাগার উপস্থিতি।
৪. চোখ বা ত্বক হলদেটে বর্ণ ধারণ করলে।
৫. প্রস্রাব এবং মলের রং পরিবর্তন।
বেশি কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে পিত্তথলিতে পাথর এড়িয়ে চলা সম্ভব:
১. খাবার বাদ দেবেন না
প্রতিদিন আপনার স্বাভাবিক খাবারের সময় ধরে রাখার চেষ্টা করুন। খাবার বাদ দেওয়া বা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যাবে না। এসব অভ্যাস পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. ধীরে ধীরে ওজন কমানো
আপনার যদি ওজন কমাতে হয়, তবে তা ধীরে ধীরে কমান। দ্রুত ওজন হ্রাস পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। সপ্তাহে ওজন ১ বা ২ পাউন্ডের বেশি কমলে লক্ষ রাখতে হবে।
৩. ফাইবারযুক্ত খাবার খান
আপনার প্রতিদিনের খাবারে উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার রাখুন। যেমন ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য। এসব খাবার পিত্ততে পাথর গঠনে বাধা দেয়।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন পিত্ততে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়। শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক জরুরি। স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে বডি মাস অনুযায়ী ওজন বজায় রাখা উচিত।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স