ডাক্তারের কাছে যেকোনো রোগশোকের নালিশ দিতে গেলেই বিধান আসে ওজন নিয়ন্ত্রণ করার। আর সে জন্য নিয়মিত ওজন মাপতেই হয়। তবে রোজ রোজ ওজন মাপার দরকার নেই। ফিটনেস বিশেষজ্ঞ আর মানবদেহের ওজন বিষয়ের গবেষকেরা বলেন, এমনিতে সাধারণ অবস্থায় মাসে একবার খালি পেটে ওজন মাপাই যথেষ্ট। তবে তা কোন সময়ে মাপলে ভালো, তা–ও এক প্রশ্ন।
আমরা সবাই এখন নিজের ওজন কমানোর বিষয়ে বেশ সচেতন। আমাদের জীবনযাপন ও খাদ্যতালিকার ধরন আর দিনব্যাপী ব্যায়ামের অনুপস্থিতি সাধারণভাবে মানুষের ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে। আর বন্ধু, আত্মীয়, পরিবারের সবাই কথাবার্তা বলতে গেলে চলে আসে ওজনের প্রসঙ্গ। তবে মাঝেমধ্যে দেখা হলেই শুধু ওজনের কথা জিজ্ঞেস করা আর রূঢ়ভাবে ওজন নিয়ে বিব্রতকর কথা বলা যে কারও মানসিক চাপ ও মনোকষ্টের কারণ হতে পারে। আর এ থেকে প্রতিদিন বা এক দিনেই বারবার ওজন মেপে নিজেকে এক ধরনের চাপের মধ্যে রাখতে বাধ্য হন অনেকে।
এভাবে স্ট্রেস না নিয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত অনুযায়ী সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ওজন মাপতে হবে। বেশির ভাগ ফিটনেস ও ওজন–সংক্রান্ত গবেষণা বলে, প্রতিবার সকালে খালি পেটে ওজন মাপলে সবচেয়ে নির্ভুল পরিমাপ পাওয়া যায়। আর তা সকালে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার পর একেবারে আক্ষরিক অর্থেই খালি পেটে।
প্রায় সময় দেখা যায়, সকাল আর সন্ধ্যার ওজনে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে। আবার এ–ও মনে রাখতে হবে যে এই সকালের ওজন আর দিনের দ্বিতীয় ভাগের ওজনের পার্থক্য একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম আসে। তবে সে যা–ই হোক, সাধারণভাবে রোজ রোজ ওজন মাপার মতো বোকামি থেকে নিজেকে একেবারেই দূরে রাখতে হবে। মাসের একটি নির্দিষ্ট তারিখে সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রাতঃকৃত্য সেরে খালি পেটে ওজন মেপে তা লিখে রাখতে হবে। তবে কোনো কারণে দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে সেভাবে পরিমাপ ও রেকর্ড করতে হবে দেহের ওজন।
হিরো ইমেজ: পেকজেলসডটকম