চায়ের ভালোমন্দ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

চা সারা বিশ্বের জনপ্রিয় পানীয়গুলোর অন্যতম। পানির পরে চা-ই সবচেয়ে ভালো পানীয় হিসেবে বিবেচিত হয়। গত কয়েক বছরে সারা বিশ্বেই নানা ধরনের চা খুবই জনপ্রিয় হচ্ছে।

ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের বিকল্প নেই। ছোটো-বড় সবাই সব ঋতুতে বিশেষ করে শীত বা বৃষ্টির দিনে চা পান করতে ভালোবাসেন। তবে চায়ের আয়োজন আর একে ঘিরে আড্ডা আনন্দের হলেও সবার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নাও হতে পারে। আমরা চা পান করার উপকারিতা আর কিছু ক্ষতিকর দিক, দুই-ই দেখে নিতে পারি, যাতে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, আপনার জন্য চা পান করা ভালো কি না।

সব সময় যখন ইচ্ছা চা পান করা স্বাস্থ্যসম্মত কি না, দেহের ওপর এর প্রভাব কী রকম, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে অনেক। দৈনিক চা পানের সর্বোচ্চ সীমা বা সর্বনিম্ন সীমা কতটুকু—এককথায় উত্তর দেওয়া একটু কঠিন। বিভিন্ন ধরনের চা রয়েছে। দুধ চা, লাল চা, সবুজ চা, মসলা চা, ইত্যাদি অনেক রকম চা পান করি আমরা। বিভিন্ন সময়ে একেক ধরনের চা পান করলে শরীরে বিভিন্ন রকমের প্রভাব পড়ে। যেমন সকালে নাশতা করার পর চা পান করলে স্বাস্থ্যের বেশি উপকার হয় বলে জানা যায়। দুপুর, বিকেল কিংবা রাতে চা পান করলে শরীরে আলাদা রকম প্রভাব পড়তে পারে।

বিজ্ঞাপন

চা পানের উপকারিতা

সাধারণভাবে, চা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো হতে পারে। চায়ে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার দেহের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে এবং এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও কার্যকর বলে জানা যায়। চা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। চায়ের তাজা লিকারের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যগুণ। গবেষণায় বলা হয়, চা নিয়মিত পান করলে, তা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

বিজ্ঞাপন

চা পানের ক্ষতিকর দিক

তবে চা পানের কিছু অসুবিধাও রয়েছে। ধরন ভেদে চায়ে উচ্চ মাত্রার ক্যাফেইন থাকতে পারে। তাই চা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, যদি আপনি খুব বেশি পান করেন। চায়ে ট্যানিনও থাকে, যা বদহজম এবং অন্যান্য পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি গর্ভবতী হন বা বুকের দুধ খাওয়ান, তবে আপনার কড়া লিকারের চা পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, এটি শিশুর বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, সবকিছুরই দুটি দিক আছে—ভালো আর খারাপ। চা পান করার সুবিধা ও অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। এখন এটি আপনার ওপর নির্ভর করে আপনি এটিকে কীভাবে দেখবেন এবং আপনি নিজের জন্য কী বেছে নেবেন।

সাধারণভাবে আপনি যদি সুস্থ থাকেন এবং চা পান করার কারণে আরও খারাপ হতে পারে—এমন কোনো শারীরিক পরিস্থিতি না থাকে আপনার, তাহলে এটি আপনার রোজকার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতেই পারেন। আপনি যদি গর্ভবতী হন বা কোনো বিশেষ রোগের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা চলতে থাকে, তবে আপনার চা পান করার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে সব দিক বিবেচনা করে মাঝেমধ্যে এক কাপ চা উপভোগ করা সাধারণত নিরাপদ।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬: ০০
বিজ্ঞাপন