এই গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। চিকিৎসকেরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সুস্থ মানুষের দিনে আট গ্লাস পানি পান করা উচিত। এই গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলে এর পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে হবে। তবে সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ করতে চাইলে দারুণ কার্যকর হতে পারে ডিটক্স ওয়াটার।
ডিটক্স ওয়াটার কথাটি কিন্তু সবার মুখে মুখে ফেরে। এটি আসলে তাজা ফল, সবজি, হার্বসের ফ্লেভার দেওয়া পানি। এখানে জুস বা স্মুদির মতো উপকরণগুলো ব্লেন্ড করে বা রস চিপে না নিয়ে বরং টুকরা করে লম্বা সময় ধরে ডুবিয়ে রাখা হয় পানিতে। এতে ফল, সবজি ও হার্বসের বৈচিত্র্যময়, মন-মাতানো ফ্লেভার ইনফিউজ হয় বা প্রবেশ করে মিশে যায় পানিতে।
আর এ ক্ষেত্রে উপকারী সিট্রাস–জাতীয় ফল, যেমন লেবু, মালটা ইত্যাদির সঙ্গে শীতল অনুভূতি দেওয়া শসা, পুদিনা আর বিভিন্ন ভেষজ গুণসম্পন্ন উপকরণ আদা, তুলসী ইত্যাদি যোগ করা যায়। এতে ইচ্ছেমতো ফল বা সবজি দেওয়া যেতে পারে। এসব ফল, সবজি ও হার্বসের ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের আছে শরীরে জমা হওয়া ক্ষতিকর টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা। এ জন্যই এই ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস–সমৃদ্ধ পানীয়কে ডিটক্স ওয়াটার বলে। তবে ডিটক্স জুস বা স্মুদির সঙ্গে এর পার্থক্য হচ্ছে এতে ফল, সবজি বা হার্বসের মন–মাতানো ফ্লেভার থাকবে, কিন্তু পানীয়টিতে পানির স্বাদই মিলবে।
ডিটক্স ওয়াটার বানানো খুবই সহজ। প্রথমেই পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি নিতে হবে। এবার পছন্দমতো ফল, সবজি ও হার্বস নিতে হবে। লেবু, কমলা, মালটা, তরমুজ, জাম্বুরা, কাঁচা আম, স্ট্রবেরি, আঙুর, আনারস ইত্যাদি ফল নেওয়া যায়। শসা, টমেটো বা কাঁচা খাওয়া যায় এমন সবজি নিতে হবে। সঙ্গে আদা, পুদিনা, দারুচিনি, তুলসী ইত্যাদি দেওয়া যায়। খোসাসমেত ব্যবহার হয় বলে খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে সব।
এবার স্লাইস ও টুকরা করে পানিতে সবকিছু মিশিয়ে ঢেকে রাখতে হবে জগে। ঘণ্টাখানেক রাখতে হবে। ফ্রিজে সারা রাত বা ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে পান করা যায় ডিটক্স ওয়াটার। উপকরণগুলো একটু থেঁতলে নিলে দ্রুত ফ্লেভার মিশবে পানিতে।
ডিটক্স ওয়াটারে উপকরণ একেবারে মিশে যায় না বলে তেমন ক্যালরি যোগ হয় না। তাই এতে পুষ্টি মিললেও ওজন বাড়বে না।
এই নিদারুণ দাবদাহের দিনে ঝটপট ঘরে বানিয়ে ডিটক্স ওয়াটার পান করা যায় সারা দিন নির্ভাবনায়।
সূত্র: হেলথলাইন