জেন–জি কারা, তাঁদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে 
চলা কঠিন কেন?
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অনেকেই বলে থাকেন, বয়স শুধু একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে বয়সের সঙ্গেই মানুষ অনেক কিছু শেখে, জানে ও বোঝে। এটি অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। আর কর্মস্থলে বর্তমানে যে প্রজন্ম সবচেয়ে কনিষ্ঠ পর্যায়ে কাজ করছে, তারা হলো জেন–জি। জেন–জি আসলে কারা? এ নিয়ে কিছু মতবিরোধ থাকলেও বহুলস্বীকৃত পিউ রিসার্চ সেন্টারের স্টেটমেন্টে বলা হয় যে ১৯৯৭ সালের পর যাঁদের জন্ম হয়েছে, এমন জনগোষ্ঠী জেন–জি প্রজন্মের অন্তর্গত। এখন অবশ্য ২০১০ সালের পর জন্ম নেওয়া শিশু-কিশোরদের আলফা জেনারেশন ধরা হয়।


সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রসম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা রিজিউম বিল্ডার ১ হাজার ৩৪৪ জন ব্যবস্থাপক ও ব্যবসায়ীর মধ্যে একটি জরিপ করে। জরিপটি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭৪ শতাংশ ব্যবস্থাপকের মতে, অন্য যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় জেন–জিদের সঙ্গে কাজ করা বেশি কঠিন। অন্যদিকে, ৪৯ শতাংশ ব্যবস্থাপক বলছেন যে বেশির ভাগ সময়ই জেন–জিদের সঙ্গে কাজ করা দুরূহ।

বিজ্ঞাপন

জরিপে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা জানান, এই প্রজন্মের কর্মীদের কাজে প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব, অনুপ্রেরণা ও প্রচেষ্টার অভাবই মূলত কাজের ক্ষেত্রে তাঁদের হতাশ করেছে। তাঁরা যোগাযোগদক্ষতার ঘাটতি ও সহজেই বিক্ষুব্ধ হয়ে যাওয়াকেও এর কারণ হিসেবে দায়ী করেছেন।


এসজিকে গ্লোবাল শিপিং সার্ভিসেসের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের প্রধান আকপান উকেমে বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে জেন–জিদের সঙ্গে কথা বলে আমি ক্লান্তি বোধ করি। কারণ, তাঁদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে এবং তাঁরা সব সময় সবাইকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে ভালোবাসেন। তাঁরা মনে করেন যে তাঁরাই সবার চেয়ে বেশি ভালো, বেশি স্মার্ট ও বেশি যোগ্য। সেই সঙ্গে তাঁরা অন্যদের মুখের ওপর কিছু বলে দিতেও দ্বিধা বোধ করেন না।’

বিজ্ঞাপন

৬৫ শতাংশ জরিপে অংশগ্রহণকারী জানান, বিভিন্ন সময় অন্যদের তুলনায় এই প্রজন্মের কর্মীদেরই বেশি বরখাস্ত করতে হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই কাজ শুরুর মাত্র এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করতে হয়েছে।
রিজিউম বিল্ডারের প্রধান ক্যারিয়ার উপদেষ্টা স্টেসি হ্যালার বলেন, কর্মস্থলে সফল হতে কী কী পেশাদার দক্ষতা প্রয়োজন, তা বোঝার জন্য জেন–জিকে আরও কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে হবে এবং ব্যবস্থাপক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কীভাবে কাজ করতে হয়, তা জেন–জিদের শিখতে হবে।


কর্মক্ষেত্রে জেন–জিদের এই সমস্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। অনেকেই এই সমস্যার জন্য করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন। তবে সমস্যাটি থেকে বেরিয়ে আসতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জেন–জিদের নিজেদের সচেতন হতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও সফটওয়্যার কোম্পানি সোশ্যাল রাইজের শীর্ষস্থানীয় ব্যবস্থাপক জেনিফার স্ট্যাপলটন রিজিউমবিল্ডারকে বলেন, তরুণ কর্মীদের শক্তিশালী যোগাযোগদক্ষতা, কেউ পরামর্শ দিলে তা গ্রহণ করার মানসিকতা ও অভিযোজনের যোগ্যতার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

সূত্র: এবিসি নিউজ

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪, ০২: ৪০
বিজ্ঞাপন