ছুটির দিনে যেতে পারেন গো কার্ট রেসিং করতে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলেছে বিনোদনের ধরন। যেকোনো ধরনের স্পোর্টস অ্যাক্টিভিটি বা খেলা বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে বদলেছে এসব খেলার ধরনও। আবার গতি সব সময়ই মানুষের কাছে প্রিয়। তাই গতিময় খেলার প্রতিও মানুষের রয়েছে তীব্র আকর্ষণ। এর অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতা।

গাড়ির রেসের প্রতি বিশ্বব্যাপী মানুষের আকর্ষণ সেই উনিশ শতকের শেষ থেকেই। আমাদের দেশে যাঁরা কার রেসিং ভালোবাসেন এবং চালকের আসনে বসে গতির স্বাদ নিতে চান, তাঁদের জন্য অত্যন্ত দারুণ এক অভিজ্ঞতা হতে পারে ‘গো কার্ট রেসিং’। এটা একধরনের মোটর রেসিং, যেটি খোলা চাকার বিশেষ ধরনের গাড়িতে নির্দিষ্ট রেসিং ট্র্যাকে হয়ে থাকে। এটাকে ফর্মুলা ওয়ান রেসিংয়ের প্রাথমিক ভার্সন বলা যেতে পারে।

১৮৯৪ সালে প্যারিস রেস আয়োজন করার পর জনবহুল রাস্তায় কার রেসিং নিষিদ্ধ করা হয়। তখন অফ রুটে আলাদা ট্র্যাকে এ রকম কার রেসিংয়ের আয়োজন শুরু হয়, যেখানে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করতেন এবং দর্শকেরা দেখতে আসতেন।

বিজ্ঞাপন

সারা বিশ্বের মতো গো কার্ট চলে এসেছে বাংলাদেশেও। ঢাকার ৩০০ ফিটের ইউনাইটেড সিটি মাদানি এভিনিউতে ‘শেফস টেবিল’-এর কাছে ‘গো কার্ট’ কোর্টসাইড আমাদের দেশের অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের সেই দারুণ সুযোগ করে দিয়েছে। নির্দিষ্ট ট্র্যাকে পূর্ণ নিরাপত্তা, সঠিক নির্দেশনা, সম্ভাব্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা–সহায়তাসহ পূর্ণবয়স্ক যে কেউ এখানে অংশ নিতে পারবেন।

এই গো কার্টের সর্বনিম্ন প্যাকেজ সিঙ্গেল রেস, যার মূল্য ৫০০ টাকা। একবারের সিঙ্গেল রেসে ৩ বার ট্র্যাকটির লুপে ঘোরা যাবে যাতে ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দেওয়া হবে। এ ছাড়া ২৫০০ টাকার প্যাকেজে বন্ধুরা মিলে টিম রেস ৫০০০ টাকা, রেস উইথ ফ্যামিলি ১৮০০ টাকা আর শিশুদের জন্য ২৫০ টাকায় বাম্পার কারের ব্যবস্থা রয়েছে। এ ছাড়া করপোরেট ট্রিপেও আসতে পারেন দল বেঁধে।

বিজ্ঞাপন

এই গো কার্ট প্রকল্প গড়ে উঠেছে ৪ দশমিক ৭ একর জায়গাজুড়ে। এর ট্র্যাক সার্কিট ৬৪০ মিটার দীর্ঘ। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ট্র্যাক। এই রেসিংকে আরও উপভোগ্য করতে বেশ কিছু গেমিং মডিউল যুক্ত করা হয়েছে, যেমন ‘হল অব ফেম’। এখানে শীর্ষ রেসারদের নাম ইলেকট্রিক লিডার বোর্ডে দেওয়া থাকে শুরুর পয়েন্ট ও ফিনিশ লাইনে।

যাঁরা একদম সত্যিকারের রেসিংয়ের আনন্দ নিতে চান, তাঁদের জন্য দলভিত্তিক প্রতিযোগিতা আয়োজনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। ১২টি কার্ট রয়েছে এখানে এবং ১৫ জনের একটি ভলান্টিয়ার টিম আছে যেকোনো প্রয়োজনে। এর মধ্যে তিনজন সার্বক্ষণিক ট্র্যাকে থাকেন যেকোনো বিপজ্জনক মোড়ে পতাকা উড়িয়ে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য।
কাউন্টার থেকে ফর্ম পূরণ করে সঠিক পোশাক পরে চালকের আসনে বসেই শুরু করতে পারেন গো কার্টিং।

এটি ইউনাইটেড গ্রুপের একটি প্রকল্প। ইউনাটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন হাসান রশিদ বলেন, ব্যস্ত নগরজীবনের ক্লান্ত কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষদের জন্যই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া। ইউনাটেড প্রপার্টিসের বিপণনবিষয়ক পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, আধুনিক নাগরিক সুবিধা আর বিশ্বমানের বিনোদনভিত্তিক ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়াই এর উদ্দেশ্য, যাতে দর্শনার্থীরা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। তাই ছুটির দিনে ভিন্ন রকম এই বিনোদনের রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিতে চলে যেতে পারেন ‘গো কার্ট’ কোর্ট সাইডে।

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ০০
বিজ্ঞাপন