পাশ্চাত্য ধারার ফ্যাশন এখন হোম ডেকোরেও সমান প্রভাব ফেলছে আমাদের দেশে। শরৎ মানেই যেমন ভূগোলকের এই দিকটিতে শিউলি আর কাশবন, তেমনি পশ্চিমা দেশগুলোতে এদিন বহু বর্ণিল ঝরাপাতার দখলে। আর তার সঙ্গে যোগ হয় সেদিকে অক্টোবরের প্রধান উৎসব হ্যালোইনের তোড়জোড়।
আর এই ভুতুড়ে সাজসজ্জার উৎসবের ডেকোরেশনে মূল আকর্ষণ থাকে মিষ্টিকুমড়া বা ইংরেজিতে যাকে বলে পাম্পকিন। এ সময় মিষ্টিকুমড়া পুষ্ট হয়। ঐতিহ্যবাহী পাম্পকিন পাই তো বটেই, বিশেষ পাম্পকিন স্পাইস দিয়ে তৈরি ডেজার্ট থেকে শুরু করে লাতে পর্যন্ত মেলে কফি শপে। আর পুরো অক্টোবরজুড়ে এই পাম্পকিন কার্ভ করে ভুতুড়ে জ্যাক ও ল্যান্টার্ন বানানোর ধুম পড়ে যায়। ঘরেও সাজিয়ে রাখা যায় বিভিন্ন আকার-আকৃতি ও রঙের পরিপুষ্ট মিষ্টিকুমড়া।
পাম্পকিন ডেকোরেশনে সব সময় ভুতুড়ে থিম থাকতে হবে, এ কথা মানতে নারাজ কানাডার ক্যালগারিতে প্রবাসজীবন কাটানো রোয়েনা মাহজাবীন। তিনি প্রায়ই স্বপ্নালু ধাঁচের ফেইরি টেল বা রূপকথার মতো করে ছবি তোলেন। বাস্তবতার সঙ্গে ফ্যান্টাসির সঠিক মিশেলে সাজান পুরো বিষয়বস্তু। হঠাৎই ভাবলেন, ফুলেল আঁকিবুঁকিতে পাম্পকিন ডেকোরে আনবেন নয়নাভিরাম মাত্রা। রংতুলি নিয়ে বসে গেলেন কুমড়া রাঙাতে। ফলাফল যারপরনাই চমৎকার।
পুষ্ট, পাকা ও শুকনা খোসার কুমড়া এমনিতেই টেকসই হয়। পানিনিরোধী রং ব্যবহার করলে তা হবে আরও টেকসই। সাদা রঙে ঢেকে দিয়ে তাতে কমলা বর্ণের সূক্ষ্ম কারুকাজময় গোলাপ এঁকেছেন রোয়েনা। এভাবে কুমড়া রাঙাতে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই।
ঘর সাজাতে গিয়ে প্রায়ই আমরা একঘেয়েমিতে ভুগে থাকি। রোয়েনা মাহজাবীনের করা এই অভিনব ফুলেল কুমড়া সেদিক থেকে অত্যন্ত স্বতন্ত্র।