হাল ফ্যাশন ডেস্ক
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। নগর জীবনে সীমিত আয়তনের ঘরবাড়ি যদি রাজ্যের জিনিসে ঠাসা থাকে, তবে তাকে গুদামঘরই মনে হবে। এমন ঘরে বাস করে না মিলবে আরাম, না পাওয়া যাবে স্বস্তি। তাই সবার প্রথমে বুঝে নিতে হবে যে ঘরে দরকারের তুলনায় অতিরিক্ত জিনিসপত্র রয়েছে কি না।
পা ফেলার জায়গা নেই
ঘরে স্বাভাবিক হাঁটাচলার পথে যদি বিভিন্ন বাক্স–প্যাটরা বা আসবাব বাধার সৃষ্টি করে, তবে বুঝতে হবে যে কিছু জিনিসের মায়া ত্যাগ করার সময় এসে গেছে। যদি এমন হয় যে ঘরের যেদিকে তাকাই শুধুই জিনিস, সে জিনিস তবে অশান্তি লাগবেই। এ রকম অবস্থায় কিছু জিনিস সরিয়ে ফেলতে হবে, তা সে যত দামি বা সুন্দর হোক না কেন।
কোথা থেকে শুরু করা যায়
গোছানো শুরু করতেই যদি ক্লান্তি ভর করে, এই ভেবে যে কোথা থেকে শুরু আর কোথায় গিয়ে শেষ, তবে কিছু একটা করতেই হবে এ ব্যাপারে। একটির পর একটি ঘর একেবারে এক কোনা থেকে শুরু করে অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরাতে গেলে হাঁপিয়ে ওঠা স্বাভাবিক। এমন একটা কিছু বা ঘরের এমন একটি অংশ প্রথমে বেছে নিতে হবে, যা দ্রুত গুছিয়ে ফেলা যায়। এতে গতি আসবে কাজে।
দরকারের সময় মেলে না কিছু
টিভির রিমোটটা যদি খুঁজে না পাওয়া যায় বসার ঘরে ডাঁই করে রাখা জিনিসপত্রের মাঝে, তবে বুঝতে হবে ঘরটিকে জঞ্জালমুক্ত করতে হবে এখনই। বের হতে গিয়ে হাতের কাছে চাবি, ওয়ালেট বা পরিচয়পত্র না পেলেও বিপদ। এদিকে ডাক্তারের ফাইল, পরীক্ষার সার্টিফিকেট—সবই হঠাৎ দরকার পড়তে পারে। এ জন্য হাবিজাবি জিনিস ফেলে দিয়ে গুছিয়ে রাখতে হবে সবকিছু সঠিক জায়গায়।
এলোপাতাড়ি কেনাকাটায় বাড়তি খরচ
খুঁজে না পেয়ে একই জিনিস আবার কিনে নিয়ে আসা হয় কখনো। আবার কিনে আনা জিনিসপত্র দিনের পর দিন সেই শপিং ব্যাগেই পড়ে থাকে ঘরের কোণে। ডেলিভারিতে আনা বাক্সগুলো খোলা হয় না। জমতে থাকে অব্যবহৃত জিনিসের স্তূপ। এ জন্য শপিংয়ের লিস্ট না বানিয়ে আগে রীতিমতো একটি তালিকা করা দরকার যে ঘরে কী কী আছে।
অতিথি এলে অগোছালো ঘর যখন অস্বস্তির কারণ
জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি পাহাড় ডিঙিয়ে কোনো একভাবে দিন গুজরান হয়েই যায় নিজের ঘরে। অভ্যাস হয়ে যায় আসলে। কিন্তু যেই অকস্মাৎ কোনো অতিথি আসেন, তাদের সামনেই এটা-সেটা এখানে-ওখানে গুঁজে রাখার প্রচেষ্টা চলে সলজ্জ হাসিযোগে। এদিকে বাড়িতে দাওয়াত থাকলে রান্নাবান্না ফেলে ঘর গোছাতেই দিন পার হয়ে যায়। শেষে বড় চাদরে বিভিন্ন স্তূপ ঢেকে কাজ চালাতে হয়। নয়তো কিছু জিনিস একটি ঘরে বা লকারে চালান করে দিয়ে তালা দিয়ে রাখা হয়। এমন সময়ই বোঝা যায়, এত জিনিস এলোমেলো করে রাখলে তাতে কোনোই লাভ হয় না। তখন কাজের জিনিসও অকাজের হয়ে যায়।
ঘরকে গুদামঘরে পরিণত করা যাবে না কোনোক্রমেই। আর যদি তেমন কিছু হয়েই যায়, অবশ্যই অদরকারি জিনিস সরিয়ে, বিক্রি করে বা ফেলে দিয়ে নতুন করে সাজাতে হবে ঘর। এতে জমে থাকা জিনিসের বদৌলতে জমা ধুলা-ময়লা আর পোকামাকড়, ছত্রাক-মাইটস থেকেও বাঁচা যাবে।
তথ্যসূত্র: সিম্পলিসিটি হ্যাবিট, গুড হাউস কিপিং
ছবি: পেকজেলসডটকম