দেখুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি মসজিদ, আছে বাংলাদেশের বায়তুল মোকাররমও
শেয়ার করুন
ফলো করুন

মসজিদ আল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব

মসজিদ আল হারাম
মসজিদ আল হারাম

পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা হাজার বছরের প্রাচীন এই মসজিদ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মসজিদ। এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। হজ ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময় ওমরাহ করতে অনেক মুসল্লি আসেন এখানে।

বিজ্ঞাপন

আল মসজিদ আন নববি, মদিনা, সৌদি আরব

আল মসজিদ আন নববি
আল মসজিদ আন নববি

মহানবীর (সা.) স্মৃতিবিজড়িত মদিনা মনোয়ারায় অবস্থিত আল মসজিদ আন নববি বা মসজিদুল নববি। নবীজি নিজ হাতে গড়ে তোলেন এই মসজিদ। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ এটি। এই মসজিদের দৃষ্টিনন্দন সবুজ গম্বুজ ও ১০টি মিনার সবার কাছে সুপরিচিত। এই মসজিদে একসঙ্গে ১০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ইমাম রেজা সেহরাইন, মাশহাদ, ইরান

ইমাম রেজা সেহরাইন
ইমাম রেজা সেহরাইন

শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম রেজা সেহরাইন। এখানে একসঙ্গে সাত লাখেরও বেশি মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। শিয়া সম্প্রদায়ের অষ্টম ইমাম ইমাম রেজার সমাধি আছে এখানে। এই মসজিদ কমপ্লেক্সে আছে মসজিদ, জাদুঘর ও সভাকক্ষ। সোনালি গম্বুজের জন্য এই মসজিদ প্রসিদ্ধ।

ফয়সাল মসজিদ, ইসলামাবাদ, পাকিস্তান

ফয়সাল মসজিদ
ফয়সাল মসজিদ

সৌদি আরবের অর্থায়নে ১৯৮৬ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। তাঁবুসদৃশ নান্দনিক নকশা তুরস্কের স্থপতি ভেদাত দালকের করা। মারগালা হিলের সমান্তরালে ফয়সাল মসজিদটি খুবই দৃষ্টিনন্দন। এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় মসজিদ। এখানে একসঙ্গে ৩ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে।

ইস্তিকলাল মসজিদ, জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া

ইস্তিকলাল মসজিদ
ইস্তিকলাল মসজিদ

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। যেখান একসঙ্গে দুই লাখ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে। ১৯৭৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মসজিদটি নির্মিত হয়। আধুনিক স্থাপত্যের এই মসজিদে আছে সাতটি দরজা, যা জান্নাতের সাত ধরনকে নির্দেশ করে।  

হাসান টু মসজিদ, কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কো

হাসান টু মসজিদ
হাসান টু মসজিদ

এই মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হয় ১৯৯৩ সালে। এখানে ২১০ মিটার উচ্চতার সবচেয়ে উঁচু মিনার আছে। এই মসজিদে এক ওয়াক্তে ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে।

জামে মসজিদ, দিল্লি, ভারত

জামে মসজিদ
জামে মসজিদ

১৬৫৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে এই মসজিদ নির্মিত হয়। একসঙ্গে ৮৫ হাজার মানুষ এখানে নামাজ আদায় করতে পারে। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদ। সারা বছর মসজিদটি দেখতে প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে।

চামলিকা মসজিদ, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক

চামলিকা মসজিদ
চামলিকা মসজিদ

তুরস্কের বৃহত্তম এই মসজিদে ৬৩,০০০ মানুষ একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে। এই মসজিদে আছে একটি যাদুঘর, আর্ট গ্যালারি, গ্রন্থাগার, কনফারেন্স হল এবং ৩,৫০০ যানবাহনের জন্য ভূগর্ভস্থ পার্কিং। ২০১৯ সালের ৪ মে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান চামলিকা মসজিদটি উদ্বোধন করেন। দুইজন মহিলা স্থপতি বাহার মজরাক ও হায়রিয় গাল তোতু এই মসজিদের নকশা করেন। চলন্ত সিঁড়ি দিয়ে উঠে মসজিদের আঙিনায় দাঁড়ালে একনজরে বসফরাস প্রণালীসহ ইস্তাম্বুলের একটা বড় অংশ দেখা যায়। মসজিদের চারটি মিনারের প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ১০৭.১ মিটার। এই পরিমাপের মধ্যে দিয়ে বোঝানো হয়েছে ১০৭১ সালে মানজিকার্টে বাইজেনটাইনদের বিরুদ্ধে সেলজুকদের বিজয়কে। অন্যদিকে ঈমানের ৬ শর্তকে প্রতীয়মান ৬টি মিনারের মাধ্যমে।

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ, আবুধাবি, আরব আমিরাত

শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ
শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ

২০০৭ সালে মসজিদটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। শ্বেতপাথরের এই মসজিদটিতে আছে ৮২টি গম্বুজ। এই মসজিদে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হাতে বোনা কার্পেট। এখানে আছে সাতটি বিলাসবহুল সোয়ারোভস্কি ঝাড়বাতি; যা এই মসজিদের আভিজাত্যকে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার ১০০ জন মুসুল্লী নামাজ পড়তে পারেন। তবে মূল হলের ধারণক্ষমতা ৭ হাজার।

বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকা, বাংলাদেশ  

বায়তুল মোকাররম মসজিদ
বায়তুল মোকাররম মসজিদ

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম। ১৯৬৮ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়। একসঙ্গে ৪০ হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারে। এর আধুনিক নির্মাণশৈলী কাবা শরিফ থেকে অনুপ্রাণিত।

ছবি: উইকিপিডিয়া

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৯: ০৯
বিজ্ঞাপন