নিজের করা ক্যানভাস পেইন্টিং দিয়ে সাজিয়ে ফেলুন ঘর
শেয়ার করুন
ফলো করুন

কেমন হয়, যদি ঘরের সাদামাটা ভাব দূর করতে তাতে দেওয়া হয় একটু শিল্পের ছোঁয়া? আর সেই শিল্পকর্ম যদি হয় নিজের তৈরি, তাহলে ঘর সাজানোর আনন্দ আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে!

ক্যানভাস পেইন্টিং হতে পারে আপনার বাড়ির সাজসজ্জায় নিজস্বতা যোগ করার একটি দুর্দান্ত উপায়। মজার ব্যাপার হলো, কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই খুব সহজেই যেকোনো বয়সের মানুষ ক্যানভাস পেইন্টিং করতে পারবেন। আপনার ক্যানভাস পেইন্টিং–যাত্রা শুরু করতে কয়েকটি টিপস অনুসরণ করতে পারেন:

১. পেইন্টিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন

শুরু করার জন্য আপনার সংগ্রহে যা লাগবে: যেকোনো আকারের ক্যানভাস, তবে প্রথমে ছোট ক্যানভাস (৮ থেকে×১০ ‌ইঞ্চি) দিয়ে শুরু করাই ভালো। এতে কাজ করতে সুবিধা হয়। যেকোনো ব্র্যান্ডের অ্যাক্রেলিক রং, বিভিন্ন আকারের পেইন্টব্রাশ বিশেষ করে ফ্ল্যাটব্রাশ, রং রাখার জন্য একটি প্যালেট, পানির জন্য একটি কাপ বা জার, পেইন্টব্রাশ পরিষ্কার করার জন্য একটুকরা নরম সুতি কাপড় এবং পেইন্টিং দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য বার্নিশ (ঐচ্ছিক)। যেকোনো আর্ট সাপ্লাই বা স্টেশনারির দোকানে ক্যানভাস পেইন্টিং করতে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী পাওয়া যাবে।

বিজ্ঞাপন

২. কী আঁকবেন, তা আগেই ঠিক করে নিন

সব সরঞ্জাম সংগ্রহ হয়ে গেলে এবার ছবি আঁকার পালা। প্রথমে কী আঁকতে চান, তা নির্ধারণ করতে হবে। আপনি প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিখ্যাত পেইন্টিং, কোনো পুরোনো ফটোগ্রাফ, এমনকি আপনার নিজের কল্পনা থেকেও অনুপ্রেরণা পেতে পারেন। তা ছাড়া ছবি নির্বাচনের জন্য ইন্টারনেটে পিন্টারেস্টের সাহায্য নিতে পারেন।
ক্যানভাসে পেইন্ট করার আগে আপনার নির্বাচিত ছবিটির স্কেচ অন্য কোথাও এঁকে নিন, এতে যখন আপনি ক্যানভাসে ছবিটি আঁকবেন, তা আরও নিখুঁত হবে। ক্যানভাসের ছবি আঁকার সময় পেনসিল ব্যবহার করুন এবং ভুল হলে কোনো সমস্যা নেই, ইরেজার ব্যবহার করে মুছতেও পারবেন। অ্যাক্রেলিক রং অনেক পুরু হওয়ার কারণে পেনসিলের দাগ রঙের ওপর দিয়ে আর দেখা যায় না।

৩. পেইন্টিং শুরু করুন

এবার ছবির স্কেচ হয়ে গেলে আপনি পেইন্টিং শুরু করতে পারেন। পেইন্টিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো সঠিক বা ভুল নিয়ম নেই, তাই এমন কিছু পেইন্ট করুন, যা আপনার মনকে আনন্দ দেয়। আপনার নিজস্ব অনন্য চিত্রকর্ম তৈরি করতে বিভিন্ন রং, ব্রাশস্ট্রোক এবং কৌশল ব্যবহার করুন। তবে অ্যাক্রেলিক রঙের ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার না করাই ভালো। করলেও খুবই অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। লক্ষ রাখবেন, রং যাতে খুব পাতলা না হয়ে যায়। শুধু পেইন্ট ব্রাশ পরিষ্কার করতে পানি ব্যবহার করুন।

বিজ্ঞাপন

৪. পেইন্টিং শুকানোর জন্য সময় দিন

অ্যাক্রেলিক পেইন্ট দ্রুত শুকিয়ে যায়, তাই আপনি খুব তাড়াতাড়িই একটা ক্যানভাস শেষ করে ফেলতে পারবেন। তবে একবার ক্যানভাস রং করা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর শুকানোর জন্য কমপক্ষে এক দিন সময় দিন।

৫. পেইন্টিং সংরক্ষণ করতে বার্নিশ ব্যবহার করুন

বার্নিশ আপনার পেইন্টিংকে যেমন দীর্ঘস্থায়ী করবে, তেমনি বিবর্ণ হয়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা করবে। তবে এটি না করলেও কোনো সমস্যা নেই। অ্যাক্রেলিক পেইন্টিং একবার শুকিয়ে যাওয়ার পর ক্যানভাস ভেজা কাপড় দিয়ে মুছলেও পেইন্টিংয়ের কোনো ক্ষতি হবে না। বাজারে পেইন্টিংয়ের দুই ধরনের বার্নিশ পাওয়া যায়। যদি আপনি ক্যানভাসে চকচকে ফিনিশিং চান, তবে গ্লসি বার্নিশ এবং ম্যাট ফিনিশিংয়ের জন্য ম্যাট বার্নিশ ব্যবহার করতে পারেন। স্প্রে বোতলের বার্নিশ ব্যবহার করা তুলনামূলক সহজ। ছবির উপরিতলে সমানভাবে বার্নিশ স্প্রে করুন এবং শুকানোর জন্য এক দিন সময় দিন।
এবার পেইন্টিং শুকানো শেষ হলেই এটি আপনার গৃহসজ্জার অংশ হওয়ার জন্য পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। এভাবে বিভিন্ন ধরনের ক্যানভাসে চমৎকার সব পেইন্টিং করে আপনি এগুলো দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন, শেলফে বা টেবিলে রাখতে পারেন, এমনকি ইজেলেও রেখে দিতে পারেন।

প্রকাশ: ১৬ আগস্ট ২০২৩, ১৩: ৩৪
বিজ্ঞাপন