সকালে উঠে মনে মনে যা যা বলবেন
শেয়ার করুন
ফলো করুন

জীবনে চলতে হলে আমাদের শিখতেই হয়। বেশির ভাগ সময় আমরা ঠেকেই শিখি। আবার অন্যের অভিজ্ঞতা থেকেও শিক্ষা নেওয়া যায়। চলুন জেনে নিই, জীবনের জন্যে এমন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা যা আপনাকে জীবনের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর ভোরে উঠে মনে মনে এই জীবনের পাঠগুলো ঝালিয়ে নিতে হবে।  

১. সবাইকে একসঙ্গে খুশি করা সম্ভব নয়

প্রত্যেক মানুষই চায়, সবাই তাঁকে সম্মান করুক, ভালোবাসুক। কিন্তু সবাই আপনার সঙ্গে একমত হবে বা আপনার সবকিছু মেনে নেবে, এটা কখনোই হবে না। তাই নিজের সুখ ও সততার বাইরে গিয়ে কখনো কোনো কাজ করবেন না।

২ স্বাস্থ্য  আপনার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

যত দিন পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, আমরা নিজের কোনো যত্নই নিই না। হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, হাড়ক্ষয়, ডায়াবেটিসের মতো রোগ বেশির ভাগ সময় অনিয়মের কারণে হয়। তাই পরে অনুশোচনা করার আগেই সতর্ক হোন।

৩ জীবনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ন্যায় মেলে না

কখনো কঠোর পরিশ্রমে করা কোনো কাজ বা নিখুঁত পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। এটাই জীবন। এখানে কখনো আমরা পথ হারাই। সঠিক পথ খুঁজতে গিয়ে ভুল করি। কখনো আমরা মাঝপথে হাল ছেড়ে দিয়ে অন্য কোনো পথ খুঁজে নিই। এ উত্থান–পতনের মধ্যেই জীবনের সৌন্দর্য!

বিজ্ঞাপন

৪. অর্জনের শুরু হয় কমফোর্ট জোনের বাইরে

জীবনের বড় লক্ষ্যগুলোতে আমরা তখনই পৌঁছাই, যখন আমাদের প্রচলিত গন্ডির বাইরে গিয়ে আমরা কিছু করি। যেমন নতুন কিছু শিখতে হলে তার পেছনে সময় ও শ্রম দিতে হয়। আবার টাকা বিনিয়োগ করে আর্থিক লাভ পেতে গেলে টাকা হারানোর ঝুঁকিও থাকে। চাকরিতে প্রমোশনের জন্য একটু অতিরিক্ত পরিশ্রম নিজের প্রাত্যহিক কাজের বাইরে গিয়েই করতে হয়।

৫. শুরু করার সবচেয়ে ভালো সময় এখনই

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্রসর হতে হলে আপনাকে প্রথম পদক্ষেপটি দিতে হবে আগে। আপনি যা করতে চাইছেন, তা করার জন্য কোনো আলাদা উপযুক্ত সময় নেই। বরং শুরু করে দিলেই পথ চেনা যায়। লক্ষ্য স্থির করুন। ছোট ছোট পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যান লক্ষ্যের দিকে। আর তা এখনই।

৬. বর্তমান মুহূর্তকেই উপভোগ করুন

খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের বেশির ভাগ দুঃখ, বিষণ্নতার জন্ম অতীতে। অর্থাৎ বর্তমানে বাস করে আমরা দুঃখ পাই অতীত নিয়ে। আবার শঙ্কিত হই ভবিষ্যতের কথা ভেবে। অতীতের দুঃখ বা ভবিষ্যতের চিন্তা না করে বর্তমান সময়টাকে উপভোগ করুন। একটা মুহূর্ত আমাদের জীবনে একবারই আসে। আজ যা করেননি, তার জন্য কাল যদি আফসোস করেন, তাহলে কখনো বর্তমানে বাস করতে পারবেন না। তাই এই মুহূর্ত নিয়েই বাঁচুন।  

বিজ্ঞাপন

৭. জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখুন

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কর্মজীবনে বেশি সময় দিতে গিয়ে আমরা ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি অবহেলা করি। কর্মক্ষেত্রে কঠোর পরিশ্রম না করে স্মার্টভাবে কাজ করার চেষ্টা করুন। এতে কাজ গতিশীল হয়, সময় কম লাগে। পরিবার, বন্ধু ও নিজের জন্যে আলাদা সময় রাখুন।

৮. সব সমস্যার সমাধান আছে

সমস্যা জীবনেরই অংশ। আপনার সমস্যাটি যতই জটিল হোক না কেন, এটি সমাধানের পথ খোঁজার সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন। এই মুহূর্তে হয়তো সমাধানটি ভালো কিছু না–ও হতে পারে; তবে সমস্যার কাছে হার মানবেন না। শক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ান। মনে রাখবেন, পৃথিবীর সব সমস্যাই সাময়িক।

৯. ক্ষমা আপনাকে মুক্তি দেয়

আপনার জীবনে এমন কেউ থাকতে পারে, যে ভয়ানক কষ্ট  দিয়েছে আপনাকে। যে ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যই নয়। তবে আপনি ক্ষমা করে দিন তাঁকে। তাঁর প্রতি রাগ, হতাশা, দুঃখ ঝেড়ে ফেলুন। কারণ, মনে রাগ বা দুঃখ পুষে রেখে শান্তি পাওয়া যায় না। এতে অজান্তেই আপনি ক্ষতি করতে থাকেন নিজের এবং আপনার আশপাশের মানুষের।

১০. পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী  

জীবনে ভালো–মন্দ থাকে। কোনোকিছুই চিরদিন স্থায়ী হয় না। যে ঘটনা আপনাকে আজ গভীরভাবে দুঃখ দিচ্ছে, আজ থেকে কয়েক বছর পর সেটা ভাবলে আপনার হয়তো হাসি পাবে। তাই বিপদে ভয় না পেয়ে ধৈর্য ধরুন। ভালো দিন আসবেই। কারণ, এই পৃথিবীতে কোনোকিছুই স্থায়ী নয়।

ছবি: পেকজেলস ডট কম

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০১: ৪৩
বিজ্ঞাপন