মার্ক জাকারবার্গের সারা দিন: ৪ হাজার ক্যালরি, টেইলর সুইফটের গান আর ৮ ঘণ্টা ঘুম
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে নিয়ে সবার আগ্রহের শেষ নেই। তিনি কী খান, কী করেন সবকিছুই জানতে চাই আমরা। এই ফেসবুক সম্রাটের সাফল্যের মন্ত্রই হয়তো খুঁজি আমরা তাঁর দিনযাপনের বর্ণনায়। জানা যায়, সুপারফিট জাকারবার্গ দিনে চার হাজার ক্যালরি গ্রহণ করেন। আবার তিন মেয়ের সঙ্গে পপ তারকা টেইলর সুইফটের গান গাওয়ার তালিমও নেন! ইন্সটাগ্রামের এক ভিডিওতে তাঁকে মেয়ের চুলে বেনি বাঁধার প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়।

সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভের প্রশ্নোত্তর পর্বে নিজের দৈনন্দিন রুটিনের কথা তুলে ধরেন মার্ক। ফোর্বস সাময়িকীর হিসাব অনুযায়ী, মার্ক জাকারবার্গ গতকাল ৩০ নভেম্বর হয়েছেন বিশ্বের সপ্তম শীর্ষ ধনী। তাঁর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১১৬ বিলিয়ন ডলার।
মার্ক জাকারবার্গই জানালেন, তাঁকে ঠিক কাক ডাকা ভোরের পাখি বলা যায় না। তিনি বিছানা ছাড়েন সকাল আটটার দিকে। আগে প্রতিদিনই দৌড়াতেন। এখন সপ্তাহে তিন দিন দৌড়ান আর বাকি দিনগুলোয় মিক্সড মার্শাল আর্ট বা এমএমএর প্রশিক্ষণ নেন।

বিজ্ঞাপন

তবে তাঁর সকাল শুরু করেন এমন কাজ দিয়ে, যেটিকে ঘুম থেকে উঠে করার মতো আদর্শ কাজ বলা যায় না। দিনের শুরুতে আমাদের বেশির ভাগের মতোই তিনি উঁকি দেন তাঁর স্মার্টফোনে। অবশ্য পড়ার জন্য মার্ককে কন্ট্যাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে হয়। সকালে উঠে তিনি কন্ট্যাক্ট লেন্স পরে ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ দেখেন। মার্ক বললেন, ‘লেন্স খুলে রাখার আগে আমি দেখে নিই ফেসবুকে কী হচ্ছে।’ তবে কাজটা যে খুব অনুসরণীয় বা ভালো কিছু নয়, সেটা তিনি মানেন। এরপর শুরু হয় মার্কের সারা দিনের প্রস্তুতি, জো রোগানকে জানিয়েছেন তিনি।


নিউইয়র্ক পোস্টের এক নিবন্ধে জানা যায়, জাকারবার্গ সকালে দৌড় বা এমএমএর পাশাপাশি কিছুটা স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিংও করেন। সঙ্গে থাকে মোবিলিটি বাড়ানোর এক্সারসাইজ। মার্ক জানিয়েছেন তিনি প্রতিদিন চার হাজার ক্যালরির খাদ্য গ্রহণ করেন। কিন্তু সকালের নাশতা বা দুপুর ও রাতের খাবারের মেনু তিনি কখনো শেয়ার করেননি।

বিজ্ঞাপন

মার্ক জাকারবার্গের লাইফস্টাইলের সবচেয়ে লক্ষণীয় দিক হলো তাঁকে প্রতিদিন একই আউটফিটে দেখা যায়। এভাবে জামাকাপড় নিয়ে ভাবনা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মনকে মুক্ত রাখেন বলে তিনি ২০১৫ সালে সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন। ধূসর শার্ট, নীল হুডি, জিনস আর নাইকি—এই হলো মার্ক জাকারবার্গের পোশাক। তবে তিনি যেকোনো টি–শার্ট পরেন না। বিলাসবহুল ইটালিয়ান ফ্যাশন ব্র্যান্ড ব্রুনেলো কুচিনেলি তাঁর টি–শার্টগুলো বিশেষভাবে তৈরি করে দেয়। এগুলোর দাম গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ ডলার।


জাকারবার্গ বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মতো ওয়ার্কহোলিক বা কাজপাগল নন; বরং তিনি সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ ঘণ্টার বেশি অফিসে সময় দেন না। তবে তিনি তাঁর সমগ্র জীবন মেটা বা তৎকালীন ফেসবুকের জন্য চিন্তা ও কাজ করে কাটান বলে দাবি করেন একই আলাপচারিতায়।

ফোর্বসে দেওয়া এক তথ্যে মার্কের স্ত্রী প্রিসিলা চ্যান মার্কের সন্ধ্যা ও রাতের রুটিন তুলে ধরেন। এই সময় মার্ক তাঁদের তিন মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান। কন্যাদের সঙ্গে তিনি তাঁদের প্রিয় পপ তারকা টেইলর সুইফটের প্রতিটি গান শেখার চেষ্টা করেন। মেয়েদের কম্পিউটার কোডিং করান বা কোড পড়েও শোনান।

দিন শেষে তিনি মেয়েদের নিয়ে প্রার্থনা করেন। জাকারবার্গের তিন মেয়ের বয়স যথাক্রম সাত বছর, পাঁচ বছর ও আট মাস। রাতে আট ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুমের ব্যাপারে মার্ক কোনো আপস করেন না। আর এটি ট্র্যাক করার জন্য একটা অরা রিং ব্যবহার করেন মার্ক।

তথ্যসূত্র: এন ডি টিভি

ছবি: ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮: ৩০
বিজ্ঞাপন