মন খারাপের দিনে ভালো থাকতে...
শেয়ার করুন
ফলো করুন

অবসর সময়েই হোক কিংবা পড়াশোনা ও কর্ম ব্যস্ততার মাঝে—আমাদের মন খারাপ হয় নানা কারণে-অকারণে। ভালো লাগে না! সারা দিন খালি লেগেই থাকে অস্থির ভাব আর বিষণ্নতার অনুভূতি। দৈনন্দিন হাজারো ব্যস্ততার ঝামেলায় জর্জরিত হয়ে থাকে মন এবং এর প্রভাব পড়ে আমাদের নিত্যদিনের জীবনে। তিক্ত মনে হয় পড়াশোনা, কর্ম ও পারিবারিক জীবন। তাই এবার আপনার মন খারাপের দিনগুলোতে বিভিন্ন উপায়ে মন ভালো রাখার নানা উপায় দেখে নেওয়া যাক।

১. ইন্টারনেটের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কমিয়ে ফেলা

বর্তমান সময়ে তরুণ প্রজন্মের সবারই অকারণ মন খারাপের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইন্টারনেটের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি। এ আসক্তির প্রভাবে আমাদের নিত্যজীবনে চাপ পড়ে কাজের ওপর। ইন্টারনেটের অপব্যবহারে অপচয় হচ্ছে সময়। ফেসবুকের লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের প্রলোভনে আর না পেলে হতাশায় বেড়ে যাচ্ছে মন খারাপের পরিমাণ। আমাদের মন ভালো রাখতে বেরিয়ে আসতেই হবে ইন্টারনেটের প্রতি এই অতিরিক্ত আসক্তি থেকে।

বিজ্ঞাপন

২. বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়া

ব্যস্ততা থাকলেও সময় নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মন খুলে আড্ডা দেওয়া যেতে পারে। বন্ধুদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের আলাপ–আলোচনা করার মতো আরামদায়ক অনুভূতি আর হয় না। যখন আমাদের বন্ধুরা তাদের মনের কথা ব্যক্ত করে, তখন সহানুভূতি নিয়ে তাদের কথা শোনা উচিত। জীবনের নানা কল্পনা-পরিকল্পনার বিষয়ে বন্ধুদের পরামর্শ নেওয়া ভালো। এতে মন খারাপের ভার কমে যাবে।

৩. ভ্রমণে যাওয়া

ইট-পাথরের নগরীতে ব্যস্ততার ফাঁকে দীর্ঘ মন খারাপের ভার কাটিয়ে তুলতে ঘুরে আসতে পারেন বন্ধুদের নিয়ে কোথাও। হতে পারে তা পাহাড়ে কিংবা সমুদ্রে। যাওয়া যেতে পারে বান্দরবানের নীলগিরি, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়, বাংলাদেশের দার্জিলিংখ্যাত খাগড়াছড়ির সাজেক ভ্যালিতে। ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত আর দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে।

বিজ্ঞাপন

৪. অবসরে বই পড়া

অবসর সময়ে আমাদের মন খারাপে জড়ো হয় যত কষ্টদায়ক অনুভূতি। প্রচণ্ড অস্থির লাগে! এই অস্থিরতা আমাদের মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। তাই অবসর সময়ে এমন অনুভব কাটিয়ে তুলতে বই হতে পারে আপনার অন্যতম সঙ্গী। পড়তে পারেন আপনার প্রিয় লেখকদের উপন্যাস, কবিতা, গল্পসহ নানা ধরনের বই।

৫. শপিং বা কেনাকাটা করা

মন খারাপের সময় আপনি ঘুরে আসতে পারেন কোনো শপিং মলে গিয়ে। ভালো ও নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক, অনুষঙ্গ বা নানা ধরনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকেটা করতে পারেন। এ ছাড়া শুধু নিজের জন্য না কিনে রাস্তা বা ফুটপাতের গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষদের মধ্যে বিলিয়ে দিতে পারেন পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার-দাবার। আপনার ভালো লাগবে এতে নিঃসন্দেহে।

প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১: ০০
বিজ্ঞাপন