ঘরের কত জিনিস যে ফেলে দেওয়া হয়! কোথায় ঠাঁই হয় এই ফেলে দেওয়া জ্যাম-জেলির বয়াম, বিস্কুটের টিন, পানীয়র বোতল, কার্টন, বাক্স, কৌটা, পুরোনো তৈজস আর আসবাব—এসব কিছুর? রিসাইকেল করা হলে তো ভালো। নয়তো সেই ল্যান্ডফিল বা মাটিতে স্তূপ করে ফেলে রাখা। আবার এদিকে সব সময় সবকিছু সঠিকভাবে রিসাইকেল করা যায় না।
আমাদের দেশে সব বিধিনিষেধ মেনে কতটা কার্যকরভাবে রিসাইকেল করা হয়, সে–ও ভাবার বিষয়। এদিকে রিসাইক্লিংয়ের প্রক্রিয়ায় জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ আর রিসাইক্লিংয়ের ফলে উৎপন্ন বাই প্রোডাক্ট ব্যবস্থাপনার ব্যাপার বিবেচনা করলে আপসাইক্লিং করে যতটা সম্ভব সবকিছু পুনর্ব্যবহার করার সর্বোচ্চ প্রয়াস প্রয়োজন।
ঘর সাজাতে সৃষ্টিশীল মনকে কাজে লাগালে ঘরের জিনিসই আপসাইকেল করে নতুন রূপ দেওয়া যায়। মসলা আর চায়ের দুধ-চিনি রাখতে বয়ামে রং চড়ানো যায় মনের মতো করে। লেবেলিং করে সবকিছুর কৌটায় কী আছে লেখা যায় আর তাতে রাখা যায় নান্দনিকতার ছোঁয়া। বড় কাচের বোতল বা কৌটা ফুলেল নকশায় ফুলদানির রূপ পেতে পারে।
কলমদানি, অরগানাইজার, চাবি ঝুলিয়ে রাখার বোর্ড—এমন অনেক কিছুই বানানো যায় পুরানো জিনিস দিয়ে। ছোটবেলার স্মৃতিবহ কাঠের টুল বা চেয়ার এমনকি সিন্দুক ও ট্রাংক—এসব কিছুই নতুন প্রাণ পেতে পারে যদি শিল্পী–মন থাকে। নিজের বানানো জিনিসে ঘর সাজানোর মজাই আলাদা। আর তাতে যদি পরিবেশের মঙ্গল হয়, তবে তাতো সোনায় সোহাগা।
ছবি: কাজী শবনম, স্বত্বাধিকারী নৈসর্গিক