আতা গাছে তোতা পাখি ডালিম গাছে মৌ। পাকা আতা ফলের রসালো মাংসল টেকসচার আর সুমিষ্ট স্বাদে চোখ বুজে আসে। ডেজার্ট খেলেও এরকমই এক সুখানুভূতি হয়। ইংরেজরা আবার ডেজার্টের মধ্যে কাস্টার্ডের ব্যাপারে একটু বেশি আবেগি। তাই ক্যারিবীয় অঞ্চল ও আমাদের দেশে দেদার জন্মানো এই আতাফলের স্বাদে মজে একে কাস্টার্ড অ্যাপল নাম দিয়েছে তারা।
তবে নামকরণের ক্ষেত্রে একটু সৃজনশীলতার অভাব আছে বলতে হয় ইংরেজিতে। বেলকে উড অ্যাপল, চালতাকে এলিফ্যান্টস অ্যাপল, আনারসকে পাইনঅ্যাপল আর আতা ফলকে কাস্টার্ড অ্যাপল নাম দিয়েই খালাস তারা। ভারতের অনেক অঞ্চলে একে সীতাফল বলা হয়। সে নামটি বরং সুন্দর। এর আরেকটি জাত শরিফা নামে পরিচিত। তবে উল্লেখ্য, শুধু স্বাদে নয় পুষ্টিগুণে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এই কাস্টার্ড অ্যাপল বা আতা।
১. আতায় আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
কাউরেনয়িক অ্যাসিড, ফ্ল্যাভেনয়েড, ক্যারটিনয়েড আর ভিটামিন সি দিয়ে ভরপুর আতা ফল। এগুলো দেহের কোষকে ক্ষয় ও বার্ধক্য থেকে রক্ষা করে৷
২. মুড ভালো করে দেয় আতা ফল
মন ভালো না থাকলে আতা ফল খান। মাত্র এক কাপ আতায় আমাদের দৈনিক ভিটামিন বি-৬ এর এক চতুর্থাংশ পাওয়া যায়। আর এই ভিটামিন বি-৬ মুড ভালো করার নিউরোট্রান্সমিটার বা হ্যাপি হরমোন যেমন সেরোটনিন, ডোপামিন ইত্যাদি নি:সরণ বাড়ায়।
৩. চোখ ভালো রাখে আতা ফল
আতা ফলের রিবোফ্লাভিন ও লুটেইন নামের ক্যারোটিনয়েডই হচ্ছে মূল অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। চোখের ছানি ও বয়সজনিত ক্ষয় প্রতিরোধ করে আতা।
৪. হজমে সহায়ক আতা
এক কাপ আতা ফলে আছে ১১ মিলিগ্রাম আঁশ৷ পাকস্থলীর ভালো ব্যাকটেরিয়া এই আঁশের ওপর নির্ভর করে মাইক্রোবায়োম গড়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন
ছবি: সেলিনা শিল্পী