ল্যাম্পপোস্টের নিচে সারি সারি দোকানগুলোয় নানা রঙের আলোকসজ্জা ও বাজতে থাকা গানগুলোই যেন লাভ রোডের প্রাণ। চলুন জেনে নিই, লাভ রোডের কিছু মুখরোচক খাবারের কথা।
আমাদের মধ্যে চকলেটপ্রেমীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে রাজকচুরির মতো খাবারের সঙ্গে চকলেটের দেখা মেলা কঠিন। লাভ রোডের সারি সারি দোকানগুলোর মধ্যেই দেখা মিলবে ‘প্ল্যান বি’ নামের ঝলমলে এক ফুড কার্টের, সেখানেই পেয়ে যাবেন ঢাউস আকৃতির এই চকলেট রাজকচুরি। বাইরে থেকে দেখতে লোভনীয় এই খাবারে তারা ব্যবহার করে দই, আইসক্রিম চকলেট চিপস, চকলেট সিরাপ; সঙ্গে থাকে চানাচুর, খেজুর, কিশমিশ ও কাজুবাদাম।
সব চকলেট-পাগল ভোজনরসিকের অন্তত একবার খেয়ে দেখা উচিত এই চকলেট রাজকচুরি। ভিন্নধর্মী এই খাবারের দাম পড়বে ১৪০ টাকা।
দূর থেকে দার্জিলিং মোমো স্টেশন দেখলে একটু হকচকিয়েই যাবেন! এ যেন মিরপুরের বুকে এক টুকরা দার্জিলিং! দোকানের নাম ‘দার্জেলিং মোমো স্টেশন’। দার্জিলিংয়ের আবহে সাজানো এই মোমোর দোকানে বাজতে থাকে অজানা পাহাড়ি গান। দোকানের ভেতরে রয়েছে ছিমছাম বসার জায়গা আবার চাইলে দোকানের সামনের রাস্তায় রাখা টুলে বসেও খেতে পারেন মোমো।
দোকানটিতে পেয়ে যাবেন চিকেন মোমো, চিকেন মাশরুম মোমো, চিকেন চিজ মোমো, সি ফিশ মোমোসহ নানা ধরনের মোমো; সঙ্গে থাকে পুদিনার সস, চিলি সস ও সুইট চিলি সস। প্রতি প্লেট মোমোর দাম ১৫০ থেকে ২২০ টাকা।
মোমো স্টেশনের পাশেই দেখা মিলবে তামার তৈজসে সাজানো নান্দনিক এক দোকান। নাম ‘রাজা চায়ের আড্ডা’, দোকানটিতে বাজতে থাকে পুরোনো দিনের বাংলা গান।
মালাই চা, ইরানি জাফরান চা, কাশ্মীরি গোলাপি চা, মালেশিয়ান চকলেট দুধ চা সহ বিভিন্ন ধরনের চা পেয়ে যাবেন এখানে। দোকানটিতে পাওয়া যায় স্পেশাল লাচ্ছিও। চায়ের দাম পড়বে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
‘মিট জিজি’ নামের ফুড কার্টে পাবেন চিজে ভরপুর মজাদার এই কর্নডগ। আগে থেকে তৈরি করে রাখা কর্নডগগুলো ভেজে, সস আর মেয়োনিজ দিয়ে গরম–গরম পরিবেশন করেন দোকানি। মজাদার এ খাবারটির দাম পড়বে ৯৯ টাকা।
কুলফি মালাই পছন্দ করেন না এমন মানুষ হয়তো একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আর এই কাঠফাটা গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা কুলফি মালাই যেন অমৃত। লাভ রোডে গেলে দেখা মিলবে ছোট্ট একটি ভ্রাম্যমাণ কুলফি মালাইয়ের দোকানের। দুধ, চিনি, এলাচি, কিশমিশসহ নানা সুস্বাদু উপাদানে তৈরি কুলফি মালাইগুলো খেতে এককথায় অসাধারণ। কুলফি মালাইয়ের দাম পড়বে ২০ টাকা।
ছবি: লেখক