বৃষ্টি ভেজা বিকেলে ২০-৫০ টাকায় বনানীর জিবে জল আনা সব স্ট্রিটফুড
শেয়ার করুন
ফলো করুন

দিনভর মেঘলা আকাশ আর একটু পরপর রিমঝিম বৃষ্টি। এমন দিনে মন কী চায়, তা কিন্তু বুঝে ওঠা দায়। তবে ঘরে বসে না থেকে বেরিয়ে পড়তে পারেন পথের মুখরোচক খাবারের খোঁজে। কারণ, পেট আর মন দুই–ই ভরবে এতে। চলুন আজ দেখে নেওয়া যাক বনানীর রাস্তার দারুণ কিছু খাবার।

ডিম-খিচুড়ি

বৃষ্টি আর খিচুড়ি যেন এক অনন্য জুটি। বনানীর ১৭ নম্বর রোডে নর্দান ইউনিভার্সিটি ও প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির মাঝের রাস্তায় দেখা মেলে ছোট ছোট অসংখ্য খাবারের দোকানের। কেউ অফিসের ফাঁকে, আবার কেউবা ক্লাসের ফাঁকে উদরপূর্তি করতে ভিড় জমান এই দোকানগুলোয়। এখানে দেখা মিলবে মজাদার এই ভুনা খিচুড়ির। আর সঙ্গে থাকে ডিমভাজা। ঝুম বৃষ্টির দিনে এই সাধারণ খাবারটিও আপনার কাছে অসাধারণ লাগতে বাধ্য! সুস্বাদু এই ডিম–খিচুড়ির প্রতি প্লেটের দাম ৫০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ঝালমুড়ি

যেই স্ট্রিটফুড আমাদের সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে, তা বোধ হয় ঝালমুড়ি। যত সহজলভ্যই হোক না কেন, ঝালমুড়ির আবেদন কিন্তু কখনো কমে না আমাদের কাছে। টকঝাল মসলা, বুট, ঘুগনি, কাসুন্দিসহ আরও নানা উপকরণ মেশানো ঝালমুড়ি কিন্তু জিবে জল এনেই ছাড়ে। বনানীর রাস্তায় ২০ টাকায় পেয়ে যাবেন হাফ প্লেট ঝালমুড়ি।

সাগর মামার ফ্রাইড রাইস

ডিএনসিসি বনানী সুপার মার্কেটের ৪ নম্বর গেটের বিপরীতে প্রথমেই দেখা মিলবে ছোট্ট একটি খাবারের দোকানের। স্থানীয় লোকজন দোকানটিকে সাগর মামার ফ্রাইড রাইসের দোকান নামেই চেনেন। সেখানে ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে বিক্রি হয় মজাদার চিকেন ফ্রাই। এ ছাড়া পেয়ে যাবেন নুডলস। খেতে দারুণ এই ফ্রাইড রাইস ও চিকেন ফ্রাইয়ের দাম ৮০ টাকা আর নুডলস পেয়ে যাবেন ৩০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

ফলের জুস

আকতার–এর জুস কর্নার নামের ছোট্ট একটি দোকানে পেয়ে যাবেন আম, জাম, তরমুজ, আনারস, ড্রাগনফল, স্ট্রবেরিসহ নানা ফলের জুস৷ তবে এর মধ্যে আমের জুসের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়। টক-ঝাল-মিষ্টি এই জুস এককথায় অসাধারণ। এ দোকানের দোকানি আপনার সামনেই টুকরা টুকরা করে কেটে রাখা ফল দিয়ে বানিয়ে দেবেন জুস। তাই এই তাজা ফলের জুসগুলো একবার চেখে দেখতেই পারেন! জুসগুলোর দাম ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।

ভেলপুরি

এ এলাকায় ভেলপুরিও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। খেতে দারুণ এই খাবারের ছোট্ট দোকানগুলোয় ভিড় লেগেই থাকে দিনভর। আপনার পছন্দের ঝাল কিংবা মিষ্টি টক দিয়ে খেতে পারেন মচমচে সুস্বাদু ভেলপুরি। প্রতি প্লেট ভেলপুরি পড়বে ৩০ টাকা।

টংয়ের চা

পথ চলতে অলিগলিতে দেখা মেলে ছোট ছোট চায়ের দোকানের। বেশ কিছু টং আছে বনানীর এ রাস্তাতেও। এসব দোকানে দিনভর চলে আড্ডা-হইচই। এমন মেঘ গুড়গুড় দিনে চায়ের কাপের টুং টাং শব্দ আর সঙ্গে বলক ওঠা চা-পাতার ঘ্রাণ কার না ভালো লাগে! টংয়ের ছাদ, দেয়াল কিংবা বেঞ্চ যতটাই জীর্ণ, এখানকার আড্ডা ঠিক ততটাই প্রাণে ভরপুর। এই মেঘলা দিনে কিন্তু মন জুড়াতে হাতে নিয়ে বসতে পারেন এক কাপ টংয়ের চা।

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬: ০৭
বিজ্ঞাপন