কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, তোমার প্রিয় রং কোনটি কিংবা কোন রঙের পোশাক বেশি পছন্দ, তাহলে সিংহভাগের উত্তর হবে ‘কালো’। এই রঙের প্রতি দুর্বলতা বেশির ভাগ মানুষেরই। সেদিক থেকে ওয়ার্ডরোবে কালো পোশাক তো থাকবেই। কিন্তু শুধু প্রিয় পোশাক কালেকশনে রাখলেই হবে না, চাই সঠিক যত্ন। তাহলেই পোশাক দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং অনেক দিন পরাও যাবে। কালো কিংবা যেকোনো গাঢ় রঙের জামার যত্ন কীভাবে নিতে হবে, রইল কিছু পরামর্শ।
গাঢ় রঙের কাপড় অনেকক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে রং ওঠার আশঙ্কা থাকে। তাই এসব পোশাকের সঙ্গে অন্য কোনো হালকা রঙের পোশাক কাচা যাবে না। তাহলে রং লেগে যেতে পারে। সব সময় কালো বা গাঢ় রঙের যেকোনো পোশাক আলাদা বালতিতে ভেজাতে ও কাচতে হবে। তাহলে সব কাপড় ভালো থাকবে।
যত বেশিবার কাপড় ধোয়া হবে, তত দ্রুত কাপড় পুরোনো হবে। রং ফিকে হয়ে যাবে। বিশেষ করে কালো কাপড় অতিরিক্ত ধুলে, ভিজিয়ে রাখলে কালোর সেই ঔজ্জ্বল্য আর থাকে না। তাই ঘন ঘন না ধুয়ে বরং বাইরে থেকে এসে উল্টো বাতাসে শুকাতে দেওয়া ভালো। এরপর ইস্ত্রি করে নিলেই হলো।
পোশাক থেকে ময়লা ওঠানোর জন্য কাপড় ভিজিয়ে রাখতে হবে। তবে কালো কাপড় বেশিক্ষণ কাচা যাবে না। দীর্ঘ সময় ধরে কাচলে কাপড়ের রং নষ্ট হবে।
কালো কাপড় বা যেকোনো গাঢ় রঙের পোশাক দ্রুত বিবর্ণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সব সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় ধোয়ার চেষ্টা করতে হবে। গরম পানি দিয়ে ধুলে কাপড়ের ক্ষতি হয়, রংও দ্রুত নষ্ট হয়। কাপড় কাচার ক্ষেত্রে সব সময় হালকা বা মাইল্ড ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
কালো কাপড় সরাসরি রোদে শুকাতে দেওয়া যাবে না। এতে আপনার কাপড়ের ক্ষতি হয়। রং দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বাতাস আছে এমন জায়গায় অথবা ছায়ায় কাপড় শুকানোর চেষ্টা করতে হবে। উল্টো করে মেলে দিতে পারলে ভালো।
কাপড় বুঝে ইস্ত্রি করতে হবে।
পোশাকের জন্য কতটা তাপমাত্রা জরুরি সেটি জানা প্রয়োজন। অবশ্য এখনকার আধুনিক আয়রনে এসব রয়েছে। তবে কালো পোশাকের কাপড়ের যাতে ক্ষতি না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। এভাবে যত্ন নিয়ে সংরক্ষণ করলে পোশাক দীর্ঘ দিন ভালো থাকবে।