সম্প্রতি গুলশান ২-এর শান্তা নর্দান লাইটসের কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো প্রিলাভড টু রিলাভড নামের সেকেন্ডহ্যান্ড বা ব্যবহৃত পণ্যের মেলা। মেলার আয়োজক ছিল ‘দ্য বাঙ্গু ভিগান’। এটি মূলত একটি ভিগান রেস্টুরেন্ট।
এবারের মেলার উদ্দেশ্য কেবল শুধু পুরোনো পোশাকআশাক বিক্রি করাই নয়, দাতব্য সংস্থা ‘অভয়ারণ্যের’ জন্য তহবিল সংগ্রহ। অভয়ারণ্য হলো ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা যারা পথের কুকুর ও বিড়াল উদ্ধার, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের কাজ করে আসছে।
আমাদের অনেকেরই এক পোশাক দুই বার না পরার নাক উঁচু স্বভাব আছে। আবার অনেকেই নতুন ট্রেন্ডে গা ভাসিয়ে নতুন পোশাক কেনেন ঠিকই; কিন্তু এক–দুইবারের বেশি পরা হয়ে ওঠে না। এতে করে যে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমরা তেমন কেউ সচেতন নই।
অবস্থা যখন এই, তখনই ত্রাতা হিসেবে হাজির হয়েছে প্রিলাভড ফ্যাশন ট্রেন্ড যা সেকেন্ডহ্যান্ড বা থ্রিফটিংয়ের সমার্থক। পশ্চিমে বেশ জনপ্রিয় এই ফ্যাশন ট্রেন্ড। পরিবেশের কথা চিন্তা করে এবং আমাদের দেশে এই ট্রেন্ডের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর প্রয়াসে ‘দ্য বাঙ্গু ভিগান’-এর উদ্যোগে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হলো ‘প্রিলাভড টু রিলাভড’ মেলা।
এবারের মেলায় ছিল নানা ধরনের সেকেন্ডহ্যান্ড বা ব্যবহৃত ফ্যাশন-পণ্য। যেমন টপস, প্যান্ট, কুর্তি, ফতুয়া, মিডি ড্রেস, মিনি ড্রেস, শর্টস, লঙ ও মিনি স্কার্ট, টিশার্ট ইত্যাদি।
দেশীয় ফ্যাশন ডিজাইনারদের তৈরি সালোয়ার স্যুট ও গাউনও রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া ছিল শীতের পোশাক। ছিল পুরোনো জুতার কালেকশন আর নানা ডিজাইনের ব্যাগও।
বেশির ভাগ পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে।
কেবল এক্সক্লুসিভ কিছু পণ্য যেমন ডিজাইনার আউটফিটের দাম ছিল ১০০০ টাকার ওপরে। তবে পোশাকগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই যে এগুলো আগে ব্যবহার করা।
মেলায় বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এখানে যাঁরাই এসেছেন, হাত ভরে কিনে নিয়ে গেছেন।
ছবি: হাল ফ্যাশন