সাহসী ফ্যাশনের ধারা চলছে এখন। মেকআপ, পোশাকের মতো চুলের রঙেও দেখা যাচ্ছে এই বোল্ড স্টেটমেন্ট। সবুজ, নীল ও বেগুনি রং চলেছে বেশ কয়েক বছর। এই ধারায় এবার যোগ হয়েছে জিঞ্জার রং। যদিও এই হেয়ার কালার নব্বইয়ের দশকের দিকেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সে সময়ের বিখ্যাত সিনেমা ‘টাইটানিক’–এর অভিনেত্রী কেট উইন্সলেটকে এমন বোল্ড চুলের শেডে দেখা গিয়েছিল।
ধরন
জিঞ্জার শেডের আছে বেশ কয়েকটি ধরন। তবে লাইট জিঞ্জার, স্ট্রবেরি জিঞ্জার, অরেঞ্জ জিঞ্জার, গাঢ় কপার জিঞ্জার, ফ্রায়ারি জিঞ্জার, রোজ গোল্ড শেডগুলো এখন ট্রেন্ডি।
লুক ও ত্বকের টোন বুঝে চুলের শেড
যেহেতু জিঞ্জার শেডের কয়েকটি ধরন আছে, তাই ত্বকের টোন ও পছন্দের লুকের সঙ্গে মানানসই শেড চুলের জন্য বেছে নিতে হবে।
স্ট্রবেরি জিঞ্জার
ফেমিনিন, সূক্ষ্ম লুক বা রোমান্টিক লুকের জন্য স্ট্রবেরি জিঞ্জার বেছে নেওয়া যেতে পারে।
লাইট জিঞ্জার
রুচিশীল লুক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য লাইট জিঞ্জার শেড ভালো। প্রায় সব ধরনের ত্বকের টোনের সঙ্গেই মানাবে।
অরেঞ্জ জিঞ্জার
ওয়ার্ম বা উষ্ণ টোনকে উজ্জ্বল করতে এই শেড বেছে নেওয়া যায়।
গাঢ় কপার জিঞ্জার
হলদে, অলিভ ও মাঝারি টোনের জন্য গাঢ় কপার জিঞ্জার শেড আদর্শ।
ফ্রায়ারি জিঞ্জার
উষ্ণ, গাঢ় ও সবুজাভ সব ধরনের টোনের সঙ্গে ভালো লাগবে ফ্রায়ারি জিঞ্জার শেড।
উজ্জ্বল রং ধরে রাখতে
শ্যাম্পু ব্যবহারের পর অন্য যেকোনো রঙের তুলনায় জিঞ্জার রং দ্রুত ফেইড বা হালকা হয়।
সালফেট আছে, এমন শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে দ্রুত উজ্জ্বলতা কমে।
গোসলের সময় বা কখনোই গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া যাবে না। এতে রং হালকা হয়ে যাবে।
চুলে তাপ দিয়ে স্টাইল করলে জিঞ্জার শেডের দ্রুত ক্ষতি হয়।
সুইমিংপুল ও সূর্যের তাপে বেশি সময় থাকলে রঙের ক্ষতি হবে।
কীভাবে ধরে রাখা যাবে
কালার গার্ড শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।
রং করার ৪৮ ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। রং করেই চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না।
সপ্তাহে দুবার শ্যাম্পু করতে হবে। বারবার শ্যাম্পু করলে রং নষ্ট হবে।
রং ধরে রাখতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে গ্লসি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।
ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করাই ভালো।
সূত্র: ইনস্টাইল, উই হার্ট দিস