শীতের ফ্যাশনে তিনটি ভিন্ন স্টাইলিশ প্যান্ট
শেয়ার করুন
ফলো করুন

কার্গো প্যান্ট

কার্গো প্যান্টের আসল বৈশিষ্ট্যই হলো এর বড় বড় পকেট, যা মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডিজাইন করা হয়েছিল ব্রিটিশ বাহিনীর ফিল্ড ড্রেসিং, মানচিত্র ও অন্যান্য আইটেম রাখার জন্য। তবে নব্বইয়ের দশকে কার্গো প্যান্ট পরার একটা ট্রেন্ড শুরু হয় স্টাইল হিসেবে। একুশ শতকে এখন সেটা আবার ফিরে এসেছে বলা যায় জেন-জিদের হাত ধরে। তাই ছেলে–মেয়েনির্বিশেষে হালের ফ্যাশনে কার্গো প্যান্ট পরার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বেশ একটা ‘কুল লুক’ দেয় এই স্টাইলিশ বটম।

কার্গো প্যান্টের সঙ্গে টি-শার্ট আর পায়ে এক জোড়া স্নিকার্স থাকলেই এই স্টাইল হয় পরিপূর্ণ। ক্যাজুয়াল ওয়ার্কওয়্যার প্যান্ট বললেও ভুল হবে না একে। তবে কার্গো প্যান্টে রঙের একটা বিশেষ প্রভাব রয়েছে। খাকি, জলপাই, বেইজ, নেভি, ব্রাউন আর কালোর মতো রংগুলো বেশ ভালো লুক দেবে। এখনকার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় তাই চোখ বন্ধ করে কার্গো প্যান্ট বেছে নেওয়া যায়। কটন, গ্যাবার্ডিন ছাড়াও এখন ডেনিমের কার্গো প্যান্টও তরুণদের পছন্দ। ফ্যাশন আইকন বেলা হাদিদ, জেন্ডায়া, এমনকি কিম কার্ডাশিয়ানের মতো তারকাদের এই প্যান্ট পরতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ওয়াইড লেগড প্যান্ট

একুশ শতকের ফ্যাশনে এখন ভীষণভাবে জনপ্রিয় ওয়াইড লেগড প্যান্ট। কোমর থেকে পা পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা বটমই মূলত ‘ওয়াইড লেগড প্যান্ট’ নামে পরিচিত। মজার বিষয় হলো, এই প্যান্ট যেকোনো উচ্চতার মানুষকেই মানাবে। মিটিং, ইভেন্ট, এমনকি কর্মক্ষেত্রেও কিছুটা ফরমাল লুক দিতে পারে স্টাইলিশ এই প্যান্ট। নানা ধরনের ফেব্রিকের ওয়াইড প্যান্ট ট্রেন্ডে চললেও সবচেয়ে বেশি পছন্দ করছেন সবাই ওয়াইড লেগড জিনস। চওড়া জিনসের সঙ্গে কী পরতে হবে, সে নিয়ে অনেকেই একটু দ্বিধায় থাকেন। ওয়াইড লেগ প্যান্ট কেনার ক্ষেত্রে প্রথমে শুরু করা যেতে পারে কালো, নুড কিংবা সাদা রং দিয়ে। ওয়াইড প্যান্ট বা জিনসের সঙ্গে পরিপূর্ণ লুক নিশ্চিত করতে সঠিক ফিট খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর দিকে বেশি নজর দিতে হবে, তা হলো বটমের দৈর্ঘ্য ও কোমর।

নিজের স্বাচ্ছন্দ্যই এখন ফ্যাশনে মূল প্রতিপাদ্য। তাই আরাম আর স্টাইল বিবেচনায় বেছে নিতে হবে পছন্দের এই প্যান্ট। এবার এর সঙ্গে কী পরতে হবে, সেটার ওপর নির্ভর করবে পুরো লুক। অনুষ্ঠান কিংবা উপলক্ষ ঠিক করে পোশাক নির্বাচন করতে হয়, এ কথা সবার জানা। এই প্যান্টের ক্ষেত্রেও তা–ই। যেমন ওয়াইড প্যান্টের সঙ্গে আপনি বেছে নিতে পারেন বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের টপ। চাইলে টাক ইন করে পছন্দের কোনো টি–শার্টও পরা যাবে। আর লেয়ারিং স্টাইলে যোগ হতে পারে জ্যাকেট বা ব্লেজার।

বিজ্ঞাপন

পেপার ব্যাগ প্যান্ট

আরামদায়ক পেপার ব্যাগ ট্রাউজার্স বা প্যান্ট বেশ জনপ্রিয় ছিলো আশির দশকে। সুতি থেকে শুরু করে বিলাসবহুল সিল্ক, উল—সব ধরনের ফেব্রিকেই তৈরি হতো এই স্টাইলিশ বটমওয়্যার। ফ্যাশনপ্রেমীদের কাছে এখন আবারও ফিরে এসেছে এই প্যান্ট। তবে বৈশিষ্ট্য একই। হাই ওয়েস্ট এই প্যান্টের বিশেষ আকর্ষণ আর সুবিধা হলো এর কোমরের বেল্ট স্টাইলের ফিতে, যা বেঁধে রাখা যায় প্রয়োজন অনুসারে। প্যান্টের ওপরে থাকা অতিরিক্ত ফেব্রিক কোমরের চারপাশে জড়ো হয় , যা বেশ স্টাইলিশ একটা লুক দেয়। পেপার ব্যাগ প্যান্টগুলো ডেনিম, লিনেন আর কটনের মতো ফেব্রিকে তৈরি হয় এখন বেশি। এটি বেশ আরামদায়কও।

ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করতে পেপার ব্যাগ প্যান্টের সঙ্গে ব্লেজারের নিচে একটি সাদা বাটন-ডাউন শার্ট পরা যেতে পারে। আর পায়ে পরার জন্য এর সঙ্গে হাই হিল বা লোফার ভালো লাগবে। বিজনেস লুক না চাইলে প্যান্টের সঙ্গে ক্রপ টপের সঙ্গে বেছে নেওয়া যেতে পারে ডেনিম জ্যাকেট বা ক্রপড ব্লেজার। আবার আসন্ন শীতে সোয়েটার দিয়ে টাক ইন করে পরা যেতে পারে এই প্যান্ট। স্লিম পুলওভার সোয়েটার কিংবা টার্টলনেক সোয়েটারও পেপার ব্যাগ প্যান্টের সঙ্গে বেশ মানায়।

ছবি: পূর্ণ দাস, গরু ঘাস, ইনস্টাগ্রাম ও পেজজেলসডটকম

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৩: ৩২
বিজ্ঞাপন