যেভাবে স্টাইলিং করবেন রঙ বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় শাল
শেয়ার করুন
ফলো করুন

বছরের পর বছর শীতের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে শালের জুড়ি মেলা ভার। কারণ, এই অনুষঙ্গ যেকোনো সময়, যেকোনোভাবে জড়িয়ে নিলে হয়। তবে আবহাওয়া বুঝে তা বেছে নিতে হবে। দেশীয় ফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে শীতে আরামদায়ক শালের কালেকশন। ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্য এই অনুষঙ্গ তারা তৈরি করেছে সমসাময়িক ট্রেন্ড আর রং নির্বাচন করে, যা দৈনন্দিন জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যাবে।

যেকোনো পার্টি, অফিস বা নিত্যব্যবহারের উপযোগী শালগুলো পাখির রং, জিওমেট্রিক মোটিফ আর ফ্লোরাল থিমে সাজানো হয়েছে। মূল রং হিসেবে কালো, অ্যাশ, সাদা, ব্রাউন, ইয়েলো, মেজেন্টা, নীল, পিচ ও লাইট ব্রাউন ব্যবহার করা হয়েছে। সুতি, ভিসকস, লিলেন ও নিট কাপড়ে পোশাকের নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নানা ভ্যালু অ্যাডেড মিডিয়ার ব্যবহারে। এর মধ্যে রয়েছে কাট অ্যান্ড সুইং, প্যাচওয়ার্ক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, ব্লকপ্রিন্ট ও হাতের কাজ।

বিজ্ঞাপন

সঠিক শাল নির্বাচন

যেকোনো পোশাকের সঙ্গে শাল জড়িয়ে নেওয়াতে এখন আর স্টাইল আটকে নেই। ট্রেন্ডি এসব শাল তখনই দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে, যখন তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হবে। শাল নেওয়ার বিভিন্ন  ধরন রয়েছে, সেগুলোর পারফেক্ট স্টাইলে শীত ফ্যাশন জমে যাবে ষোলো আনা। শালের রয়েছে বহুমুখী ব্যবহার। নানা উপায়ে এই অনুষঙ্গকে ড্রেপ করা যেতে পারে। সে জন্য সবার আগে প্রয়োজন সঠিক শাল নির্বাচন করা।

হালকা শীতের জন্য সুতি, লিলেন ও ভিসকসের মতো ফেব্রিক বেছে নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর বেশি উষ্ণতার জন্য দরকার উল, নিট কিংবা ভারী সুতি ফেব্রিকের শাল। তবে উপলক্ষ আর নিজের পছন্দের ওপর ভিত্তি করে শালের আকার এবং ওজন নির্বাচন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শাল পরার নানা স্টাইল

শাল পরার সবচেয়ে সহজবোধ্য ও ক্ল্যাসিক উপায় হলো, গায়ে জড়িয়ে কাঁধের ওপর ফেলে রাখা। এর জন্য শালটি অর্ধেক ভাঁজ করে একটি ত্রিভুজের মতো তৈরি করতে হবে। তারপর এটি আপনার কাঁধের ওপর ফেলে গায়ে জড়িয়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, শালের প্রান্তগুলো যেন সুন্দরভাবে পড়ে থাকে।

সাধারণ শালে স্টাইল স্টেটমেন্ট তৈরি করতে পছন্দের বেল্ট হলেই যথেষ্ট। ফুলস্লিভ টপ আর জিন্সের সঙ্গে এই স্টাইল ভালো লাগবে। এর জন্য শালটি পুরোপুরি জড়িয়ে না নিয়ে কোমরে বেল্ট দিয়ে পরতে হবে।

কাঁধের এক পাশে ফেলে রাখা পছন্দের শালে এসেমেট্রিক স্টাইল যোগ করে। যেকোনো ক্যাজুয়াল গেদারিং বা অনুষ্ঠানে পরতে ওয়ান শোল্ডার স্টাইল বেশ জনপ্রিয়; যা আধুনিক আর সাবেকিয়ানা দুই লুকই দেয় একসঙ্গে।

এখন কিছু শাল হুডসহ তৈরি হয়। অতিরিক্ত শীতের জন্য এটিকে হুড হিসেবে পরা যাবে, আবার জড়িয়ে রাখা যাবে।

বর্তমানে লেয়ারিং স্টাইল বেশ জনপ্রিয়। শীতের পোশাকের সঙ্গে শাল যোগ করে এই স্টাইল করা যায়। কোট বা জ্যাকেটের সঙ্গে স্কার্ফ স্টাইলে কিংবা গায়ে জড়িয়ে ছেড়ে রাখালেও ভালো লাগবে। এই লেয়ারিং কৌশল শুধু অতিরিক্ত উষ্ণতা দেয় না, বরং আপনার স্টাইলিংয়ের দক্ষতা বাড়ায়।

গিঁটযুক্ত বা নটেট স্টাইল তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়। সে ক্ষেত্রে নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত সবার আগে। তা ছাড়া, অনুষঙ্গ গলার কাছে সুবিধামতো গিঁট দিয়ে একটি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করা যায়। পোশাকে ফ্লেয়ার যোগ হলে আরও ভালো লাগবে।

শাল নির্বাচন করার সময় বিভিন্ন প্যাটার্ন ও টেক্সচার নির্বাচন করতে হবে। ক্ল্যাসিক প্লেইড প্যাটার্ন, ফ্লোরাল, ফেয়ার আইল নিট থেকে শুরু করে পেসলে, জ্যামিতিক ডিজাইনের শাল লুকে বোল্ড স্টেটমেন্ট তৈরি করবে।

ব্রোচ, পিন বা বেল্ট দিয়ে অ্যাকসেসরিজ করে আপনার শালের আবেদন বাড়াতে পারেন।

পোশাকের সঙ্গে শালের সমন্বয় তৈরি করতে বিপরীত রং বেছে নেওয়া ভালো।

ছবি: রঙ বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ০০
বিজ্ঞাপন