জাতীয় যুব দিবস: জেন-জির প্রভাবে বদলাচ্ছে ফ্যাশন ট্রেন্ড
শেয়ার করুন
ফলো করুন

একুশ শতকের ট্রেন্ডে এখন রাজত্ব করছে জেন-জিদের দেখানো ফ্যাশন। কেমন সেটা? আশপাশে একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, এখন কেউ কোনো নির্দিষ্ট স্টাইলে আটকে নেই। অতীতের অনেক ফ্যাশন আবার ফিরে এসেছে জেন-জিদের হাত ধরে। এই তালিকায় রয়েছে নব্বই দশকের গোড়ার দিকের ব্যাগেট হ্যান্ডব্যাগ ও প্ল্যাটফর্ম শু, আশির দশকের বাইকার শর্টস, ষাটের দশকের ক্রু নেক; এমনকি বিশ দশকের মুক্তার নেকলেসের মতো আরও অনেক কিছুই। মোটকথা, জেন-জিরা যেসব ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে, এখন সেগুলোই অগ্রাধিকার পাচ্ছে হাল ফ্যাশনে।ফিউশন, ইউনিসেক্স, অ্যাথলিজার কিংবা কিছুটা ‘ওল্ড স্কুল’ জেন-জি ফ্যাশনের অন্তর্ভুক্ত।

পোশাকে ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ফলে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি যেখানে মিলেনিয়ালের ওপর জোর দিচ্ছে, সেখানে জেনারেশন জেড বা জেন-জি ফ্যাশনশিল্পকে দ্রুত পরিবর্তন করছে। বর্তমান টিনেজ বা কিশোর-কিশোরীরা নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দেয়।

ফ্যাশনসচেতন কলেজপড়ুয়া ক্যাথরিন গমেজের মতো তাঁদের বয়সী অনেকেই বিশ্বাস করেন যে প্রত্যেকেরই আরামদায়ক কিন্তু নান্দনিক পোশাক পরার স্বাধীনতা থাকা উচিত; যেন সারা দিন সবাই হালকা অনুভব করে। কারণ, এখন আর সেই দিন নেই, যেখানে হাই হিল কিংবা টাইট বডিকন পোশাকই একমাত্র বিকল্প। আরাম আর স্বাচ্ছন্দ্যই তাদের কাছে শেষ কথা।

বিজ্ঞাপন

এবার জানা যাক, কারা এই জেন-জি। যাদের জন্ম ১৯৯৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে, তারাই হলো জেন-জি বা জেনারেশন জেড। এর কিছু আগে গেলে পাওয়া যাবে মিলেনিয়াল ফ্যাশন ট্রেন্ডের দেখা। অল্প বয়স থেকে ইন্টারনেট ও পোর্টেবল ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে বড় হওয়া প্রথম সামাজিক প্রজন্ম হিসেবে জেন-জিকে ধরা হয়।

জেন-জি ও মিলেনিয়াল দুটো খুব কাছাকাছি জেনারেশন হওয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব রয়েছে দুটোর মধ্যেই। টিকটক থেকে শুরু করে ইনস্টাগ্রাম সর্বত্রই জেন-জি ট্রেন্ডের জয়জয়কার। মিলেনিয়াল ও জেন-জির মধ্যে শীতল যুদ্ধ লেগে থাকলেও বর্তমানে রাজত্ব করছে জেন-জি ফ্যাশন ট্রেন্ড। মিলেনিয়াল যুগের স্কিনি জিনস থেকে বের হয়ে ঢিলেঢালা জিনসে মেতেছেন এখনকার তরুণ-তরুণীরা।

বিজ্ঞাপন

জেন-জি ফ্যাশন টিপস

ইউনিসেক্স পোশাক

লিঙ্গ নিরপেক্ষ বা ইউনিসেক্স পোশাক শুধু ট্রেন্ডিই নয়, এটি সময়ের চাহিদাও বটে। ফ্যাশন যে লিঙ্গ নিরপেক্ষ হতে পারে, তা একুশ শতকে এসে জেন-জিরা আবারও প্রমাণ করেছেন। বড় আকারের বম্বার জ্যাকেট, শার্ট ও ফ্লোরাল ছাপ সবই পরছেন তাঁরা।

কমই বেশি

ফ্যাশনে এখন মিনিমাল যুগ। জেন-জিদের ক্ষেত্রে এটা প্রকটভাবে দেখা যায়। ‘লেস ইজ মোর’ বা কমই বেশি—কথাটি তাঁদের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য।

অ্যাথলিজার স্টাইল

অ্যাথলেজার শব্দটি শুনলেই মনে হবে ব্যায়ামের পোশাক। আসলে অ্যাথলেজার পোশাকের মধ্যে যোগব্যায়ামের প্যান্ট, জগিং স্যুট, স্নিকার্স, লেগিংস ও শর্টস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া ট্র্যাক প্যান্ট, ওয়াইড ট্রাউজার্সের সঙ্গে হাই-এন্ড স্নিকার্সও জেন- জিদের বিশেষ পছন্দ। অফিস, জিম ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য অ্যাথলাইজার স্টাইল মানুষের দৈনন্দিন ফ্যাশনের একটি বড় অংশ হয়ে উঠছে।

ছবি: হাল ফ্যাশন ও ইন্সটাগ্রাম

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১৪: ০০
বিজ্ঞাপন