কাদম্বরী এক্সক্লুসিভের পূজা কালেকশনে শাড়ি-ব্লাউজ ছাড়া আরও রয়েছে উৎসবে পরার উপযোগী মেয়েদের কুর্তি, ফতুয়া, কাফতান, শার্ট, কোট, প্যান্ট, ওয়ান পিস, টু পিস, থ্রি পিস। কালেকশন নিয়ে কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ বাই রজবীর স্বত্বাধিকারী রজবী তাসনীম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি এমনভাবে কালেকশন সাজাতে যেন যে যে ধরনের পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, সে যেন সেই অনুযায়ী পোশাক বাছাই করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পূজাকে কেন্দ্র করে নতুন ডিজাইন আনা হয়েছে। বিভিন্ন মোটিফে কাজ করা হয়েছে।’
কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ বাই রজবীর পূজা কালেকশনের প্রতিটা ডিজাইনের পোশাকের আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে। যেমন পদ্ম বিল, পদ্ম কুমারী, কোমল কন্যা, উর্বশী নৃত্য, পদ্ম বিবি, পদ্ম সখী ইত্যাদি। পোশাকে মোটিফ হিসেবে বিভিন্ন দেশীয় ফুল যেমন কৃষ্ণচূড়া, রজনীগন্ধা, লাল গোলাপ, শাপলা ইত্যাদি, পাখি যেমন হাঁস, চড়ুই, ময়ূর, মাছরাঙা, হামিং বার্ড ইত্যাদি ও প্রাচীন নকশা ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে পূজার ফুল পদ্ম। বেশির ভাগ শাড়ি ও ব্লাউজে এই মোটিফ ব্যবহার করা হয়েছে। আবার কিছু পোশাক একাধিক মোটিফের সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। যেমন পূজার সংগ্রহে ‘পদ্ম গল্প’ নামের একটি শাড়ি আছে।
এতে বাংলায় যত রঙের, যত প্রকারের পদ্ম ও শাপলা ফুল আছে এবং তাদের যত রকমের পাতা হয়, তা সুই-সুতার ফোঁড়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পদ্ম ও শাপলা ফুলের আশপাশে যে ধরনের জলজ উদ্ভিদ থাকে, সেগুলোও স্থান পেয়েছে ডিজাইনে। এমনকি শাড়িতে নিপুণ কারিগরি কৌশলে তাজা পাতা, পচে যাওয়া পাতা, শুকনা পাতার রং নির্ভুলভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
রজবী তাসনীম বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি পোশাকের ডিজাইন আলাদা অর্থ বহন করে। ডিজাইনগুলো আলাদাই শুধু নয়, রঙের বৈচিত্র্যেও সেগুলো অনেক ভিন্ন।’ বর্ণিল এ সংগ্রহ সাজাতে অনেক ধরনের রং ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে লাল, সাদা, পেস্ট, সুরমা, নীল, গোলাপি, কমলা, মেরুন, অফ হোয়াইট, কালো, জলপাই, মিষ্টি, বাদামি, জাম রং ইত্যাদি।
বৈচিত্র্যময় এই নান্দনিক পোশাকগুলো পাওয়া যাবে কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ বাই রজবীর অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে।
ছবি: কাদম্বরী এক্সক্লুসিভ