রহস্যময় এক নারীর রূপ থেকে অভিনয়শিল্পী নাজিফা তুষি এবার হয়েছেন কনে। না কোনো ছায়াছবি বা ওয়েব সিরিজে নয়, বরং ডিজাইনার সাফিয়া সাথীর নতুন বিয়ে সংগ্রহের লুকে ধরা দিয়েছেন ক্যামেরায়।
‘হাওয়া’র সাফল্যের পর অভিনেত্রী নাজিফা তুষিকে নিজের ব্রাইডাল কালেকশনের পণ্যদূত করেছেন ডিজাইনার সাফিয়া সাথী। তাঁর অফিশিয়াল সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে তুষির গ্ল্যামারাস ছবি। সাফিয়া সাথীর ডিজাইন করা তিনটি ব্রাইডাল পোশাক পরেছেন তিনি।
ব্রাইডাল পোশাকগুলোর নকশা, কাটিং ও রং—সবই নাজিফা তুষিকে মাথায় রেখে করা বলে জানান ফ্যাশন ডিজাইনার সাফিয়া সাথী। মেকআপ ও গয়না নির্বাচনে তিনি গ্ল্যামারকে গুরুত্ব দিলেও তুষির সৌন্দর্যকে ম্লান হতে দেননি। ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়ানো হয়নি একেবারেই; বরং রাখা হয়েছে তুষির সিগনেচার স্টাইল। আর তিনটি পোশাকের সঙ্গে একই লুক রাখা হয়েছে।
গ্রীষ্ম ও শরতের আমেজ মিশিয়ে তৈরি হয়েছে সাফিয়া সাথীর গায়েহলুদ কালেকশন। বিয়ের দুটি এবং গায়েহলুদের একটিসহ মোট তিনটি পোশাকের এই বিয়ে সংগ্রহ। তিনটিই লেহেঙ্গায়-ব্লাউজ-দোপাট্টার প্যাকেজ। ভারতীয় উপমহাদেশের বিয়ের পোশাকের আমেজ রয়েছে ডিজাইনে। মূল এমব্রয়ডারিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মোটিফ।
হলুদ রঙের ফ্লোরাল ডিজাইনড অরগাঞ্জায় লাল ও নীল ডট এমব্রয়ডারির লেহেঙ্গার সঙ্গী হয়েছে মিন্ট গ্রিন ডুপিয়ানের জমিনজুড়ে মিরর বসানো ব্লাউজ। পাড়ে ফুলেল মোটিফের সিকুইন এমব্রয়ডারি করা ওড়না।
সাফিয়া সাথী হলুদের এই পোশাক সম্পর্কে বলেন, এখন হলুদের ট্রেন্ড হলো উজ্জ্বল রঙের হালকা লেহেঙ্গা। বাড়তি ফ্লেয়ার দেওয়া লেহেঙ্গা ও ডিপ নেকের ব্লাউজ তৈরিতে সময় লেগেছে ৩০ দিন।
লাল মসলিনের ভারী জারদৌসি কাজের পোশাকের সঙ্গে ছিল ভারী গয়না। পোশাকের পুরোটা জুড়ে জারদৌসি কাজ। এটি আসলে সারারা ও পুরোহাতা লম্বা কামিজের কম্বো। তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪৫ দিন।
নাজিফা তুষির শেষ লুকটি বেশ রাজকীয়। গাঢ় রেড ওয়াইন ভেলভেট লেহেঙ্গায় জমিন অলংকরণের চেয়ে বেশি গুরত্ব দেওয়া হয়েছে কাপড় ও রঙে। লেহেঙ্গার জমিনজুড়ে ছোট ছোট ফুলের মোটিফ আর ব্লাউজে পুরো জমিনে জারদৌসি কাজ। ওড়নার বর্ডারে সিকুইন দেওয়া। পোশাকের সঙ্গে ভারী গয়নায় দারুণ মানিয়েছে নাজিফা তুষিকে।
ছবি: রেমিনিসেন্স ফটোগ্রাফি