স্টাইলিশ লুকে এয়ারপোর্টে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এয়ারপোর্ট ফ্যাশনেরও রয়েছে আলাদা ট্রেন্ড। আর এই ট্রেন্ডসেটিংয়ের কাজ করেন সেলিব্রিটিরা। এয়ারপোর্টের সামনে প্রায়ই তাঁদের পাপারাজ্জির ক্যামেরাবন্দী হতে দেখা যায়। সেই সব ছবি ছড়িয়ে পড়ে ম্যাগাজিন ও ওয়েব পোর্টালে। সেখান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ফ্যাশন-অনুরাগীরা নিজেদের এয়ারপোর্ট লুক তৈরি করেন।

মডেল: আজিম, ছবি: নাসির হোসেন
মডেল: আজিম, ছবি: নাসির হোসেন
মডেল: প্রেমা, ছবি: সাইফুল ইসলাম
মডেল: প্রেমা, ছবি: সাইফুল ইসলাম

এ বছরের এয়ারপোর্ট আউটফিট ট্রেন্ডে হাইরাইজ ওয়াইড-লেগ জিনস বেশ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে জোড় হিসেবে আছে সাদা টি-শার্ট ও সাদা বাটন-ডাউন শার্ট। ব্যাগি বা ঢোলা জিনস, খাকি প্যান্ট ও সোয়েটপ্যান্টও এখন ট্রেন্ডি। এগুলোর সঙ্গে পরা যায় ট্যাংক টপ, ক্রপড টি-শার্ট। এ ছাড়া ট্রেন্ডে আছে কো-অর্ড (একই রঙের টপ-প্যান্ট, শার্ট-স্কার্ট বা শার্ট-শর্টস)।

মডেল: মার্জানা, ছবি: সাইফুল ইসলাম
মডেল: মার্জানা, ছবি: সাইফুল ইসলাম

কোনো হলিউড সেলিব্রিটির এয়ারপোর্ট লুক লেয়ারিং ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু নির্দিষ্ট লেয়ারিং আউটফিট থাকে। যেমন ট্রেঞ্চ কোট (বিশেষ করে ক্যামেল কোট), ডেনিম বা লেদার জ্যাকেট, কার্ডিগান, ব্লেজার, নিউট্রাল ওভারকোট ইত্যাদি। তবে লেয়ারিংয়ের ব্যাপারটা পুরো নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। গরমের সময় ট্যাংক বা ক্রপ টপের ওপর ওভারসাইজড বাটন ডাউন শার্ট, শ্রাগ পরা যেতে পারে। আর ভারী ট্রেঞ্চ কোট বা ওভারকোট, জ্যাকেট, সোয়েটারগুলো শীতের জন্যই ভালো।

মডেল: আয়শা, ছবি: সাইফুল ইসলাম
মডেল: আয়শা, ছবি: সাইফুল ইসলাম
বিজ্ঞাপন

পোশাক নির্বাচনের সময় এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি চেকের কথা মাথায় রাখুন। এমন কোনো কিছু পরা যাবে না, যাতে সিকিউরিটি লাইনে ঝামেলায় পড়তে হয়। এ জন্য ভারী ও ওভারসাইজড জ্যাকেট, লেসআপ, ভারী চাঙ্কি বুট বা স্নিকার, মেটাল ব্রেসলেট, মেটাল হেয়ার অ্যাকসেসরিজ (এমনকি ববি পিনও) না পরাই ভালো।

মডেল: মাহেলেকা, ছবি: সাইফুল ইসলাম
মডেল: মাহেলেকা, ছবি: সাইফুল ইসলাম

জুতার ক্ষেত্রে কোনো ট্রেন্ড অনুসরণ না করে পছন্দমতো আরামদায়ক কিছু বেছে নিন। তবে সেটি যেন সহজে খোলা ও পরা যায়। কারণ, অনেক সময় এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি চেকের জন্য জুতা খোলার প্রয়োজন হতে পারে। এ জন্য সবচেয়ে ভালো স্লিপ অন স্নিকার, লো ব্লক পাম্প, বারকেনস্টক স্যান্ডেল, লো বা হাই ক্লগ স্যান্ডেল, এমনকি রাবারের পুল স্লাইড। বুট না পরাই উচিত। পরলেও লেসবিহীন অ্যাঙ্কেল বুট।
বিমানে ভ্রমণের সময় অ্যাকসেসরিজের ব্যাপারটি বিশেষভাবে মাথায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে মিনিমাল থাকাই ভালো। হাতে ও চুলে মেটালের কোনো অনুষঙ্গ পরা থেকে বিরত থাকতে হবে। এর বদলে গলায় হালকা নেকলেস ও কানে ছোট বা মাঝারি সাইজের দুল পরা যেতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ভ্রমণের সময় জামাকাপড় ভর্তি লাগেজ তো সঙ্গে থাকবেই। এর সঙ্গে থাকে হ্যান্ডব্যাগ। টুকিটাকি প্রয়োজনীয় জিনিস বেশি হলে টোট, শ্যাচেল, ক্লাউড ব্যাগ সঙ্গে নেওয়া যায়। আর টিকিট, পাসপোর্ট, স্মার্টফোন, ওয়ালেট ছাড়া তেমন কিছু কাছে রাখার না থাকলে বেছে নিন পছন্দের ক্রসবডি ব্যাগ বা ফ্যানিপ্যাক।

মডেল: নিশাত, ছবি: সাইফুল ইসলাম
মডেল: নিশাত, ছবি: সাইফুল ইসলাম

এয়ারপোর্ট স্টাইলিংয়ে এথনিক আউটফিটও মানায়। হালকা সুতি, ভিসকস, লিনেন ফেব্রিকের সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি-পালাজো পরা যায়। শীতের সময় এর ওপর চাপানো যায় পছন্দের শাল অথবা ভারী কাপড়ের লং শ্রাগ।

ছেলেদের এয়ারপোর্ট লুকে বৈচিত্র্য খুব একটা দেখা যায় না। বেশির ভাগ সময় টেক অফের জন্য তাঁদের কাছে নরমাল ক্যাজুয়াল গেটআপ বেশি পছন্দের। আউটফিটের ভেতর সোয়েটস্যুট, হুডি, হাফশার্ট, টি-শার্ট, পোলো, চিনো, জিনস, ব্লেজার, লেদার বা ডেনিম জ্যাকেট, ভার্সিটি জ্যাকেট, স্নিকার, লোফার পরতে বেশি দেখা যায়।

প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ০৮
বিজ্ঞাপন