ফেস অব এশিয়ার অফিশিয়াল পার্টনার এখন এএমটিসি
শেয়ার করুন
ফলো করুন

দেশের শীর্ষস্থানীয় রানওয়ের ডিরেক্টর ও আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা আজরা মাহমুদের সঙ্গে সম্প্রতি পার্টনারশিপ চুক্তি হয়েছে এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল অর্গানাইজিং কমিটির। এর ফলে এখন থেকে তিনি ফেস অব বাংলাদেশ আয়োজন করতে পারবেন।

২০১৯ সালে ফেস অব এশিয়া বিজয়ী মেহেদি হাসান পলাশ
২০১৯ সালে ফেস অব এশিয়া বিজয়ী মেহেদি হাসান পলাশ

এ বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল আজরা মাহমুদের সঙ্গে। তিনি বললেন, এশিয়া মডেল ফেস্টিভাল তিনদিনের একটি অনুষ্ঠান। এখানে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মডেলদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ফেস অব এশিয়া। পাশাপাশি এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ডস ছাড়াও থাকে বেশ কিছু ফ্যাশন শো।

আজরা আরও জানালেন, তাঁর প্রতিষ্ঠান এএমটিসি মিস অ্যান্ড মিস্টার সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনালে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, নেপাল ও ভারতের অফিশিয়াল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে যুক্ত আছেন।

বিজ্ঞাপন

আজরা সঙ্গে কথা বলে আরও আজান গেল, ফেস অব বাংলাদেশের পরবর্তী আসর হবে ভার্চুয়াল। এতে বিচারক হিসেবে থাকবেন মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ শিরিন আকতার শিলা, ফেস অব বাংলাদেশ ২০২২ ও ২০২২ সালের ফেস অব এশিয়ার শীর্ষ ১০ ফাইনালিস্টের একজন মীর মরিয়ম, ফেস অব বাংলাদেশ ২০২২ হাসনাত জামি, এএমটিসির প্রধান আজরা মাহমুদ ও ফেস অব মালয়েশিয়া এবং ফেস অব এশিয়া কিডসের প্রতিষ্ঠাতা রলেন লি।

ফেস অব বাংলাদেশ ২০২২ মীর মরিয়ম
ফেস অব বাংলাদেশ ২০২২ মীর মরিয়ম

এই আসর আয়োজনে তাঁকে সহায়তা করছে, ক্রসওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান, জানালেন তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সাল থেকে ফেস অব এশিয়ায় অংশ নিচ্ছে এএমটিসি তথা বাংলাদেশের প্রতিযোগীরা। প্রথম আসরে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন মেহেদি পলাশ। ২০২২ সালে অংশগ্রহণ করে স্টার মডেল অ্যাওয়ার্ড জেতেন শিরিন আকতার শিলা।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে এশিয়া মডেল ফেস্টিভ্যাল একটি বৈশ্বিক কনটেন্ট প্ল্যাটফর্ম। এখানে অংশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের মডেলরা তাঁদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারেন। এই ইভেন্ট প্রতিবছর দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এই বৈশ্বিক সংস্কৃতি উৎসব এশিয়ার পপ সংস্কৃতি, শিল্প ও এশিয়ার মডেল, ফ্যাশন আর বিউটি ইন্ডাস্ট্রিকে এশিয়াব্যাপী প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি এশিয়ার মডেল ও শিল্পীদের বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচিত করিয়ে দেয়।

মিস অ্যান্ড মিস্টার সেলিব্রিটির গত আসরে অংশ নেওয়া রনি ও এফা
মিস অ্যান্ড মিস্টার সেলিব্রিটির গত আসরে অংশ নেওয়া রনি ও এফা

ফেস অব এশিয়ার বিজয়ীরা পরবর্তী সময়ে এশিয়ায় মডেলিংয়ে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি তাঁরা এশিয়ান মডেল রোড কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে থাকেন। এটি একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক আসর। এশিয়ার সেরা মডেল হওয়ার লড়াইটা হয় এখানে। এশিয়ার উদীয়মান তারকা হয়ে ওঠার নতুন অভিযাত্রা শুরু হয় এই মঞ্চ থেকেই।
এ ধরনের প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশের মডেলদের তৈরি হয়ে ওঠার একমাত্র জায়গা হলো আজরা মাহমুদস ট্যালেন্ট ক্যাম্প। এখানে প্রত্যেক মডেলকে গড়ে তোলা হয় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো করে; অন্য দেশের মডেলদের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে লড়াইয়ের জন্য। প্রত্যেক মডেলকে সঠিক গ্রুমিংয়ের মাধ্যমে যথাযোগ্য করে তৈরি করেে থাকে এএমটিসি। আর এর নেপথ্যে আছেন আজরা মাহমুদ নিজে।

বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে যাঁর অবস্থান অবিসংবাদিত। এই পরিমণ্ডলে তাঁর নিজের যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে ‘প্যানটিন–হেড অ্যান্ড শোল্ডার ইউ গট দ্য লুক’–এ বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে। বর্তমানে তিনি দেশের শীর্ষ রানওয়ে ডিরেক্টর। বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ছাড়াও দেশের শীর্ষ সারির ডিজাইনার ও ডিজাইনার লেবেল যেমন রীনা লতিফ, এমদাদ হক, মাহিন খান, জুরহেমের সঙ্গে কাজ করেছেন আজরা।

এএমটিসির প্রতিষ্ঠাতা আজরা মাহমুদ
এএমটিসির প্রতিষ্ঠাতা আজরা মাহমুদ

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। টানা এক যুগ তিনি আড়ংয়ের ক্যাম্পেইন কনসালট্যান্ট হিসেবে যুক্ত রয়েছে।
ফেস অব এশিয়া বিজয়ী পুরুষ মডেল, ফেস অব এশিয়া বাংলাদেশ পর্বের একাধিক বিজয়ী মডেল, মিস ইউনিভার্সও তাঁর গ্রুমিং ইনস্টিটিউট আজরা মাহমুদ ট্যালেন্ট ক্যাম্প থেকে বের হয়েছেন। তখন তাঁর ইন্সটিটিউট না থাকলেও লাক্স সুপারস্টারের গ্রুমিংয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ইভেন্ট উপস্থাপক আজরার রয়েছে বিবিসির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও।

ছবি: আজরা মাহমুদ

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪: ৪৮
বিজ্ঞাপন