বরবাদ সিনেমায় শাকিব খানের গ্যাংস্টার লুকের সার্থক রূপায়ণে সুচিন্তিত পোশাক পরিকল্পনা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খানকে দেখা গেছে একেক চলচ্চিত্রে ভিন্ন ভিন্ন রূপে। এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা 'বরবাদ'-এর গ্যাংস্টার লুক নিয়ে মেতেছেন শাকিব ভক্তরা। বরবাদ সিনেমায় শাকিব খানের  কেপপ-প্রাণিত ধনীর দুলাল লুক আর ভয়ংকর গ্যাংস্টার লুক তৈরি করা সহজ কাজ ছিল না। এই সিনেমার পোশাক পরিকল্পনার নেপথ্যের গল্প বললেন 'বরবাদ' চলচ্চিত্রের কস্টিউম ডিজাইনার ফারজানা সান।

শাকিবের কেপপ-প্রাণিত ধনীর দুলাল লুক
শাকিবের কেপপ-প্রাণিত ধনীর দুলাল লুক
লুকে আছে গ্যাংস্টার ভাইব
লুকে আছে গ্যাংস্টার ভাইব

এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর কেন্দ্রীয় চরিত্রের নায়কদের লুক সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে। অবশ্য ২০১৬ সালের শিকারি চলচ্চিত্র থেকেই শাকিবের লুকে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। গত বছরের সুপার হিট মুভি তুফানের মারদাঙ্গা লুকে রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন দর্শকদের তিনি। তুফানের কস্টিউম ডিজাইনার ছিলেন ফারজানা সান, যিনি প্রথম ছবিতেই পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার। এবার বরবাদ মুভিতেও করেছেন শাকিব খানের কস্টিউম ডিজাইন। এই ডিজাইনার হাল ফ্যাশনের সঙ্গে একান্ত কথোপকথনে জানালেন পর্দার পেছনের গল্প।

বিজ্ঞাপন

ফারজানা সান জানালেন, শাকিব খান বরাবরই পোশাকের ব্যাপারে খুঁতখুঁতে। যখনই কোন শটের জন্য পোশাক পরিবর্তন করতে হতো, তিনি জিজ্ঞেস করতেন, 'এই পোশাকটা যে পরব তাঁর পেছনে যুক্তি কী বা মানাবে কিনা'।
ফারজানা সানের বয়ানে, 'একটা মুভির গল্প যখন আমাদের কাছে আসে, সেই অনুযায়ী আমরা সাজাই কোন চরিত্র কি পোশাক পরবে, কেমন লুক হবে। আবার, মুভিতে কালার প্যালেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেটা নির্বাচন করেন সাধারণত প্রোডাকশন ডিজাইনার ও পরিচালক নিজেরা  কোন গ্রেডে আমরা কালারের ফাইনাল আউটপুট পাব, কোন কালারে আমাদের সিনেমা হবে প্রথমেই সেটা নির্বাচন করা হয়। তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ধাপে প্রোডাকশন কাজ শুরু করে'।

এখনকার প্রজন্মের পছন্দ অনুযায়ী লুক দেওয়া হয়েছে বরবাদ-এর নায়ক শাকিবকে
এখনকার প্রজন্মের পছন্দ অনুযায়ী লুক দেওয়া হয়েছে বরবাদ-এর নায়ক শাকিবকে

এই ডিজাইনার বলেন, 'শাকিবকে নিয়ে বরবাদ চলচ্চিত্রে কাজ করার সময় প্রথম যে বিষয়টা মাথায় এসেছে,তা হলো ভিন্নতা ও বৈচিত্র‍্য। এমন পোশাক তাঁকে দিতে চেয়েছি, যা একেবারে আলাদা লুক ক্রিয়েট করবে আর যেমন পোশাক তার অভিনীত অন্য কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি। প্রথাগত বাংলা ছবিতে ধনীর ছেলেকে সাধারণত দেখানো হয় স্যুট-প্যান্ট পরা ফর্মাল লুকে। আমরা গতানুগতিক এই ধারা ভাঙতে চেয়েছি। তরুণ পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় চেয়েছেন সাকিবের একেবারে আলাদা লুক। আমিও সে ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম'। এক্ষেত্রে পরিচালকের ভূয়সী প্রশংসা করলেন সান। এখনকার সময়ে তরুণ জেনজিদের যেমন ধরনের লুক পছন্দ, বরবাদের নায়ক শাকিব খানকে সেই লুক ও পোশাক দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গল্প অনুযায়ী আরিয়ান মির্জা চরিত্রে কোটিপতি বাবার একমাত্র ছেলে শাকিব খানকে দেখা যায়। মুভির শুরু থেকেই দেখা যায় আরিয়ান বখে যাওয়া ছেলে, প্রচুর মারামারি করে, ভয়ংকর সব মাদকে আসক্ত। অন্যদিকে বহু নারী তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হলেও সে কেবল একজনকেই ভালোবাসে। আর এই মীতু চরিত্রে নায়িকা ইধিকা পালের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সে হয়ে ওঠে হিংস্র। শাকিবের লুক ক্রিয়েট করা হয়েছে ৩৫ বছরের এক সুদর্শন প্রভাবশালী তরুণ হিসেবে। একবারের জন্যও তা অবাস্তব লাগেনি পর্দায়।

অবাস্তব লাগেনি শাকিব খানের এমন সব লুক
অবাস্তব লাগেনি শাকিব খানের এমন সব লুক

বরবাদে শাকিবের রূপসজ্জার কাজ করেছেন ভারতীয় মেকআপ আর্টিস্ট অমিত আম্বারকর। বলিউড সিনেমা সিকান্দার, এনিম্যাল, হীরামান্ডি সিরিজে কাজ করেছেন এই লুক ডিজাইনার। ফারজানার ভাষ্যে, 'অমিত যখন মুভির মেকআপ সেটে আসেন ,আমরা তখন বেশ কিছু লুক রেফারেন্স হিসেবে রেখেছিলাম তাঁকে দেখানোর জন্য। কোরিয়ান কেপপ স্টারদের লুক চেয়েছিলাম আমরা আরিয়ান মির্জা চরিত্রের জন্য। সে কারণে মুভিতে আরিয়ান মির্জাকে  প্রচুর অ্যাক্সেসরিজ পরতে দেখা যায়। মেকআপে হালকা ব্লাশন ব্যবহার করা হয়েছে, লুক ছিল শার্প। চুল ও দাড়ি সবসময় গুছিয়ে গ্রুম করা। কে পপ তারকারা সবসময় পরিপাটিভাবে পোশাক পরে আর সেটাই জেনজিদের আকৃষ্ট করে। শাকিবের হাতে দেখা যায় ব্র‍্যান্ডেড ঘড়ি, জুতার ক্ষেত্রে কেপপ স্টাইল শুজ। মেকআপের সঙ্গে পোশাকের যেন সামঞ্জস্য থাকে সেটা আমি খুব সতর্কতার সঙ্গে মাথায় রেখেছি'। তাঁকে কিন্তু অন্য চলচিত্রের তুলনায় অনেক কমবয়সী লেগেছে, গালে কন্টোর করে  চেহারা অনেক শার্প করা হয়েছে। তাঁর দাড়ির কাটও সেভাবে করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে হেয়ার স্টাইলিং করেছেন মৌসুমি নামের একজন স্টাইলিস্ট।

পর্দায় নায়ককে সুন্দর পোশাকে দেখলে দর্শক খুশি হয়, হাততালি দেয়। কিন্তু এর পেছনে থাকে লম্বা শ্রম। সান বললেন, 'চাঁদ মামা গানের শুট হয়েছে মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটিতে। আমার যেদিন মুম্বাই যাওয়ার ফ্লাইট সেদিন ছিলো শুক্রবার। যে ধরনের ব্লেজার শাকিব এই গানে পরবেন, সেই ব্লেজারের দোকানগুলো ছুটির দিন হওয়ায় বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে দোকান খুলিয়ে ব্লেজার আনিয়েছিলাম। তারপর শাকিব ভাইকে রাত দুইটার সময় সেই ব্লেজার পরিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়েছে। শ্যুটের আগের রাতে মনে হয়েছে এই ব্লেজারে কিছু অর্নামেন্টেশন থাকলে ভালো হতো। এই চলচ্চিত্রের সুবাদে প্রথম বার মুম্বাই গিয়েছি। কিছুই চিনিনা। দেশে থাকলে দেখা যেত প্রোডাশন বয় বা আমার স্টাফকে পাঠিয়ে যেটা প্রয়োজন কিনিয়ে আনাতাম কিন্তু মুম্বাইয়ে সেই সুযোগ ছিলোনা। চার-পাঁচ ঘণ্টা খুঁজে যা দরকার ছিলো সেটা পেলামনা। পরবর্তীতে গলার চেইন কিনে সেগুলো কেটে কেটে সেলাই করে বসানো হয়েছে শাকিবের ব্লেজারে'।

নানাভাবে কাস্টোমাইজ করা হয়েছে শাকিব এর লুক
নানাভাবে কাস্টোমাইজ করা হয়েছে শাকিব এর লুক

ফারজানা সানের কাছ থেকে জানা গেল, মুভিতে শুধু শাকিব খানের কস্টিউম ডিজাইন করেছেন তিনি। অন্য যারা অভিনেতা ছিলেন, যেমন মূল নায়িকা চরিত্রে ইধিকা পালের পোশাক তাঁর নিজস্ব ডিজাইনার ডিজাইন করেছেন। তবে আমাদের মুভির ডিজাইনিং লাইনটা উনাকে দেওয়া হয়েছিলো,যাতে পোশাক সেই অনুযায়ী হয়। কথা প্রসঙ্গে সান বললেন, একটা চলচ্চিত্রে যদি একাধিক তারকা থাকেন, সেক্ষেত্রে আলাদা আলাদা কস্টিউম ডিজাইনার থাকা ভালো। এতে করে ঝক্কি কমে যায়, শিল্পী স্বস্তিতে তাড়াহুড়ো ছাড়া ট্রায়াল দিতে পারেন। বাইরের দেশে এটা প্রচলিত। ধীরে ধীরে বাংলাদেশেও এই ট্রেন্ড চলে এসেছে।

শাকিবের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আরেকটা বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানান সান। এর আগে যাঁরা শাকিবের সঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা হয়তো তাঁর লুক আর পোশাক ডিজাইন করেছেন শুধু৷ কিন্তু তার উর্ধ্বে গিয়ে শাকিব খানের সঙ্গে তাঁর পোশাক বা অনুষঙ্গের ব্যাপারে নিজস্ব মতামত দিয়েছেন, আলোচনা করেছেন সান সবসময়। সেই স্বাচ্ছন্দ্যটা তিনি সানের সঙ্গে পেয়েছিলেন বলেই ভিন্নতা আনা সম্ভব হয়েছে। শাকিবের প্রসঙ্গে সান আরো বললেন, 'তিনি এত আন্তরিক ও বন্ধুসুলভ, উনার সঙ্গে কাজ না করলে বুঝতেই পারতাম না। সে কারণেই দায়িত্ববোধ থেকে চিন্তা আসে তাঁর সবচেয়ে সেরা লুকটা কীভাবে দেওয়া যায়'।

চমৎকার বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল শাকিব খানের সঙ্গে সানের
চমৎকার বোঝাপড়া গড়ে উঠেছিল শাকিব খানের সঙ্গে সানের

সানের কথায়, 'আমার কাছে মনে হয় পোশাকের চেয়ে চরিত্র অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গল্পের সঙ্গে পোশাকের মিল না থাকলে সিনেমার মূল ভাব ফুটে ওঠেনা। সারা বিশ্বের অভিনেতারা চরিত্রের প্রয়োজনেই পোশাক পরেন। সেখানে অভিনয় মুখ্য। সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই পোশাক ডিজাইন করা হয়। তুফানেও কিন্তু উনি ব্লেজার স্যুট পরেছেন। কিন্তু,বরাবাদের স্যুট ও ব্লেজারের রং নির্বাচন একেবারেই ভিন্ন। পোশাক হয় কালার গ্রেডিং অনুযায়ী। রং নির্বাচনের বিষয়টা হয়ে যায় শ্যুটের আগেই। একটা কালার প্যালেট আমাদের দেখানো হয়। সেই অনুযায়ী আর্ট ডিরেক্টর কিছু কালার নিয়ে নেন। তারপর আমি কালার নিয়ে নেই। তারপর সমন্বয়ের মাধ্যমে শ্যুটের ফাইনাল কালার চলে আসে। তার ওপর নির্ভর করেই পুরো প্রোডাকশনের কাজ করতে হয়'।

ফারজানা সান বলেন, 'বরবাদের কস্টিউম ডিজাইন করতে গিয়ে সবচেয়ে ভালো স্মৃতি হচ্ছে, শ্যুটের আগে কিছু পোশাক বানিয়ে শাকিব ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম ট্রায়াল দিতে আর উনি খুবই খুশি হয়েছিলেন। সব পোশাক তাঁর পছন্দ হয়েছিল। সেখান থেকে ডিজাইন বাছাই করে পোশাক বানাতে বলেছিলেন। একজন আর্টিস্টের কাছ থেকে ডিজাইনার হিসেবে প্রশংসা পাওয়া আনন্দের'।  

নিজের সবটুকু দিয়েই বরবাদ সিনেমায় শাকিবের লুকে প্রাণ দিয়েছেন সান
নিজের সবটুকু দিয়েই বরবাদ সিনেমায় শাকিবের লুকে প্রাণ দিয়েছেন সান

কস্টিউম ডিজাইনার সান এই জগতে আছেন ২২ বছর হলো। বিভিন্ন পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করছেন দক্ষতার সঙ্গে। তবে কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন আট বছর ধরে। তাঁর ডিজাইনার হিসেবে চলচ্চিত্রে কাজের শুরু অমিতাভ রেজার হাত ধরে। অমিতাভ রেজার প্রথম সিনেমা আয়নাবাজির কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে পান জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার। নিজের টিমের প্রসঙ্গে বললেন, 'আমার টিমে দুইজন আয়রনম্যান থাকেন। একজন আমার জিনিসপত্রের দায়িত্বে থাকেন আর  আরেকজন টেইলর থাকেন'।

কস্টিউম ডিজাইনার হিসাবে কাজের শুরু কীভাবে সে প্রসঙ্গে সান বলেন, 'একদিন টেলিভিশনে একটা মুভি দেখছিলাম। হুট করে মাথায় এল, দর্শকরা প্রথমেই পর্দায় শিল্পীকে দেখে, এরপর তাঁর পোশাক দেখে। সেখান থেকেই কস্টিউম ডিজাইনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। আরেকজন স্বনামধন্য কস্টিউম ডিজাইনার ইদিলা ফরিদ তুরিন ছিলেন আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের পথপ্রদর্শক। তাঁর কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পাই। আমি ডিজাইনিং নিয়ে কখনো পড়াশোনা করিনি। পড়েছি ইসলামিক স্টাডিজে। মাকে ছেলেবেলায় দেখতাম সেলাই করে আমাদের জামা বানাতে। আমি পুতুলের জামা বানাতে পছন্দ করতাম।সেই থেকেই আসলে শুরু আমার যাত্রা। মোস্তফা কামাল রাজের 'প্রজাপতি',  শঙ্খদাস গুপ্তের 'হ্যালো অমিত' ছবিতে প্রথম কস্টিউম ডিজাইন করি। যদিও সেই সিনেমা আর মুক্তি পায়নি। শিহাব শাহীনের 'ভালবাসি তাই ভালোবেসে যাই', 'মহানগর', 'কারাগার' ওয়েব সিরিজে কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছি। আমি যেসময় কাজ শুরু করি, তখনকার কেউ এখন আর কাজ করছেন না। কারন হিসেবে সান বললেন, এটা খুব অনিশ্চয়তার একটি পেশা। তবে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আসছে। তারপরও এই পথ ধরে হেঁটেছি আর আজকে ক্ষুদ্র একটা অবস্থান তৈরি হয়েছে'।

ফারজানা সান নতুনদের জন্য কস্টিউম ডিজাইনিংয়ের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের দুয়ার খুলে দিচ্ছেন
ফারজানা সান নতুনদের জন্য কস্টিউম ডিজাইনিংয়ের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের দুয়ার খুলে দিচ্ছেন

ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের অনেক স্কুল আছে এখন বাংলাদেশে। কথা প্রসঙ্গে সান বললেন, ফ্যাশন ডিজাইনিং এবং কস্টিউম ডিজাইনিং সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কস্টিউমের জন্য চরিত্র বুঝতে হয় আর ফ্যাশন ডিজাইনাররা পোশাকের স্টাইলিং ভালো বোঝেন। এই দুইয়ের সংমিশ্রণ হলে দারুণ হয়। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, পোশাকের কাটিং, ম্যাটেরিয়াল ইত্যাদি ফ্যাশন ডিজাইনাররা ভালো বুঝেন। আর ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের ছেলেমেয়েরা এই সেক্টরে আসলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে, কাজের মান ভালো হবে।
বন্ধুর পথ ধরে হেঁটেই ফারজানা সান নতুনদের জন্য কস্টিউম ডিজাইনিংয়ের সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের দুয়ার খুলে দিচ্ছেন। সফল হোক তাঁর এই জয়যাত্রা। এই কামনা জানিয়েই হাল ফ্যাশনের সঙ্গে সানের প্রাণবন্ত কথোপকথন সাঙ্গ হলো।

ছবি: ফারজানা সান, শাকিব খানের ফেসবুক পেজ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ০০
বিজ্ঞাপন