ফ্যাশন ডিজাইনার চন্দনা দেওয়ানের ফ্যাশন ব্র্যান্ড চন্দন। এই ব্র্যান্ড সোমবার লঞ্চ করেছে নতুন সংগ্রহ ঢাকা কিচ। এই সংগ্রহে আছে টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, ছাতা, স্কার্ফ ও পোস্টার। নগরজীবনের চিত্র, বাংলা সিনেমার কালজয়ী চরিত্র ছাড়াও এ কালেকশনে রয়েছে বিভিন্ন ট্রেন্ডি লেখা-সংবলিত পণ্য। টি-শার্টগুলোতে স্ক্রিন প্রিন্টের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলা সিনেমার আইকনিক নায়ক-নায়িকাদের।
সাদা ও কালো টি-শার্টগুলোয় মুদ্রিত হয়েছে ‘ও আমার পরানের হুক্কারে’, ‘কাঁঠাল’, ‘ডানাকাটা পরি’, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’, ‘থামুন, ভেঁপু বাজান’। লেখার সঙ্গে মিলিয়ে ছবিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আর এসব নিশ্চয়ই আমাদের নস্টালজিক করবে। কারণ, আমরা সিনেমার ব্যানারে, ট্রাক ও রিকশার অলংকরণে একসময় দেখে অভ্যস্ত।
বিশাল একটি টোট ব্যাগের কালেকশনও এনেছে চন্দন। দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের উপযোগী করেই ব্যাগের নকশা করা হয়েছে। সাদা, কালো, গাঢ় গোলাপি ও হলুদ ব্যাগগুলো তৈরি সুতি কাপড়ে। খুব সহজেই ধোয়া যাবে এগুলো।
ব্যাগগুলোতে ঢাকার রিকশা, ট্রাক, মহানগর, বেদেনী, সাপ ইত্যাদি নকশা স্ক্রিন প্রিন্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একইভাবে মুদ্রিত হয়েছে ‘থামুন, ভেঁপু বাজান’, ‘কাঁঠাল’, ‘আয় জাইগা’ লেখা।
তাদের কালেকশনে আরও রয়েছে ছাতা। রেগুলার সাইজের ছাতার গায়ে লেখা রয়েছে ‘দূরছাতা’। স্ক্রিন প্রিন্টে ফুটিয়ে তোলা নকশায় রয়েছে বাংলা সিনেমার নানা চরিত্র ও ঢাকার গাড়ি। এ ছাড়া প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য সিল্কের স্কার্ফও রয়েছে এই সংগ্রহে। কালো স্কার্ফের পুরো জমিনে ঢাকার ট্রাফিক জ্যামে আটকে থাকা বিভিন্ন যানবাহন তুলে ধরা হয়েছে।
এই সংগ্রহের নকশাভাবনা ও চূড়ান্ত বাস্তবায়নের কৃতিত্ব চন্দনের স্বত্বাধিকারী চন্দনা দেওয়ানের। তাঁর সঙ্গে আছেন ডিজাইনার কুহু প্লামন্দন। বিখ্যাত কিচ আর্টের অনুপ্রেরণায় পুরো কালেকশনের আইডিয়া থেকে শুরু করে লে-আউট তৈরি করেছেন তিনি। কুহু জানান, অনেকদিন থেকেই এমন একটি কালেকশন নকশা করার ইচ্ছে ছিল।
সমসাময়িক ট্রেন্ড মাথায় রেখে নগরজীবনের চিত্র, বাহারি রঙের ব্যবহার আর পুরোনো কিছুকে নতুনভাবে উপস্থাপন করাই ছিল এই কালেকশনের মূল উদ্দেশ্য।
এক দিনের প্রদর্শনী শেষ হয়ে গেলেও এই সংগ্রহ পাওয়া যাবে চন্দনের আউটলেট (সড়ক ১০৩, বাসা ৯, গুলশান-২) ও ওয়েবসাইটে।
ছবি: চন্দন ও লেখক