হরীতকী ও মহাশয়ের ঈদ সংগ্রহে রঙিন ফুল আর অবয়ববিহীন নকশা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

গাউন ও শাড়ি

হরীতকী নিজেদের সিগনেচার ফিগারেটিভ মোটিফ থেকে বের হয়ে অবয়ববহীন নকশায় একটু আলাদা করে সাজিয়েছে ঈদ সংগ্রহ। নন–ফিগারেটিভ আর্টের পাশাপাশি ফুলেল নকশার আধিপত্য এই আয়োজনে। মেয়েদের জন্য রয়েছে স্বকীয় ঢংয়ের মাল্টিকালার গাউন ও শাড়ি। বাঙালির যেকোনো উৎসবে শাড়ি থাকা চাই-ই। হরীতকীর ঈদ সংগ্রহে আছে নরম জর্জেট ও আর্ট সিল্কের বর্ণাঢ্য সব শাড়ি। শিল্পী অর্ণবের গান থেকে প্রাণিত হয়ে শাড়ির নকশায় ফুটে উঠেছে কাঠগোলাপ ও তার নীলচে মায়া। পাড়ে কাঠগোলাপের সারি স্নিগ্ধতা ছড়াচ্ছে এই শাড়িতে।

হরীতকীর সংগ্রহের বাগানবিলাস ও চেরি ব্লসম শাড়ি বেশ নজর কাড়বে ক্রেতাদের। টকটকে লাল রঙের চেরি ব্লসম শাড়িটির রং ও প্রিন্ট মন ভোলাবে ফ্যাশনিস্তাদের। বাগানবিলাস ফুলের শাড়িটি একই কারণে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। উজ্জ্বল রঙের পোশাক উৎসবের আমেজকে বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। প্যাস্টেল রঙে আঁকা ফুলের মোটিফ থেকে ডিজিটাল প্রিন্ট দিয়ে করা হয়েছে কয়েকটি নকশা।

বিজ্ঞাপন

হরীতকীর শাড়ির নকশায় উঠে এসেছে নানা অঞ্চলের জংলি ফুলও। একটি শাড়িতে পুরো মহাকাশকে উপস্থাপন করা হয়েছে সৃজনশীলভাবে। কালো জমিন ও আঁচলে তারা, গ্রহ–উপগ্রহ, ব্ল্যাকহোল ও পাড়ে নিয়ন রং ব্যবহার করা হয়েছে। রিকশা মোটিফ থেকে প্রাণিত নকশার শাড়িটি হতে পারে বৈশাখের সঙ্গী।

শাড়িতে স্বচ্ছন্দ নন অনেকে। তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে আরামদায়ক কিছু গাউন। লেস দিয়ে জমকালো করা হয়েছে গাউনগুলোর নকশা। শাড়ির নানা মোটিফসহ শাপলা ও পদ্মফুলের মতো নানা ফুলের আর্টের ডিজিটাল প্রিন্টে করা এগুলো। দেবে স্নিগ্ধ লুক। কিছু গাউন করা হয়েছে কলমকারি নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে। সাধারণত কলমকারিও ফিগারেটিভ হয়। সেখান থেকে একটু সরে শুধু ফুল-পাতা দিয়ে নকশা করা হয়েছে। গাউনে ভ্যানগঘের বিখ্যাত চিত্র আমন্ড ব্লসম ও বাগানবিলাস আছে। ঈদের দাওয়াতে নজর কাড়বে অভিনব নকশার এই গাউনগুলো।

বিজ্ঞাপন

পাঞ্জাবি, কোটি ও শার্ট

ঈদের সাজ সব সময়ই বিশেষ। ছেলেরাও এ ব্যাপারে কিছু কম নয়। ঈদের সকাল শুরু হয় পাঞ্জাবি–পায়জামা দিয়েই। তাই হরীতকী ছেলেদের ঈদ সংগ্রহে পাওয়া যাচ্ছে মহাশয়ের পাঞ্জাবি, কোটি ও শার্ট। গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে মহাশয়ের সংগ্রহে বরাবরের মতো এবারও রয়েছে নিজস্বতার ছাপ । ইন্দোনেশিয়ান বাটিক ফর্মকে ডিজিটাল প্রিন্টে আনা হয়েছে পাঞ্জাবিতে। ফুল, গ্রামীণ আলপনার পাশাপাশি আছে ঐতিহ্যবাহী রিকশাচিত্রও। নন–ফিগারেটিভ রাখতে সাগরের ঢেউ, প্রাচীন মসজিদের মোজাইক দরজার ছাপ—এসব নিয়ে বিমূর্ত নকশা তৈরি করা হয়েছে। গ্ল্যামার যোগ করতে কিছু পাঞ্জাবি করা হয়েছে শেরওয়ানি স্টাইলে।


পাঞ্জাবির লুকে জমকালো ভাব আনতে কোটির জুড়ি মেলা ভার। যেকোনো একরঙা পাঞ্জাবির সঙ্গে বেশ ফ্যাশনেবল হবে এগুলো। ঈদের দিন কিংবা ঈদের নানা আড্ডা আয়োজনে নজর কাড়বেই এই কোটি।  

ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরি করতে পাঞ্জাবি–কোটি যা–ই পরা হোক না কেন, এই গরমে শেষ ভরসা কিন্তু হাফহাতা শার্ট। তাই বাটার সিল্ক কাপড়ে বিভিন্ন রুচিশীল প্রিন্টে বেশ কিছু শার্ট রয়েছে মহাশয়ের ঈদ সংগ্রহে—জানান হরীতকীর সহপ্রতিষ্ঠাতা বলরাম পাল। তিনি আরও বলেন, পাকা রং পেতে হরীতকী ও মহাশয়ের কাপড়গুলোতে স্ক্রিন প্রিন্টের বদলে ডিজিটাল প্রিন্ট করা হয়। মহাশয়ের কোটি ও পাঞ্জাবিগুলোর বিশেষ ব্যাপার হলো এগুলোর বোতাম। প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে চারকোনা বোতামগুলো বানানো হয়েছে নারকেলের খোসা দিয়ে।

ছবি: হরিতকী

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০: ০০
বিজ্ঞাপন