মূল পর্বে আজরা মাহমুদের দুই মডেল
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন রিপোর্ট

মালয়েশিয়ার পর্যটনশিল্পের প্রচারণার অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনাল ২০২৩’। এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা আয়োজনের দায়িত্বে আছে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ।

এ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ ২৯ দেশের ৫৮ জন প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন। এশিয়ার বাইরের একমাত্র দেশ হলো হল্যান্ড। আর সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও আছে ভারত ও নেপাল। এ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সূচি বদলে ১ মে অনুষ্ঠিত হবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিযোগিতা বিষয়ে হাল ফ্যাশনকে বিস্তারিত জানিয়েছেন আজরা মাহমুদ বলেন, রাজধানী কুয়ালালামপুরের অভিজাত এলাকা বুকিত জলিলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিস্টার ও মিস সেলিব্রিটি ইন্টারন্যাশনালের প্রার্থীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যাজেন্টের মালিক লেনার্ড ট্যান এবং মালয়েশিয়ার সুপার মডেল অ্যাম্বার চিয়া।

বিচারকমন্ডলী
বিচারকমন্ডলী

আজরা আরও জানান, এ আসরে বাংলাদেশসহ আরও তিন দেশ—ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনোনীত হয়েছে আজরা মাহমুদ’স ট্যালেন্ট ক্যাম্প (এএমটিসি)।

বিজ্ঞাপন

এ বছর বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল থেকে প্যাজেন্ট পাঠাতে পারলেও শ্রীলঙ্কা থেকে কাউকে পাঠাতে পারেননি বলেও জানান আজরা। তবে আরও একটা খুশির খবরও তিনি শেয়ার করলেন। সেটা হলো, তাঁর দ্বিতীয় ব্যাচের ছাত্রী ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯ শিরিন আক্তার শিলা এবার বিচারক হিসেবে অংশ নিচ্ছেন।
বিচারকমণ্ডলীতে আরও আছেন ২০১৮ সালের মিস মিয়ানমার হান থি, ২০১৮ সালের মিস ইউনিভার্স কম্বোডিয়া পার্ন নাট, ২০১৮ সালের মিস্টার গ্লোবার থাইল্যান্ড জিরাওয়াট ভাটচাসাকল, এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় মডেল অ্যাম্বার চিয়া ও ২০১৪ সালের থাইল্যান্ডের মিস মডেল অব দ্য ওয়ার্ল্ড অনন্যা বেইফার্ন।

অন্যতম বিচারক শিরিন শিলা
অন্যতম বিচারক শিরিন শিলা

এ আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ জানিয়েছে, এ প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো, এমন মডেল খুঁজে বের করা, যারা পরবর্তীকালে কেবল ফ্যাশন আইকন হিসেবেই নয়, বরং বড় মানের তারকা হওয়ার সম্ভাবনাও রাখেন। একই সঙ্গে এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করার মধ্য দিয়ে এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব জোরদার করা।

এ ছাড়া এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিযোগীদের শিষ্টাচারসহ নানা বিষয় শেখানোর জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে পেশাদার প্রশিক্ষক। দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রেটি পেজেন্টস গ্রুপ বিশ্বাস করে, সৌন্দর্য কেবল বাইরেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সেটা উৎসারিত হয় একজন মানুষের অন্তর থেকেও। তাই এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য, রোল মডেল হিসেবে সমাজের কাছে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা, অনুপ্রেরণা জোগানো এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখা।

বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ আজরা মাহমুদ
বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ আজরা মাহমুদ

বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনে সুপরিচিত ও জনপ্রিয় মুখ আজরা মাহমুদ, যাঁর উত্থান ‘ইউ গট দ্য লুক’ দিয়ে। বাংলাদেশ ফ্যাশন উইক ছাড়াও সেরা সব শীর্ষ সারির ফ্যাশন শোতে নানা ভূমিকায় অংশ নিয়ে আসছেন প্রায় দুই দশক ধরে। বর্তমানে তিনি নিজেকে দেশের এক নম্বর রানওয়ে ডিরেক্টর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ ছাড়া তাঁর রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও। বাংলাদেশে মডেল গ্রুমিং থেকে ফ্যাশন শো ডিরেকশন—সবার আগে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। তাঁর যোগ্যতার পাশাপাশি দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণেই তাঁকে এ প্রতিযোগিতায় চার দেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নিযুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সেলিব্রিটি প্যাজেন্টস গ্রুপ এন্টারপ্রাইজ।

আজরা জানান, তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আস্তে আস্তে। সবাই বড় বড় আসরের দিকে হাত বাড়ান, যেটা তাঁর মতে বাস্তবসম্মত নয়। বরং সারা বিশ্বে অনেক ছোট ছোট আসর আছে। সেখানে শেখার যথেষ্ট সুযোগ আছে। এসব আসরে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি বাংলাদেশে মডেলদের বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলোয় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডল সম্পর্কে অবগত করাই তাঁর লক্ষ্য।

আজরা বলেন, ‘এ ধরনের ছোট ছোট প্যাজেন্টগুলোতেও শেখার অনেক কিছু থাকে। আর এর মাধ্যমেই বড় আসরে যোগদানের পথ সুগম হয়। এ জন্যই আমি এ ধরনের আসর খুঁজে বের করে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
এ প্রতিযোগিতায় আজরা মাহমুদ’স ট্যালেন্ট ক্যাম্প ও বাংলাদেশের দুই প্রতিযোগীর জন্য হাল ফ্যাশনের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানাই।

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০৭: ০৯
বিজ্ঞাপন