তিন উৎসবেরই আমেজ রয়েছে হরিতকীর বর্ণিল সংগ্রহে
শেয়ার করুন
ফলো করুন

হাল ফ্যাশন ডেস্ক

পয়লা ফাল্গুন, সরস্বতী পূজা ও ভালোবাসা দিবস—তিন উৎসব একই দিনে হওয়ায় ফ্যাশনিস্তারা এবার একটু দ্বিধায় থাকবেন বটে। নিজেকে সাজাবেন কোন সাজে! তাঁদের এই দোটানা কিছুটা কমাতেই হরিতকী চেষ্টা করেছে এমন কিছু ডিজাইন করার, যাতে এক পোশাকেই তিন উৎসবের আমেজ ফুটে উঠবে। চোখধাঁধানো সব রং নিয়ে তাই এবারের সংগ্রহগুলো এনেছে হরিতকীর কর্ণধার অনিক কুণ্ডু। প্রকৃতি, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মূলত হরিতকীর কাজের মূল উপজীব্য। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। শাড়ি, কুর্তি ও ছেলেদের পোশাকে ফুটে উঠেছে তার সবটুকু।
ফাগুনের সাজ প্রকৃতিতেই শুধু সীমাবদ্ধ নেই, মানুষ সাজতে চায় নিজেকেও।

হরিতকীর ক্রেতাদের ফাগুনের রঙে সাজাতে তাই রয়েছে বাসন্তী রঙের মধুবনী প্রিন্টের শাড়ি। মধুবনী পেইন্টিং মানেই সামাজের নানা রূপ, ধর্ম ও মিথোলজিনির্ভর গল্প ও প্রকৃতির রূপায়ণ। বাসন্তী শাড়িতে সাদা ও কালো রঙের নকশা। পালকিতে করে নববধূকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বেয়ারারা—মধুবনীর আঁচলে তারই চিত্রায়ণ। দুই পাড়েও মোটা করে আঁকা একই চিত্র। তার মধ্যে ফুটে রয়েছে কিছু ফুলের নকশা। এদিকে যাঁরা স্নিগ্ধ লুক দিতে চান নিজেকে, তাঁরা বেছে নিতে পারেন হরিতকীর নীল সাগর মোটিফে করা শাড়িটি। নীল জমিন ও আঁচলে ভেসে বেড়াচ্ছে হাঁস। সঙ্গে বসন্তের জানান দিচ্ছে বাসন্তী রঙের পাড়।

বিজ্ঞাপন

পূজা মানেই যেন পদ্মফুল। তাই হলুদ-ম্যাজেন্টার কম্বিনেশনে আছে পদ্মফুল মোটিফের শাড়ি। এই শাড়ি জড়িয়ে নেওয়ার পর মন নিজ থেকেই জানান দেবে, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত’। শাড়িগুলো করা হয়েছে আর্ট সিল্কের ওপর আর রং পাকা করতে করা হয়েছে ডিজিটাল প্রিন্ট। আর্ট সিল্ক ফেব্রিকগুলো ব্রিদেবল হওয়ায় পরে আরাম পাওয়া যাবে।

শাড়ি ছাড়াও অনেকেই পছন্দ করেন হালকা ও আরামদায়ক, কিন্তু বৈচিত্র্যময় পোশাকে নিজেকে সাজাতে। হরিতকী তাই রেখেছে কিছু কুর্তি সংগ্রহ। তাদের হলুদ কুর্তিতে পূজার মোটিফে ফুটে উঠেছে জ্ঞান ও সুরের দেবী সরস্বতী। সঙ্গে আছে তাঁর বাহন রাজহাঁস। জুটি বেঁধেছে ময়ূরও।

বিজ্ঞাপন

সবারই জানা হরিতকীর পাশাপাশি ছেলেদের জন্য অনিক কুণ্ডের আরেক উদ্যোগ—মহাশয়। পূজার বন্ধু-আড্ডা হোক, ফাগুনের উৎসব বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানো—হরিতকীর পোশাকের বৈচিত্র্যে ফুটে উঠবে আপনার ব্যক্তিত্ব। বসন্তকে বরণ করতে হলুদ রঙে প্রাধান্য দিয়ে মহাশয় এনেছে ফ্লোরাল প্রিন্টের শার্ট। তাঁদের সংগ্রহে ফ্লোরাল প্রিন্টকে প্রাধান্য দিলেও জ্যামিতিক প্যাটার্নের পাঞ্জাবিগুলো নজর কাড়ছে ফ্যাশনপ্রেমীদের। আর কোটির জন্য তো ইতিমধ্যে সুপরিচিত মহাশয়। তাঁদের বাহারি সব কোটিও বাদ যায়নি এই সংগ্রহ থেকে। যাঁরা হলুদ রঙের বাইরে কিছু পরতে চান, তাঁদের জন্য ভ্যান গঘের বিখ্যাত আমন্ড ব্লসম অনুপ্রাণিত কোটি। সাদা কিংবা যেকোনো হাল্কা একরঙা পাঞ্জাবির সঙ্গে মানিয়ে যাবে বেশ সহজে। তাই উৎসবে সেজে উঠতে পারেন মহাশয় সাজে।

অনিক কুণ্ডু জানান, ‘তিনটি উৎসব এবার একই দিনে। বরাবরের মতোই আমরা শিল্প, ঐতিহ্য ও প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত সংগ্রহ এনেছি। ঐতিহ্য ও ফ্যাশন ট্রেন্ড এক করে কাজ করার চেষ্টা করছি শুরু থেকেই। আর নকশাগুলো চেষ্টা করেছি এমনভাবে করার, যাতে এক পোশাকেই তিন উৎসবের আমেজ থাকে। ক্রেতারা মূলত উৎসবের চার থেকে পাঁচ দিন আগে কেনাকাটা শুরু করেন। তাই আমরা ধীরে ধীরে সামনে আনছি আমাদের ডিজাইনগুলো। তবু আমরা চেষ্টা করছি ১০ থেকে ১২ দিন আগে আমাদের পোশাকগুলো ক্রেতাদের সামনে তুলে ধরার।’

ছবি: হরিতকী

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮: ০০
বিজ্ঞাপন