লাবিবার আঁকা স্নিকার্সে অনন্য স্টাইল স্টেটমেন্ট
শেয়ার করুন
ফলো করুন

সম্প্রতি কোক স্টুডিও বাংলার সাড়া জাগানো গান ‘দেওরা’র পরিবেশনায় জনপ্রিয় ও স্টাইলিশ সংগীতশিল্পী প্রীতম হাসানের পায়ে হ্যান্ডপেইন্ট করা স্টাইলিশ স্নিকার্সটি ফ্যাশনপ্রেমীদের নজর এড়ায়নি। সৃষ্টিশীল শিল্পীমন আর অভিনব আইডিয়ার মিশেলে লাবিবা ইবনাত আলম তুলি তৈরি করেন ট্রেন্ডি সব স্নিকার্স। সবার চেয়ে একটু আলাদা লুক দেয়—এমন অনুষঙ্গগুলো এখন তারকা থেকে শুরু করে ফ্যাশনপ্রেমী তরুণ-তরুণীদের কাছে অনন্য স্টাইল স্টেটমেন্টের উপকরণ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী কিশোয়ার চৌধুরী পায়ে  লাবিবার আঁকা স্টাইলিশ স্নিকার্স
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী কিশোয়ার চৌধুরী পায়ে লাবিবার আঁকা স্টাইলিশ স্নিকার্স
তারকা গায়ক প্রীতম হাসানের পায়েও দেখা গিয়েছে লাবিবার আঁকা স্টাইলিশ স্নিকার্স
তারকা গায়ক প্রীতম হাসানের পায়েও দেখা গিয়েছে লাবিবার আঁকা স্টাইলিশ স্নিকার্স

তাই লাবিবার ‘লাবেইবা পেইন্টিং অন র‍্যান্ডম স্টাফ’ নামের উদ্যোগটির ভক্ত ও ক্রেতার তালিকায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী কিশোয়ার চৌধুরী আর তরুণদের কাছে ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ নামে দারুণ জনপ্রিয় ইফতেখার রাফসানও রয়েছেন। আবার জনপ্রিয় ক্রীড়াবিষয়ক ফেসবুক পেজ ‘প্লান্টিক’-এর স্বত্বাধিকারীর জন্যও স্নিকার্সে এঁকেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

আঁকাআঁকির নেশাটা লাবিবার ছোটবেলা থেকেই। মূলত, ক্যানভাসে অ্যাক্রিলিক পেইন্টেই ছবি আঁকতেন তিনি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্স ও অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে স্নাতকপড়ুয়া এই তরুণ শিল্পী ২০২০ সালে করোনাকালেই প্রথম স্নিকার্সে তুলি চালানোর কথা ভাবেন। আসলে এই অতিমারির সময় শাপে বর হয়ে লাবিবার মতো অনেক মেধাবী শিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সে সময় যারা ঘরে বসে সৃষ্টিশীল কিছু কাজ করে, শুধু নিজের মনকে ঠিক রাখার তাগিদে।

মার্কিন মুলুক থেকে আসা এক নিকটাত্মীয়ের কাছে আবদার করে আনা স্নিকার্স ও বিশেষ ধরনের লেদার পেইন্ট দিয়েই এই শখের কাজের শুরু লাবিবার। প্রধানত বন্ধু ও কাছের মানুষের জন্য স্নিকার্সই আঁকা হতো বেশি। তবে আস্তে আস্তে বাড়ছিল ক্রেতার সংখ্যা। এরপর হঠাৎই কিশোয়ার চৌধুরীর ফরমাশ অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করা স্নিকার্স জোড়া একেবারে সাড়া ফেলে দিল নেট-দুনিয়ায়। বলতে গেলে ২০২১ সালের শেষের এই দারুণ ঘটনার পর লাবিবাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। আর এখন তাঁর ঘর সয়লাব শুধু জুতা দিয়ে, হাসতে হাসতে জানালেন লাবিবা নিজেই।

বিজ্ঞাপন

পেইন্ট করার জন্য সাধারণত সাদা জুতা ব্যবহার করেন লাবিবা। কালো হলে কালার প্যালেটে আনতে হয় কিছু পরিবর্তন। অত্যন্ত মানসম্পন্ন এই স্নিকার্সগুলো মূলত আমেরিকা থেকে আসে। রেপ্লিকাগুলো আনান তিনি ভিয়েতনাম থেকে। পেইন্ট করার পুরো কাজ লাবিবা সযত্নে করেন নিজ হাতে। তাই একেক জোড়া জুতা আঁকা শেষ করতে ছয় থেকে সাত সপ্তাহ লেগে যায়। এই পেইন্টের স্থায়িত্বও অনেক বেশি।

স্নিকার্সগুলো ধোয়া যায় অনায়াসে। জানালেন, এ-সংক্রান্ত ভিডিও আছে তাঁর ইনস্টাগ্রামে। ক্রেতাদের পছন্দমতো যেকোনো থিমে এঁকে দেন স্নিকার্স। তবে অ্যানিমে ও কার্টুন শোয়ের চরিত্রের প্রতি আগ্রহ বেশি সবার। প্রীতমের জুতাটির মতো ফিউশনধর্মী নকশাও সবার পছন্দের শীর্ষে। এভাবেই ‘লাবেইবা পেইন্টিং অন র‍্যান্ডম স্টাফ’ তরুণদের মন জয় করে নিচ্ছে নিজস্ব স্টাইল স্টেটমেন্টের প্রতীক হিসেবে।

ছবি: লাবেইবা পেইন্টিং অন র‍্যান্ডম স্টাফ

প্রকাশ: ১০ মে ২০২৩, ১৪: ২৪
বিজ্ঞাপন