শীতে উষ্ণতা পেতে উলের কিংবা মোটা ফেব্রিকের মোজা বেছে নিতে হয়। আবার গরমে সুতির কিংবা আরামদায়ক ফেব্রিকের মোজা পরাই হবে স্বস্তির। গরমে ঘাম হলেও জুতা ও পায়ের রক্ষার জন্য কিন্তু মোজা বেশ কার্যকর। তবে এই গরমে পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে ভালো মানের মোজা কিনতে হবে দেখেশুনে। সে ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চললে মুশকিল আসান হবে।
যেকোনো কিছু কেনার আগে মানের দিকে খেয়াল রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। মোজার ক্ষেত্রেও তাই। গরমে পা ঘামার প্রবণতা অনেকেরই মাত্রাতিরিক্ত থাকে। তার মধ্যে মোজা পরাও এড়ানো যায় না, তাই মোজা কেনার সময় ভালো মানের ফেব্রিক ও আরাম বিবেচনা করা উচিত। দোকানদারকে সব সময় দুটির বেশি ইলাস্টিক ব্যান্ড আছে, এমন মোজা দেখাতে বলুন। সে ক্ষেত্রে অথেন্টিক কোনো ব্র্যান্ডের মোজা বেছে নিলে ভালো।
ইলাস্টিক ব্যান্ডের পাশাপাশি মোজার ফেব্রিকের উপাদানগুলোতে মনোযোগ দিতে হবে। বাজারে বেশ কিছু স্ট্রেচেবল ফেব্রিক পাওয়া যায়, যা যেকোনো মানুষের পায়ের আকার ধারণ করে, টানলে ছোট-বড়ও হয়। তা ছাড়া মোজা নতুনের মতো দীর্ঘস্থায়ী রাখতে, আর্দ্রতা শোষণকারী নরম কাপড় বেছে নিতে হবে।
মোজা শুধু কিনলেই হবে না। পায়ের জন্য সঠিক মোজা নির্বাচন করা উচিত। বাজারে বিভিন্ন ধরনের মোজা পাওয়া যায়। শুধু স্টাইলের জন্যই নয়, গোড়ালির দৈর্ঘ্যের কিংবা বেলের মতো মোজাগুলোর একেকটার একেক কাজ। যেমন কাফ দৈর্ঘ্যের মোজা ফরমাল মিটিংয়ের জন্য মানানসই হবে না। এর কারণ, একটি মিটিংয়ে আপনার অনেকক্ষণ বসে থাকতে হতে পারে। আর কাফ দৈর্ঘ্যের মোজাগুলো তৈরি হয় ক্রীড়াবিদদের জন্য। এ ক্ষেত্রে অফিস মিটিংয়ে গোড়ালি দৈর্ঘ্যের মোজাই ভালো বিকল্প। এভাবেই উপলক্ষ ও পরিবেশ বুঝে সঠিক মোজা বেছে নিতে হবে।
মোজা পরার সঙ্গে,ব্যবহারের পর ধোয়ার কৌশলও জেনে রাখা ভালো। সব মোজা মেশিনে ধোয়ার জন্য নয়। সূক্ষ্ম উপাদানে তৈরি কিছু মোজা রয়েছে ,যা শুধু হাতের সাহায্যেই ধোয়া উচিত। ওয়াশিং মেশিনে মোজা ধুলে কেবল রুক্ষই হবেনা, সেইসঙ্গে ফ্যাব্রিক এবং মোজার ব্যান্ড উভয়ই নষ্ট হবে।
অনেক সময় নতুন মোজাও ঢিলে হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, এগুলোকে অকেজো ভেবে ফেলে না দিয়ে, একটি ভালো মানের ইলাস্টিক ব্যান্ড নিয়ে ভিতর থেকে সেলাই করে নিতে পারেন। এটি আপনার মোজাকে নতুনের মতো শক্ত করে তুলবে।
ছবি: হাল ফ্যাশন ও পেকজেলসডটকম