আসন্ন বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে অনলাইন শাড়ির ব্র্যান্ড ‘ন হন্যতে’ তৈরি করেছে দৃষ্টিনন্দন শাড়ির কালেকশন। জমিনে ফুটে ওঠা নানা রঙের ফুল শাড়িকে দিয়েছে অনন্যতা। এই নতুন সংগ্রহের নাম ‘রবীন্দ্রনাথের ফুলেরা’। সব কটি শাড়িই সম্পূর্ণ হাতে তৈরি।
নীল রঙের ফুলের প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছিল বিশেষ আকর্ষণ। আর তাই রবিঠাকুরের বন্ধু উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়ারসন শান্তিনিকেতনের উত্তরায়ণের উঠানে একটি বিদেশি গাছের চারা লাগিয়েছিলেন। কিছুদিন পর গাছটিতে নীলচে বেগুনি ফুল ফোটে। ফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবিগুরু এর নাম দিলেন ‘নীলমণি লতা’। আমরা এখন এ নামেই তাকে চিনি। নীলমণি লতা ফুলটি এবার স্থান পেয়েছে সিল্ক শাড়ির জমিনে। এতে হ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্ট ও পুঁতির কাজ করা হয়েছে।
ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলের নাম অনুসারে বোগেনভিলিয়া গাছের নামকরণ করা হয়। তিনি ব্রাজিলের বনে এ উদ্ভিদ প্রথম দেখেন। আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এ ফুল প্রথম দেখেন এক বিলাসী ও অভিজাত লোকের বাড়িতে। এ ফুলের রং ও রূপে মুগ্ধ হয়ে তিনি এর বাংলা নাম দেন ‘বাগান বিলাস’। সিল্ক শাড়িতে হ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্ট ও পুঁতির কাজ এ শাড়িকে আরও রাঙিয়ে তুলেছে।
হলুদ রঙের ঘণ্টার মতো দেখতে খুব সুন্দর একধরনের ফুল চলতি পথে প্রায়ই চোখে পড়ে আমাদের। এর ইংরেজি নাম অ্যালামান্ডা। ইংরেজি নামের সঙ্গে মিলিয়েই রবীন্দ্রনাথ এর নাম দেন অলকানন্দা। ভারতীয় বাঙালি কবি জয় গোস্বামীর একটা কবিতাও আছে এই অলকানন্দা ফুল নিয়ে। ‘অতল, তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে/ হৃদি ভেসে গেল অলকানন্দা জলে...।’ প্রিমিয়াম সিল্ক শাড়িতে ‘অলকানন্দ’কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আফসানের কাজ দিয়ে।
বাড়ির গেটের দুই পাশ থেকে লতিয়ে ওঠা সাদা-গোলাপি থোকা থোকা ফুলের তোরণ সাজিয়ে তোলে যে লতাটি, তাকে আমরা অনেকেই মাধবীলতা বলে ভুল করি। এটা আসলে মাধবীলতা নয়, এর নাম মধুমঞ্জরি। ‘মধুমঞ্জরি’ নামটি রবীন্দ্রনাথের দেওয়া। সিল্ক শাড়িতে মধুমঞ্জরি যেন শাড়ির জমিনকে জীবন্ত করে তুলেছে।
রডোডেনড্রন মানে ‘শেষের কবিতা’, রডোডেনড্রন মানে ‘পথের বাঁধন’। রডোডেনড্রন পাহাড়ের ফুল। বসন্তের শেষে এর দেখা মেলে। অনেকগুলো রং হয় এর। সিল্ক শাড়িতে হ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্ট ও পুঁতির কাজের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে পাহাড়ের এই কালজয়ী ফুল।
অনিন্দ্য সুন্দর এ ফুলকে হিন্দি ভাষায় ডাকা হয় আকাশনিম বা আকাশমল্লি। বাংলায় রবীন্দ্রনাথ এর নাম দিলেন হিমঝুরি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের সামনে, শিশু একাডেমির বাগানে ও বলধা গার্ডেনের কাছে খ্রিষ্টান কবরস্থানে কয়েকটি গাছ রয়েছে হিমঝুরির। সিল্ক শাড়িতে হ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্ট ও পুঁতির কাজে হিমঝুরি শাড়িটি পেয়েছে অনন্যতা।
অনিন্দ্য সুন্দর এ ফুল হিমচাঁপা নামে পরিচিত অনেকের কাছে। তবে রবীন্দ্রনাথের দেওয়া নাম ‘উদয়পদ্ম’। সাদা রঙা সিল্ক শাড়িতে উদয়পদ্ম ফুটে উঠেছে হ্যান্ড স্ক্রিন প্রিন্ট ও পুঁতির কাজের মাধ্যমে।
ছবি: ন হন্যতে