ফ্যাব্রিলাইফ-এর এক্সপেরিয়েন্স জোনে দেখেশুনে পণ্য বেছে নেওয়ার সুযোগ
শেয়ার করুন
ফলো করুন

এই প্রযুক্তির যুগে বাজারে গিয়ে কেনাকাটার চেয়ে অনলাইন শপিংই যেন বেশি সহজ। রাস্তার জ্যাম, ধুলাবালি, দামাদামি এসব ঝামেলা না থাকায় মানুষজন কেনাকাটা সেরে নেন ঘরে বসেই। তবে শত শত অনলাইন সাইটে বিশ্বস্ত ফ্যাশনব্র‍্যান্ড খুঁজে পাওয়া কঠিন। আবার পছন্দের পোশাকের গুণগত মান, রং, সাইজ- এসব নিয়েও ঝামেলা হয় অনেকক্ষেত্রে।

ক্রেতাদের এমন ঝামেলা  থেকে মুক্ত করতে ও নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলতে অনলাইন ফ্যাশন উদ্যোগ 'ফ্যাব্রিলাইফ' এবার চালু করেছে 'এক্সপেরিয়েন্স জোন'।অন্যান্য শোরুমের মতো নয় এটি, বরং ফ্যাব্রিলাইফ অফিসেরই একটি অংশ। এখানে এসে ক্রেতারা ফ্যাব্রিলাইফের যেকোনো পণ্য যাচাই-বাছাই করে দেখতে ও কিনতে পারবেন। ক্রেতাদের সুবিধার জন্য আছে একটি ট্রায়াল রুমের ব্যবস্থা। ফ্যাব্রিলাইফ ব্র‍্যান্ডের মূল অফিসের (হেড কোয়াটার) পাশেই ছোট একটি জায়গায় এই এক্সপেরিয়েন্স জোন। 

বিজ্ঞাপন

অনলাইনে কেনাকাটা বেশ জমজমাট হলেও ক্রেতাদের মনে একটা ‘কিন্তু’ থাকে অনেক সময়। এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব দূর করে তাদের নিয়মিত ক্রেতা করে নিতেই এই প্রচেষ্টা, জানান ফ্যাব্রিলাইফের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিয়াদ চৌধুরী।

অনেকে ক্রেতাই আছেন যারা অনলাইনে পণ্য দেখে নিশ্চিন্ত হতে পারেন না, বরং সরাসরি দেখতে চান। 'আমরা এধরনের অনেক অনুরোধ পেয়েছি যে পোশাক সরাসরি দেখাতে চান ক্রেতারা। তাই অফিসেরই অংশ হিসেবে এই ‘এক্সপেরিয়েন্স জোন'। যেখানে ক্রেতারা তাঁদের সংশয় দূর করতে পারেন। আমরা এক্সপেরিয়েন্স জোনকে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে দেখছি। চাইলে ফ্যাব্রিলাইফের স্বত্ত্বাধিকারী ও ডিজাইনারদের সাথে এসে কথাও বলতে পারেন। আমরাও  ক্রেতাদের জানতে পারছি পাশাপাশি তাঁদের কাছ থেকে ফিডব্যাকও নিতে পারছি', জানান ফ্যাব্রিলাইফের আরেক সহপ্রতিষ্ঠাতা মেজবা-উল-আলম। 

বিজ্ঞাপন

দেখা গেল, অনেকেই আছেন এক্সপেরিয়েন্স জোনে, যাঁরা শুধু দেখতে আসছেন, পরে অনলাইনে অর্ডার করছেন। অনেকে এক্সপেরিয়েন্স জোন থেকেই কিনে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের পোশাকটি। কেনাকাটার ক্ষেত্রে স্পর্শ ও অনুভূতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন কেনাকাটায় যা থাকেনা। সেসব দূরত্ব দূর করতেই নভেম্বরের ৭ তারিখ থেকে চালু করা হয় ফ্যাব্রিলাইফের এই এক্সপেরিয়েন্স জোন। আর শুরু থেকেই ক্রেতারা ভিড় করছেন পছন্দের ফ্যাশন ব্র‍্যান্ডের পোশাকগুলো সরাসরি দেখতে। 

ব্যস্ত তরুণ ক্রেতা মহসিন আহমেদ জানান, 'অনলাইনে কাকে বিশ্বাস করব, কাকে করব না, কী অর্ডার করে কী পাব এসব ব্যাপারে ভরসা করা কঠিন। এই এক্সপেরিয়েন্স জোনে এসে আমরা দেখে যাচাই করতে পারছি। পোশাকের আকার, রং, গুণগত মান এসব নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছেনা। এক্সপেরিয়েন্স জোন ক্রেতাদের কাছে ফ্যাব্রিলাইফকে আরও বিশ্বস্ত করে তুলবে ।'

ফ্যাব্রিলাইফ মূলত একটি ই-কমার্স ফ্যাশন ব্র‍্যান্ড যার যাত্রা শুরু ২০২০-এর শেষ দিক থেকে। সেই থেকে আরামদায়ক ও সুলভ মূল্যের পোশাকের চাহিদা পূরণ করছে ব্র‍্যান্ডটি। পেয়েছে বেশ জনপ্রিয়তাও। অর্জন করেছে দারাজের নম্বর ওয়ান ই-কমার্স ফ্যাশন ব্র‍্যান্ড খেতাবও। ফ্যাব্রিলাইফ-এর প্রধান আকর্ষণ মেনস ফ্যাশন ওয়্যার ও স্পোর্টস ওয়ার। নারী ও শিশুদের কালেকশনও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। 

ফ্যাব্রিলাইফ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের নাগালের মধ্যেই ফ্যাশনেবল পোশাক দিতে চেষ্টা করছে। সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে সুলভমূল্যে গুণগত মান সম্পন্ন ফ্যাশনেবল ও মিনিমালিস্ট পোশাক পৌঁছে দিতেই রিয়াদ চৌধুরী, মেজবা উল আলম, নাজমুস সাকিব ও সুহৃদ শায়ান- এই চারজন শুরু করেন  ফ্যাব্রিলাইফ, বললেন তাঁরা৷ 

ছবি: ফ্যাব্রিলাইফ

প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬: ২২
বিজ্ঞাপন