মিচিক মেলা
শেয়ার করুন
ফলো করুন

আচিক ভাষায় কথা বলে গারো সম্প্রদায়ের মানুষেরা। আর এ ভাষায় মিচিক মানে নারী, যাকে আদি শক্তির রূপ বলা হয়। সেই প্রতিপাদ্য মাথায় রেখেই বনানী যাত্রাবিরতিতে আয়োজিত হলো দুই দিনব্যাপী ‘মিচিক মেলা’। ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর এই দুই দিন চলে মেলাটি। যেখানে ‘মিরা এটায়ার, মাটগ্রিক, লিকুইড, জাক গিটাল—এই চারটি উদ্যোগ অংশ নেয়। সব কটি উদ্যোগের উদ্যোক্তা নারী।

যাঁরা গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, গয়না, ব্যাগসহ অনেক পণে৵র পসরা নিয়ে হাজির হন। কথা হলো মাটগ্রিকের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে, করোনার সময় থেকে তাঁরা কাজ শুরু করেন। ৫০ গারো নারীর হস্তশিল্প নিয়ে পথচলা শুরু হয় এই উদ্যোগের। যেখানে ছিল গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, গয়নাসহ অনেক কিছু। তাঁরা জানান, বর্তমানে মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে রয়েছে তাঁদের শোরুম; এবং চাইলে অর্ডার করা যাবে ফেসবুক পেজ থেকে।

বিজ্ঞাপন

এরপর কথা হলো পূর্ণিমা ত্রিপুরা পিউয়ের সঙ্গে, তাঁর মায়ের নামে করেছেন ‘মিরা এটায়ার’। হ্যান্ডলুম বুননের কাপড় দিয়ে করছেন ইন্দো ফিউশন ডিজাইনের পোশাক, রয়েছে ব্লকের হ্যান্ডপেইন্ট শাড়ি। কাস্টমাইজড পোশাকও তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি। তবে অর্ডার করতে হবে ফেসবুক পেজ থেকে। লিকুইডে রয়েছে গারো ও এথনিক মোটিফের টি-শার্ট এবং জাক গিটালের হ্যান্ডমেড ট্রাইবাল মোটিফ নেক পিস, এয়ার রিং, এনক্লেটসহ দারুন সব সংগ্রহ।

পাহাড়ি কুইজিনের মাশরুমের মচমচে পাকোড়া, সঙ্গে ছিল বেলের চা একেবারে ভিন্ন স্বাদের, সেই সঙ্গে পাহাড়ি পানীয়। ‘চুং’ নামে পরিবেশন করা হচ্ছিল বিশেষ এই পাহাড়ি মকটেল। গ্যালারি জুড়ে দেখা গেল শিল্পী জয়য়ু চাকমার শিল্পকর্ম। পাশেই মঞ্চে চলছিল আচিক ব্যান্ড ‘রিরি’ এবং ‘এফ-মাইনরের’ পরিবেশনা। এ ছাড়া দুই দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল এলিজাবেথ মাংখিনের গারো নাচ, অর্ণব শর্মার মণিপুরি পাং ঢোলনৃত্য, ত্রিপুরা নৃত্য, কালারস অব হিলের পরিবেশনায় ‘মারমা সাংরাই নাচ’।

যাত্রাবিরতির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা অতি আহমেদ জানান, ভিন্ন রকম আয়োজন নিয়ে শুরু থেকেই কাজ করছে যাত্রাবিরতি, সেই প্রয়াসেই ‘মিচিক’–এর আয়োজন।

বিজ্ঞাপন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১: ১৭
বিজ্ঞাপন