প্রশ্ন: ‘পুনর্মিলনে’ দেখে সবাই প্রশংসা করছেন, এটা কেমন লাগছে? তবে শেষটা নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
উত্তর: সিনেমা নির্মাণ করা হয় দর্শকের জন্য। সেই দর্শকের যদি সিনেমাটা ভালো লাগে এবং তাঁরা যদি সিনেমার প্রশংসা করেন, তাহলে তার চেয়ে বেশি পাওয়া আর কিছু হতে পারে না। আর এই ক্ষোভ তাঁরা প্রকাশ করেছেন সিনেমার একটা চরিত্রের প্রতি ভালো লাগা থেকে। আমার কাছে এটাও অর্জন মনে হয়।
প্রশ্ন: ‘পুনর্মিলনে’–এর গল্প কীভাবে ভাবলেন বা মাথায় এল?
উত্তর: আমরা আসলে একটা বন্ধুত্বের গল্পের প্ল্যান করছিলাম। গল্প ভাবতে ভাবতে মনে হলো, শিক্ষাজীবনের বন্ধুত্বের গল্প আমরা দেখেছি, বন্ধুদের ট্যুরের গল্প দেখেছি, কর্মজীবনে তৈরি হওয়া বন্ধুত্বের গল্পও দেখেছি। কিন্তু এগুলোর বাইরেও একটা বন্ধুত্বের গল্প আছে। যেটা আমরা খুব একটা সিনেমায় দেখিনি। অথচ ওই গল্পও আমাদের অনেক আপন, তারাও অনেক কাছের। ওখান থেকেই কাজিনদের বন্ধুত্বের গল্প ‘পুনর্মিলনে’।
প্রশ্ন: আপনার গল্পের সিনেমাটোগ্রাফি সব সময় ভালো হয়। এটি কীভাবে করেন?
উত্তর: এটা আসলে গল্পের প্রয়োজনে আসে। গল্পের প্রয়োজনে আসে বলেই হয়তো সিনেমেটোগ্রাফি দর্শকের ভালো লাগে।
প্রশ্ন: আপনার শুটিং প্লেসের অনেকটাই প্রাকৃতিক হয়। সেটার কারণ?
উত্তর: আমাকে প্রকৃতি খুব টানে। আমি নিশ্চিত আমার মতো অনেকেই এই টান অনুভব করেন। আমরা যারা সব সময় প্রকৃতিতে থাকতে পারি না, সিনেমার প্রাকৃতিক ছোঁয়া তাদেরও প্রকৃতিতে নিয়ে যায়।
প্রশ্ন: আপনি মানুষের আবেগ-অনুভূতি নিয়ে কেন বেশি কাজ করেন?
উত্তর: পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর বিষয় মানুষের অনুভূতি। আবেগ মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে। ব্যক্তিজীবনে আমি নিজেও অনেক ইমোশনাল। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমি মানুষের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক নিয়ে কিছু কাজ করতে পেরেছি।
প্রশ্ন: আপনি এত পারিবারিক ও ইমোশনাল গল্প কীভাবে খুঁজে বের করেন?
উত্তর: নাটক, সিনেমা অথবা উপন্যাসে যত গল্প আছে, তারা চেয়ে হাজার গুণ বেশি গল্প আছে আমাদের চারপাশে। আমার গল্প আসে আমার চারপাশ থেকেই। কখনো হয়তো একটা চরিত্র পাই ওখান থেকে গল্প তৈরি করি, কখনো আবার গল্প পাই সেই গল্পের প্রয়োজনে চরিত্র তৈরি করি। সঙ্গে নিজের ভাবনা, দর্শন তো থাকেই।
প্রশ্ন: ‘পুনর্মিলনে’–এর শুটিং সিলেটে হওয়ার কি কোনো কারণ আছে?
উত্তর: ‘নেটওয়ার্কের বাইরে’ করেছি সমুদ্রে, ‘উনিশ বিশ’ যান্ত্রিক শহরে, ‘পুনর্মিলনে’ পাহাড়ে। এটাও গল্পের প্রয়োজনে বলতে পারেন।
প্রশ্ন: সেখানে শুটিং করতে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
উত্তর: আমরা প্রতিদিন বৃষ্টি পেয়েছি। বৃষ্টি নামতে এক মিনিট সময়ও নেয় না। এ জন্য আমাদের শুটিংয়ের সময় বেড়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: ভবিষ্যতে কী ধরনের কাজ করতে চান?
উত্তর: ভবিষ্যতে আমি আমার জনরায় আগের চেয়ে আরও ভালো কিছু কাজ করতে চাই, যেগুলো মানুষের মনে অনেক দিন বেঁচে থাকবে।
প্রশ্ন: দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কী করতে চান?
উত্তর: দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই মুহূর্তে দর্শকপ্রিয় ভালো সিনেমা নির্মাণের বিকল্প আর কিছু নেই।
প্রশ্ন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উত্তর: ধন্যবাদ আপনাকেও।