ইন্টারনেটে সর্বাধিক আলোচিত সেলিব্রিটিদের মধ্যে অন্যতম হলেন জেনিফার লোপেজ। নিয়মিত ইনস্টাগ্রামে সরব থাকেন তিনি। দুই সন্তানের জননী এই শিল্পী একজন ফ্যাশন আইকন। ফিটনেস ধরে রাখতে তিনি নিয়মমাফিক কড়া রুটিন অনুসরণ করেন। আর অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে এ জন্য তিনি নিয়মিত জাম্বুরার তেল শুঁকে থাকেন।
জেনিফার কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার এড়িয়ে যান। এর পরিবর্তে ওটমিল, মিষ্টি আলু ও কিনোয়া দিয়ে তিনি সকালের নাশতা করেন। দুপুরে তিনি সবুজ শাকসবজি ও ফল খেয়ে থাকেন। সঙ্গে সবজি বা মুরগির স্যুপ খেয়ে থাকেন। তবে তিনি চিনি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করেন। ডিম, মুরগি ও টার্কি তাঁর ডায়েটে প্রোটিনের উৎস নিশ্চিত করে। নিজেকে কোনো খাবার থেকেই বঞ্চিত করেন না জেনিফার। তিনি সবকিছুই পরিমিত পরিমাণে খেয়ে থাকেন।
মজার বিষয় হলো খাবার খাওয়ার ইচ্ছা দূর করতে জেনিফার বিশেষ নিয়ম অনুসরণ করে থাকেন। এ জন্য নিয়ম করে প্রতিদিন ১৫ মিনিটের জন্য ডিফিউসারের মাধ্যমে গ্রেপফ্রুট বা জাম্বুরার এসেনশিয়াল অয়েলের ঘ্রাণ নেন তিনি। বিস্ময়কর হলেও সত্য যে এ পদ্ধতিতে সহজেই ক্ষুধা দমন করা যায়। এ জন্য জেনিফার সব সময় তাঁর সঙ্গে এই তেল বহন করেন। তবে তিনি কখনো পছন্দের খাবার এড়িয়ে চলেন না। আর জাঙ্ক ফুড ও প্রক্রিয়াজাত খাবার থেকে দূরে থাকার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। খাবার গ্রহণের আগে অবশ্যই তাঁর খাবারে পুষ্টি আছে কি না, তা নিশ্চিত করেন।
শুধু যে খাবারের ক্ষেত্রেই সচেতন তা নয়; বরং ‘জেলো’ নিয়মিত ভারোত্তোলন ও শরীরচর্চা করে থাকেন। সপ্তাহে নিয়মিত চার থেকে পাঁচ দিন অন্তত এক ঘণ্টা করে হলেও শরীরচর্চার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। একজন জনপ্রিয় গায়িকা হওয়ার পাশাপাশি জেনিফার ভালো নাচতেও জানেন। তাই এ প্রতিভা ধরে রাখতে নিয়মিত নৃত্য অনুশীলন করেন তিনি। নাচ এমন একটি শিল্প, যা তাঁকে সুখী ও সুস্থ রাখে। একসময় তিনি অ্যাক্রোবেটিকস ও পোল নাচের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।
নেটিজেনদের অনেকেই মন্তব্য করেন, জেনিফারের মেদহীন এই শরীরের রহস্য হয়তো লুকিয়ে আছে হাজারো সার্জারিতে। তবে শরীর ঠিক রাখতে যে জেনিফার কড়া ডায়েট ও নিয়মিত জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন, তার প্রমাণ আছে তাঁর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলেই। জানা গেছে, জেনিফারের বিখ্যাত দুজন ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকও আছেন, যাঁরা জেনিফারের শরীর ফিট রাখতে সাহায্য করেন।
ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তিনি শসা ও অ্যালোভেরা ফেস মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। কারণ, বার্ধক্যের ছাপ কমানোর পাশাপাশি এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। অ্যালোভেরা ও শসা দুটিতেই পানি থাকায় ত্বককে নরম এবং কোমল করে তোলে এ প্যাকটি। তাই তিনি এর ওপর ভরসা করেন। তা ছাড়া সারা দিনে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে থাকেন। এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার জানান, তিনি প্রাণ খুলে হাসতে ভালোবাসেন। কারণ, হাসলে নিজের মন যেমন ভালো থাকে, তেমনই দুশ্চিন্তার কথাও ভুলে থাকা যায়। পাশাপাশি শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এতে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সতেজ হয়ে ওঠে। তাই মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যায়। এ জন্য সব আচার-অনুষ্ঠানেই তাঁর সুন্দর হাসিমুখের দেখা মেলে।
ছবিঃ ইন্সটাগ্রাম