‘পুনর্জন্ম-৩’–এ মেহজাবীন চৌধুরীর চোখে পড়ার মতো লুকটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল। অনেকেই তাঁর এই অন্য রকম প্রোস্থেটিক মেকওভার লুকটি রিক্রিয়েট করছেন কসপ্লের মাধ্যমে। এই লুকের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আজকের হাল ফ্যাশনে। অবশ্যই তা পরিচালক ভিকি জাহেদের সঙ্গে বিস্তারিত আলাপের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
ক্যানিবালিজম বা মানুষের মাংস ভক্ষণের ধারণা থেকে বহু সাহিত্য, ড্রামা ও চলচ্চিত্র হয়েছে এযাবৎকালে। ‘পুনর্জন্ম’ নামের থ্রিলার সিরিজের প্লটটিও এই ঘরানার। সম্প্রচারের পর সংক্ষিপ্ততম সময়ে ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এই সিরিজের তৃতীয় পর্বটি। হুমায়ূন আহমেদের কিংবদন্তি কুটুমিয়া বা ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ -এর মুশকান জুবেরীকে ছাপিয়ে এখন রাফসান হকরূপী আফরান নিশোই বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ক্যানিবাল চরিত্র। তবে রাফসান হকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেহজাবীন যেন নীলা আর রোকেয়া চরিত্র দিয়ে দর্শকদের একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছেন।
‘পুনর্জন্ম’ সিরিজের প্রথম পর্বে রাফসান চরিত্রটির নিজ স্ত্রী নীলাকে কেটেকুটে সবাইকে খাইয়ে দেওয়ার কাহিনি ছিল। সেই নীলা চরিত্রে মেহজাবীন চৌধুরী ছিলেন অনিন্দ্যসুন্দরী, নিখুঁত যাকে বলে। ভিকি জাহেদ জানান, তাই এবারে মেহজাবীনকে একেবারেই অন্য রকমভাবে উপস্থাপন করার একটি চিন্তা ছিল তাঁর মাথায়। আগের পর্বেই অগ্নিকাণ্ডজনিত একটি দুর্ঘটনার কথা রয়েছে। তাই ননগ্ল্যামারাস মেকওভারের সঙ্গে চেহারার একদিকে আলোচিত কালো দাগটি তৈরি করা হয়েছে অন্য রকম লুক আনতে। আর নাটকটির কাহিনির ধারাবাহিকতায় রোমাঞ্চকর এবং একই সঙ্গে হাত-পা ঠান্ডা করে দেওয়া মুহূর্তটি আসে মেহজাবীনের রোকেয়া চরিত্রটির ‘কান নিয়ে গেল চিলে’ অধ্যায়ের সঙ্গে। স্পয়লার না দিয়ে সে গল্প নাহয় তোলা থাকল।
ভিকি বলেন, সিরিজটির তিন পর্বে পৃথক তিনজন মেকওভারের কাজ করেছেন। তবে নীলা ও রোকেয়া চরিত্রের চরম বিপরীতধর্মী লুকের ব্যাপারে তিনি মেধাবী অভিনেত্রী মেহজাবীনকেই সিংহভাগ কৃতিত্ব দিলেন। আর এই বুদ্ধিদীপ্ত ও সুপরিকল্পিত লুকের সঠিক বাস্তবায়নের প্রভাব আমাদের সামনে। ভিকি জাহেদের দারুণ পরিকল্পনায় তৈরি রোকেয়ার লুকটি এখন ভাইরাল। তৈরি হচ্ছে বহু কসপ্লে কনটেন্ট, মিনিয়েচার আর ফেসবুক মিম। সেই সঙ্গে তা প্রশংসা পাচ্ছে সাধারণ দর্শক থেকে শুরু করে সমালোচকদেরও।